X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

তিস্তার পানিতে প্লাবিত গঙ্গাচড়ার ৩৬ গ্রাম

রংপুর প্রতিনিধি
২১ জুন ২০২২, ১৫:৩৫আপডেট : ২১ জুন ২০২২, ১৫:৩৭

টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় রংপুরে তিস্তা নদীর পানি আরও বেড়েছে। এতে গঙ্গাচড়া উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের ১০টিসহ মোট ৩৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় ৪৫ হাজার মানুষ। এসব ইউনিয়নের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ঘোষণা করে আশ্রয়কেন্দ্র খোলার নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (ইউএনও) কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, তিস্তা নদীর পানি মঙ্গলবার (২১ জুন) সকাল ৯টায় বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। গঙ্গাচড়া পয়েন্টে প্রবাহিত হচ্ছে বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে।

এদিকে পানিবন্দি মানুষ ও তাদের গরু-ছাগলসহ অন্যান্য মালামাল নিয়ে বাড়িঘর ছেড়ে উঁচু স্থানে বা আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। 

বাড়িঘর ছেড়ে উঁচু স্থানে যাওয়ার জন্য মাইকিং করছে প্রশাসন

লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ হাদী জানান, এই ইউনিয়নের চর ইছলী, জয়রাম ওঝাঁ , বিনবিনার চরসহ চরাঞ্চলের গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার বাসিন্দাদের বাড়ি ঘরছেড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আশ্রয় নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।  

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এরশাদ উদ্দিন জানান, বন্যা পরিস্থিতিতে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সেই সঙ্গে মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বন্যাকবলিত ছয়টি ইউনিয়নের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের রংপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবিব জানান, তিস্তা নদীর পানি আগামী ৪৮ ঘণ্টায় আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে নদী তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

/এসএইচ/
সম্পর্কিত
ভ্যাপসা গরমে জীবন চরমে ঢাবির গণরুমের শিক্ষার্থীদের
তলিয়ে গেছে দুবাই বিমানবন্দর, বিপাকে প্রবাসীরা
৭৫ বছরের মধ্যে রেকর্ড বৃষ্টি দেখলো আমিরাত, মরু শহর দুবাইয়ে বন্যা
সর্বশেষ খবর
ডুবন্ত শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেলো আরেক শিশুরও
ডুবন্ত শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেলো আরেক শিশুরও
‘ডে আফটার টুমরো’ নয়, টুডে
‘ডে আফটার টুমরো’ নয়, টুডে
জিম্মি মুক্তির বিষয়ে আন্তরিক হলেও গাজায় আগে যুদ্ধবিরতি চায় হামাস
জিম্মি মুক্তির বিষয়ে আন্তরিক হলেও গাজায় আগে যুদ্ধবিরতি চায় হামাস
হাসিনা-তাভিসিন আন্তরিক বৈঠক, থাইল্যান্ডের সঙ্গে ৫ দলিল স্বাক্ষর
হাসিনা-তাভিসিন আন্তরিক বৈঠক, থাইল্যান্ডের সঙ্গে ৫ দলিল স্বাক্ষর
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, হাইকোর্টের রায় প্রকাশ
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, হাইকোর্টের রায় প্রকাশ