সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কমবেশি আর্থিক অনিয়মের ঘটনা ঘটছে উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রতিরোধে আর্থিক শৃঙ্খলা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) ইউজিসিতে দিনব্যাপী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বাজেট পরিপত্র ও অর্থনৈতিক কোড সংক্রান্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান। কর্মশালায় সেশন পরিচালনা করেন অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক মো. রেজাউল করিম হাওলাদার ও উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক আলমগীর বলেন, সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কম-বেশি আর্থিক অনিয়মের ঘটনা ঘটছে। ইউজিসি’র ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট পর্যবেক্ষণের তথ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ ৪৮টি এবং সর্বনিম্ন ৩টি অডিট আপত্তি রয়েছে। অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কোনোভাবেই অডিট আপত্তি শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে পারেনি।
দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে সরকারের বিধান ও নিয়মের ব্যত্যয়ের কোনও সুযোগ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন করা হবে।
দুর্নীতির উৎস বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা চান অধ্যাপক আলমগীর। তিনি বলেন, দেশে বিদ্যমান অর্থনৈতিক সংকটের কারণে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিজেদের চাহিদা পূরণে আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। নিজস্ব আয় বাড়লে বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকারের অনুদান কমানো হবে না।
কর্মশালায় অধ্যাপক জাকির হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে চলতি অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়নে বাজেট পরিপত্র ও অর্থনৈতিক কোড অনুসরণ করতে হবে। সরকারের অর্থ ব্যয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ম-নীতি যথাযথ অনুসরণ করা, বাজেট বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা এবং যেকোনও নিয়োগে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি দূর করতে হবে।
ইউজিসি’র অর্থ ও হিসাব বিভাগের উপপরিচালক মো. এমদাদুল হকের সঞ্চালনায় ৫৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালকসহ ইউজিসি’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কর্মশালায় অংশ নেন।