স্নাতক পর্যায়ে দেশের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী লেখাপড়ে করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে। এসব শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে অধিভুক্ত কলেজগুলোর শিক্ষকদের শ্রেষ্ঠ হিসেবে দেখতে চান উপাচার্য ড. মশিউর রহমান। একই সঙ্গে কলেজগুলোয় প্রশাসনিকভাবে সেবার মান বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) গাজীপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে অ্যাকাডেমিক ভবনের ভার্চুয়াল ক্লাস রুমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য যোগদান করা প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ২৭ দিনব্যাপী চলা ‘আইসিটি দক্ষতা বৃদ্ধি ও প্রশাসনিক বিষয়ে’ প্রশিক্ষণের সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপাচার্য।
উপাচার্য বলেন, শিক্ষকতা অনন্য কাজ। আপনি দেশের জন্য, মানুষের জন্য, সমষ্টির জন্য কতটা করতে পারলেন সেটির আনন্দ অপার। আমরা সম্মিলিতভাবে নতুন নতুন কাজ, নতুন অংশগ্রহণ এবং নতুন ভাবনা নিয়ে এগিয়ে যাব। স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেছেন। স্মার্টনেস আমার কাছে আর কিছু নয়, এটি হচ্ছে ইনোভেশন। এটি ইমপ্লিমেন্ট করার অদম্য ইচ্ছাই স্মার্টনেস।
তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠান একটি বিমূর্ত জায়গা। আপনার যত্নে, ভালোবাসায় প্রতিষ্ঠান ঋদ্ধ হয়। আপনি যদি নিজেকে শ্রেষ্ঠ জায়গায় দেখতে চান, নিজেকে ভালো মানুষ হিসেবে দেখতে চান তাহলে অনবরত আপনার প্রতিষ্ঠানকে ভালোবাসতে হবে। প্রতিষ্ঠানকে যত্ন করার মধ্য দিয়ে আপনার নিজের ভালো থাকা নিশ্চিত হবে।
তিনি আরও বলেন, উচ্চশিক্ষার ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে। এই উচ্চশিক্ষার ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে আমরা যে দিকে ধাবিত করবো মূলত বাংলাদেশ উৎকর্ষতায় সেদিকে যাবে। এই জনগোষ্ঠীকে যতো দক্ষ, যোগ্য করে গড়ে তুলব বাংলাদেশ তত দ্রুত উন্নয়নের দিকে যাবে।
রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেনের সভাপতিত্বে ও মানবসম্পদ উন্নয়ন ও শুদ্ধাচার দফতরের পরিচালক জয়ন্ত ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ, ট্রেজারার অদ্যাপক আবদুস সালাম হাওলাদার। এছাড়া অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন দফতরের বিভাগীয় প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। সদ্য যোগদানকৃত ১৮জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও একজন সাব-টেকনিক্যাল অফিসার প্রশিক্ষণে অংশ নেন।