দেশের বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা তৃতীয় দিনের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন। লাগাতার এই কর্মসূচির তৃতীয় দিনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষক নেতাদের তালিকা চাওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৮ মে) বিকালে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি এবং সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ জানান, পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে অচলাবস্থা নিরসনে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য তালিকা চাওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে বৃহস্পতিবার (২৯ মে)। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারেন। তবে এ বিষয়ে এখনও সময় চূড়ান্ত হয়নি।
লাগাতার কর্মবিরতির তৃতীয় দিনে দেশের বেশিরভাগ বিদ্যালয়েই শিক্ষকরা ক্লাসে যাননি। শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে থাকলেও খেলা-ধুলা ছাড়া আর কোনও লেখাপড়া হয়নি।
শিক্ষক নেতা মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ বলেন, আমাদের বক্তব্য হলো, শিক্ষকরা দ্রুত এই অচলাবস্থা দূর করে শ্রেণিকক্ষে যেতে চায়। তবে তার আগে অবশ্য তাদের তিন দফা দাবি মেনে নিতে হবে। দাবি বাস্তবায়ন না হলে কর্মবিরতি চলতে থাকবে।
মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ আরও জানান, মন্ত্রণালয়ের সচিব ও অধিদফতরের মহাপরিচালকের (ডিজি) নির্দেশের কথা বলে অনেক উপজেলায় শিক্ষা অফিসাররা আন্দোলনরত শিক্ষকদের তালিকা চাওয়া হলে উপজেলার সব শিক্ষক কর্মবিরতি পালনে করেছেন বলে লিখিত দিয়েছেন। এমনকি কর্তৃপক্ষের শো-কজকেও এখন আর তারা ভয় পাচ্ছেন না।
এর আগে তিন দফা দাবিতে ৫ মে থেকে ১৫ পর্যন্ত এক ঘণ্টা, ১৬ মে থেকে ২০ মে পর্যন্ত দুই ঘণ্টা এবং ২১ মে থেকে ২৫ মে পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা।
এদিকে বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী শুক্র ও শনিবার বিদ্যালয় বন্ধ রাখা এবং প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা শুধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের নিয়ে যেন অনুষ্ঠিত হয় সে দাবিও করেন শিক্ষকরা।
শিক্ষকদের তিন দফা দাবি
১. কনসালটেশন কমিটির সুপারিশের যৌক্তিক সংস্কার করে সহকারী শিক্ষক পদকে এন্ট্রি পদ ধরে ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ।
২. ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড পেতে জটিলতা নিরসন।
৩. প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতিসহ দ্রুত পদোন্নতি দেওয়া।