বগুড়ার সোনাতলায় আধিপত্য বিস্তার ও স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে বিরোধে যুবদল নেতা রাশেদুল হাসান রাশেদ (২৭) নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। নিহতের মা ওজেনা বেগম রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে সোনাতলা থানায় পাকুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতিসহ ২০ জনের নাম উল্লেখ করে ৪৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
মামলার অন্যতম আসামিরা হলেন- বগুড়ার সোনাতলার পাকুল্লা বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়ামুল কবির, সাবেক প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম জাকি, তার ভাই জাকিউল আলম জেলিস, পাকুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এম এ হান্নান বাটালু, তার ছেলে নুর মোক্তাদির রুনু, মিলনের পাড়া গ্রামের সেলিম রেজা, পাকুল্লা মধ্যপাড়ার আব্দুর রহমান ডিকে, একই গ্রামের মো. জিসান, মো. বাপ্পী, মো. হাসান, রশিদুল সরকার প্রমুখ।
পুলিশ ও এজাহার সূত্র জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পাকুল্লা উচ্চবিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে স্থানীয় বিএনপি এবং অঙ্গসহযোগী সংগঠনের দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে গত ৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার দিকে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। প্রতিপক্ষের মারধরে পাকুল্লা গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে ও ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য, জিয়া সাইবার ফোর্স জেলা শাখার সহসভাপতি রাশেদুল ইসলাম রাশেদ গুরুতর আহত হন। পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় মারা যান।
এ ব্যাপারে নিহত রাশেদের মা ওজেনা বেগম আসামিদের বিরুদ্ধে রবিবার রাতে সোনাতলা থানায় ২০ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত ২৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। মামলার পর থেকে গ্রেফতার এড়াতে পাকুল্লা গ্রাম পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা বলেন, ‘এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পাকুল্লা বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে এলাকাবাসীরা তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন। একপক্ষে পাকুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুল হান্নান বাটালু, অপরপক্ষে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আলী হাসান নারুন এবং আরেকটি পক্ষে বগুড়া শহর জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি এ বি এম মাজেদুর রহমান জুয়েল।
নিহত রাশেদ জামায়াত নেতার পক্ষ নিয়ে বিএনপি সভাপতি আবদুল হান্নান বাটালুর বাড়িতে হামলার জন্য মহড়া দেন। এরকম সন্দেহে বাটালু ও তার লোকজনের মারধরে রাশেদ গুরুতর আহত হন। পরে তিনি হাসপাতালে মারা যান।
সোনাতলা থানার ওসি জানান, এ মামলায় সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকাল পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। গ্রেফতারে অভিযান চলছে।