রংপুর নগরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বাড়িতে হামলায় ঘটনায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে থানায় মামলা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন রংপুরের জাতীয় পার্টি নেতারা। তারা হামলাকারী ‘সন্ত্রাসীদের’ গ্রেফতারেরও দাবি জানিয়েছেন।
আজ শনিবার (৩১ মে) বিকালে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রশাসনের প্রতি এমন দাবি জানান জাতীয় পার্টির নেতারা। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ মামলা না নিলে এবং হামলাকারীদের গ্রেফতার করা না হলে থানা ঘেরাও এবং হরতাল দেওয়া হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।
গত বৃহস্পতিবার রাতে রংপুর নগরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা জি এম কাদেরের বাড়ি দ্য স্কাই ভিউয়ের জানালার কাচ ভাঙচুর ও একটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করেন। ঘটনার সময় জিএম কাদের ওই বাড়িতে ছিলেন।
দলীয় চেয়ারম্যানের বাসায় হামলার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বেলা সাড়ে তিনটায় রংপুর সেন্ট্রাল রোডে জাতীয় পার্টির কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি রংপুর প্রেসক্লাব মোড় হয়ে টাউন হলের সামনে গিয়ে আবার পায়রা চত্বরে আসে। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করা হয়।
সমাবেশে জাতীয় পার্টির কো–চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান অভিযোগ করেন, জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদের বাসভবনে (জিএম কাদেরেরও বাসভবন) হামলা হয়েছে প্রশাসনের নির্লিপ্ততার কারণে। সারা দেশের মতো রংপুরেও প্রশাসন কোনও কাজ করছে না।
মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ‘আমরা দেখছি, মব ভায়োলেন্স। এখন মবের যুগ। এখন আমরা প্রশাসনকে বলবো, আপনারা সরে দাঁড়ান। মব ভায়োলেন্সে জাতীয় পার্টি দুর্বল নয়। জাতীয় পার্টি যেকোনও মবের ফেস করতে পারে। এনসিপির যদি ক্ষমতা থাকে, ডিক্লেয়ার (ঘোষণা) দিয়ে যদি করতে চায়, জাতীয় পার্টি প্রস্তুত আছে সব সময়। আমরা চাই না, মব ভায়োলেন্সের মতো আমরাও মব ভায়োলেন্স করি। কিন্তু যদি তারা রিঅ্যাকশন (প্রতিক্রিয়া) করে, জাতীয় পার্টি দাঁতভাঙা জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছে।’
রংপুর নগরের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) উদ্দেশে মোস্তাফিজার বলেন, ‘রংপুর কোতোয়ালির ওসি, মামলা যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এন্ট্রি (অন্তর্ভুক্তি) না হয়, তাহলে বুঝবেন, জাতীয় পার্টি কী করতে পারে। থানা ঘেরাওসহ অন্যান্য কর্মসূচি আমরা নেবো। আইন আইনের গতিতে চলবে, আপনারা তদন্ত করে দেখবেন। ভিডিও ফুটেজ আছে, কারা কারা এই সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে জড়িত, তাদের গ্রেফতার করবেন।’
জিএম কাদেরের বাসভবনে হামলার ঘটনার একদিন পর গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে রংপুর নগরের কোতোয়ালি থানায় মামলা করতে যান জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মিলন চৌধুরীসহ দলটির বেশ কয়েকজন নেতা। প্রায় এক ঘণ্টা পর থানা থেকে বের হয়ে তিনি অভিযোগ করেন, কোতোয়ালি থানার ওসি আতাউর রহমান মামলা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন।