সিলেটের দক্ষিণ সুরমা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম রাহাত হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা শামসুদ্দোহা সাদিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) তাকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে কুষ্টিয়া জেলার সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে রাহাত হত্যাকাণ্ডের তদন্তের দায়িত্বও সিআইডিকে দেওয়া হয়েছে। গ্রেফতার সাদি দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সিলাম টিকর পাড়ার মোবারক হোসেনের ছেলে।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি কামরুল হাসান তালুকদার। তিনি বলেন, রাহাত হত্যা মামলার মূল আসামি সাদিকে কুষ্টিয়া থেকে গ্রেফতার করেছে সিআইডির একটি দল। মামলার তদন্ত ভারও তাদের দেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, কলেজছাত্র আরিফুল ইসলাম রাহাত মামলার আসামি ছাত্রলীগ নেতা শামসুদ্দোহা সাদি ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালান। এ জন্য সে সিলেট থেকে পালিয়ে কুষ্টিয়ায় চলে যায়। সাদিকে ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট মাঠে নামে। সিলেট মহানগর পুলিশের পাশাপাশি ছায়া তদন্তের কাজ শুরু করে অন্যান্য সংস্থা।
নিহত রাহাতের চাচাতো ভাই রাফি বলেন, ‘সে প্রাইভেট পড়তে যাবে, আমিও তখন তার মোটরসাইকেলে ছিলাম। যাওয়ার আগে এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে কলেজের ভেতর যায়। কলেজ থেকে বের হয়ে মূল গেটের সামনে আসা মাত্র সাদি নামের একজন পেছন থেকে অপর মোটরসাইকেলে করে এসে রাহাতকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে তাকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
জানা গেছে, শামসুদ্দোহা সাদি দক্ষিণ সুরমা সরকারি কলেজে ছাত্র রাজনীতি চালু করতে চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে অদ্যাবধি কলেজটি রাজনীতিমুক্ত। কলেজ কর্তৃপক্ষ ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে উশৃঙ্খলতার দায়ে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। এরপর সাদিকে কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ না করতেও মৌখিকভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়।