মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের বাছিরপুর ও চালবন গ্রামে বাণিজ্যিকভাবে লটকন চাষ করছেন চাষিরা। এবার প্রতিটি বাড়িতে লটকনের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছেন চাষিরা।
জুড়ী ও সিলেটে লটকনের বেশ কয়েকটি নাম রয়েছে; যেমন- হাড়ফাটা, ডুবি, কানাইজু, লটকা, লটকাউ।মূলত গ্রীষ্মের তাপদাহে বৃষ্টির পরশের এই ফলটি ভালো হয়।
লটকন চাষিরা বলেন, ২০১৫ সালে জুড়ীতে লটকন (বুবি) খুব একটা ফলন হয়নি। তবে এবার সময়মতো বৃষ্টি হওয়ায় লটকন খুব ভালো হয়েছে। বাছিপুরের এম এ সালামের বাগানে প্রায় ১০০ টি লটকন গাছে ফলন ভালো হয়েছে। এবার তিনি আশা করছেন ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় করবেন।
কৃষক কমর উদ্দিন, আব্দুর রব, রিংকু রঞ্জন দাস, অতিকা অধিকারী জানান, শিলাবৃষ্টির কারণে কিছুটা ক্ষতি হলেও এবার লটকন খুব ভালো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, লটকুন পাকা শুরু করেছে।অন্যান্য ফসলের চেয়ে এবার এর বিক্রি ভালো হবে।
জুড়ী উপজেলার কৃষকরা মনে করেন, অন্যান্য ফলনের চেয়ে লটকন চাষে লাভও বেশি। বাজারে লটকনের খুচরা মূল্য ৫০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। এক কেজিতে আকারভেদে প্রায় ১০০টির মতো লটকন হয়।
পুষ্টিবিজ্ঞানীদের গবেষণা মতে লটকনের পুষ্টিগুণ প্রচুর।
/এআর/টিএন/
আপ: এইচকে