বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, ‘২০২৩ সালে বাংলাদেশে চা উৎপাদনে নতুন রেকর্ড হয়েছে। গত বছর দেশের ১৬৮টি বাগান ও ক্ষুদ্রায়তন চা-চাষিদের হাত ধরে ১০ কোটি ২৯ লাখ কেজি উৎপাদিত হয়েছিল। বর্তমানে উৎপাদন ১০ কোটি কেজি ছাড়িয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে চায়ের চাহিদা আছে ৯ কোটি ৫০ লাখ কেজি। সেখানে আমরা এখন উৎপাদন করছি ১০ কোটি ৩০ লাখ কেজি। এজন্য চায়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। ২০২৪ সালে চায়ের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১০ কোটি ৮০ লাখ কেজি। চলতি বছরের ছয় মাস চলে গেলো। মৌসুম মূলত শুরু হয় এপ্রিল মাস থেকে। সেক্ষেত্রে আমরা কিছুটা পিছিয়ে আছি। এরপরও আশা করছি, লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে।’
শনিবার (০৬ জুলাই) দুপুরে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল চা গবেষণা কেন্দ্রে ‘উন্মুক্ত চা আস্বাদনী’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আমাদের উদ্দেশ্য দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে চা রফতানি করা উল্লেখ করে চা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, ‘এ কারণে এবার চা দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল “চা দিবসের সংকল্প, রফতানিমুখী চা শিল্প”। স্বাধীনতা উত্তর এখানের চা বিদেশে বেশি রফতানি হতো। এখন সময়ের সঙ্গে দেশে-বিদেশে চাহিদা বেড়েছে। আমরা যে চা রফতানি করছি, এখন যদি আরও বেশি রফতানি করতে হয় তাহলে গুণগত মানের উন্নয়ন প্রয়োজন আছে। সেটি খুবই দরকার। মান বাড়লে বেশি পরিমাণ রফতানি করা যাবে।
চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মো. ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে এবং প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ শামীম আল মামুনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন চা বোর্ডের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরী, প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের পরিচালক ড. এ. কে. এম. রফিকুল হক, ফিনলে টি কোম্পানির চিফ অপারেটিং অফিসার তাহসিন আহমেদ চৌধুরী ও ভাড়াউড়া ডিভিশনের মহাব্যবস্থাপক গোলাম মোহাম্মদ শিবলী প্রমুখ।
চা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন ধরনের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করেছি। টি টেস্টিং কোর্স, টি মেকিং কোর্সলোকে গুরুত্ব দিচ্ছি। গত ৪ জুন চা দিবসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানসম্মত চা উৎপাদনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। এখন আমরা কম দামের চা উৎপাদন করবো না। উন্নত চা উৎপাদন করবো।’