X
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
২৪ বৈশাখ ১৪৩১

কুড়িগ্রামে ১১ ডিগ্রিতে নেমেছে তাপমাত্রা, লাখো মানুষের দুর্ভোগ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি 
১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫৮আপডেট : ১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:০৬

পাঁচ দিন ধরে দেখা মিলছে না সূর্যের। হিমেল বাতাস আর কনকনে ঠান্ডায় নাজেহাল কুড়িগ্রামের লাখো মানুষ। এর মধ্যে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রিতে নেমে আসায় মানুষের কষ্টের মাত্রা আরও বেড়েছে। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) জেলার রাজারহাটে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রার এই স্কেলে বড় কোনও পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছে রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার।

এদিকে, ধারাবাহিক নিম্ন তাপমাত্রায় কষ্টে দিনাতিপাত করছে জেলার কয়েক লাখ মানুষ। বিশেষ করে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষের কষ্টের মাত্রা কয়েকগুণ বেশি। অনেক পরিবার শীতবস্ত্রের সংকটে ভোগান্তি পোহাচ্ছে। আগুন জ্বালিয়ে ঠান্ডা নিবারণের চেষ্টা করছে অনেকে। খেটে খাওয়া, দিনমজুর শ্রেণির মানুষজন জীবিকার তাগিদে ঠান্ডা উপেক্ষা করে মাঠে কাজ করছেন। তবে শীতে অনেকে কর্মহীন হয়ে পড়েছে।

জেলা সদরের ভোগডাঙা ইউনিয়নের ধরলা তীরের দিনমজুর হুজুর আলী বলেন, ‘আমাদের এদিকে খুব শীত। অনেক ঠান্ডা। গরম কাপড়চোপর নাই। ঠান্ডার জন্য কাজ কামাই কিছু করবার পারতেছি না। খুব কষ্টে আছি। কাপড়চোপর পাওয়া গেইলে কিছু ঠান্ডা নিবারণ করা গেইলো হয়। কিন্তু আমাদের এদিকে কেউ কম্বল নিয়া আইসে না। সরকারি সাহায্যও পাই না।’

একই ইউনিয়নের নির্মাণশ্রমিক মিজান বলেন, ‘খুব ঠান্ডা। ম্যালা মানুষ কষ্টে আছে। এমন চললে কাম করি খাওয়া কষ্টকর হয়া যাইবে।’ একই পরিস্থিতির খবর পাওয়া গেছে ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদের চরাঞ্চলে।

রাজারহাটে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস

জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখা জানায়, চলমান শীতে প্রায় ৬৩ হাজার কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, সেগুলো বিতরণ চলমান রয়েছে। এছাড়া শীতার্ত মানুষের গৃহসংস্কারের জন্য টিন এবং খাদ্য সহায়তার জন্য শুকনা খাবার রয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী সেগুলো বিতরণ করা হবে।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, ‘আমরা শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র পৌঁছানো নিশ্চিত করছি। যেসব এলাকায় এখনও শীতবস্ত্র পৌঁছায়নি সেখানে দ্রুত পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’  এছাড়া শীতে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তা বিতরণসহ মানুষের কষ্ট লাঘবের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।

রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘দুই-চার দিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতে পারে। তবে জানুয়ারিতে একটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।’

/এএম/
সম্পর্কিত
ঢাকার কোথাও হালকা বৃষ্টি, কোথাও ঠান্ডা ঝোড়ো হাওয়া
বৃষ্টি ও বন্যার কী পূর্বাভাস পাওয়া গেলো?
কালবৈশাখী বয়ে যেতে পারে সারা দেশে
সর্বশেষ খবর
বৃষ্টিতেই কাটলো ওয়াসার পানির সংকট
বৃষ্টিতেই কাটলো ওয়াসার পানির সংকট
টিভিতে আজকের খেলা (৭ মে, ২০২৪)
টিভিতে আজকের খেলা (৭ মে, ২০২৪)
খুলনায় আড়াই ঘণ্টার বৃষ্টিতে শহরে জলাবদ্ধতা
খুলনায় আড়াই ঘণ্টার বৃষ্টিতে শহরে জলাবদ্ধতা
রৌমারীতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর প্রতিপক্ষের হামলা
রৌমারীতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর প্রতিপক্ষের হামলা
সর্বাধিক পঠিত
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
আজও ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস
আজও ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস