দিনাজপুরের হিলিতে বৃষ্টির পর তাপমাত্রা কমায় আবারও শীত বেড়েছে। দিনভর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকছে। সেই সঙ্গে হিমেল বাতাস শীত বাড়িয়ে দিচ্ছে। তীব্র শীতের কারণে কাজে যেতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষরা। যাত্রীর অভাবে আয় কমেছে ভ্যান-রিকশা চালকদের।
রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) হিলি বাজারের মুদি দোকানি রইচ উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মাঘ মাসে এমন বৃষ্টি আর এত ঠান্ডা আমি কোনোদিন দেখিনি। বৃষ্টির পরে আবারও হাড় কাঁপানো শীত পড়েছে। শীতের কারণে দোকানে আসতে পারছি না।’
‘হঠাৎ এই বৃষ্টির কারণে হিলিতে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। শীতের মধ্যে সকালে বাজার করতে আসাই কষ্টকর হয়ে পড়েছে’, বলেন বাজারে আসা আইয়ুব হোসেন নামের এক শিক্ষক।
ভ্যানচালক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘মাঝে শীত কমে গিয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টি হওয়ায় আবারও বেড়েছে। সকালে ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। যাত্রী সংকট তো আছেই। আমাদের আয়-রোজগার অনেক কমে গেছে।’
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘রবিবার দিনাজপুর অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ, গতি ঘণ্টায় তিন থেকে চার কিলোমিটার।’