X
বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
৪ আষাঢ় ১৪৩২

একজন মুক্তিযোদ্ধার সত্যি ঘটনা

বিনোদন রিপোর্ট
২৬ মার্চ ২০১৯, ০০:০১আপডেট : ২৬ মার্চ ২০১৯, ১৫:৫৭

শবনম ফারিয়া ও ইরফান সাজ্জাদ ১৯৭১ সালের একটি সত্যি ঘটনা। কুমিল্লার একজন মুক্তিযোদ্ধাকে আশ্রয় দিয়েছিল একটি পরিবার। ওই পরিবারের মেয়েটি আলবদর বাহিনীর হাত থেকে তাকে বাঁচাতে নিজের স্বামী হিসেবে কিছুদিন অভিনয় করেছেন। যুদ্ধের পর আর কখনও তাদের দেখা হয় না। যুদ্ধদিনের সেই ভালোবাসার গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে বিশেষ নাটক ‘যুদ্ধ দিনের প্রেম’। স্বাধীনতা দিবসে এটি দেখা যাবে টিভি পর্দায়। 

গল্পটি শুরু হয় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে। যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিতে সেখানে যায় শাহাদাত। তার প্রিয় শিক্ষক ঢাকা থেকে সেদিকে আসছিলেন। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় মেয়েকে নিয়ে একটি উপশহরে আশ্রয় নেন তিনি। এ খবর পেয়ে তাকে দেখতে ছুটে যায় শাহাদাত। ফিরে আসার সময় গঞ্জের পথ ধরে এগোলে আলবদর বাহিনীর সদস্যরা তার পিছু নেয়। জামার ভেতরে লুকানো রাইফেলসহ ধরা পড়বে নিশ্চিত হয়ে যায় সে। এ সময় দূর থেকে শাহাদাতকে দেখে ঢাকা কলেজের সিনিয়র বড় ভাই হিসেবে চিনে ফেলে সজল। সে এগিয়ে গিয়ে নিজের বড় বোনের স্বামী পরিচয় দিয়ে শাহাদাতকে বাঁচায়। কিন্তু আলবদর বাহিনীর সন্দেহ হওয়ায় বাড়ির বাইরে নজর রাখতে শুরু করে।

মুক্তিবাহিনীর সদস্য জেনে সজলের বড় বোন কাজল, বাবা, মা সবাই শাহাদাতকে আশ্রয় দেয়। কয়েকটা দিন কাজলের স্বামীর পরিচয়ে তাকে থাকতে হয় বাড়িতে। আলবদর বাহিনীর সন্দেহ মুছে দিতে তাদের অভিনয় করে যেতে হয়।

শাহাদাত চলে যাওয়ার দিন একই রিকশায় চড়ে তাকে বাসে তুলে দিয়ে আসে কাজল। বাড়িতে ফিরে রাতে জানালায় দাঁড়িয়ে সে কাঁদতে থাকে। মা দেখে ব্যাপারটা বুঝতে পারেন। মায়ের ধারণা, কিন্তু শাহাদাতকে মনের কথা বললে সে যুদ্ধ শেষে ফিরে আসতে পারতো। তখন কাজল হাউমাউ করে কাঁদতে থাকে।

শবনম ফারিয়া ও ইরফান সাজ্জাদ ‘যুদ্ধ দিনের প্রেম’ নামকরণ প্রসঙ্গে পরিচালক সাইদুর রহমান রাসেল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এখানে আমরা মুক্তিযুদ্ধে দেশপ্রেমের বিষয়টির ওপরই জোর দিয়েছি। পরিবারটির মধ্যে দেশপ্রেম ছিল বলেই তারা মুক্তিবাহিনীর একজন সদস্যকে জায়গা দিয়েছেন, তাকে বাঁচিয়েছেন। নারী-পুরুষের প্রেমের আবহে দেশপ্রেমের মনোভাবকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এই গল্পে।’

শবনম ফারিয়া একজন মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতির অনুপ্রেরণায় নাটকটি লিখেছেন মাসুম শাহরীয়ার। তাকেই নিজের জীবনের গল্পটি বলেছেন কুমিল্লার ওই মুক্তিযোদ্ধা। তবে যুদ্ধের পর কাজল কিংবা পরিবারটির সঙ্গে তার আর দেখা হয়নি। তাই তাদের পরিণতি জানেন না তিনি।
পরিচালক সাইদুর রহমান রাসেলের মন্তব্য, ‘আমরা নাটকের শেষটা এমনভাবে করেছি যে, দর্শক তার নিজের মতো করে একটা ভাবনা দাঁড় করাতে পারবেন। তাদের মনে হতে পারে, শাহাদাতের সঙ্গে পরিবারটির হয়তো দেখা হয়েছে। আবার এমনও হতে পারে, শাহাদাত চলে যাওয়ার পর আলবদর বাহিনী পরিবারটিকে মেরে ফেলেছে।’

শবনম ফারিয়া নাটকটিতে শাহাদাতের ভূমিকায় ইরফান সাজ্জাদ ও কাজল চরিত্রে অভিনয় করেছেন শবনম ফারিয়া। পূবাইলে গত ৩ ও ৪ মার্চ নাটকটির শুটিং হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাত ৯টা ৫ মিনিটে বাংলাভিশনে প্রচার হবে ‘যুদ্ধ দিনের প্রেম’।

/জেএইচ/এম/এমওএফ/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
শুভর অভিনয়ের প্রশংসা করলেন বাঁধন
শুভর অভিনয়ের প্রশংসা করলেন বাঁধন
পর্দা থেকে দিল্লির রাস্তায় তাপসী পান্নু!
পর্দা থেকে দিল্লির রাস্তায় তাপসী পান্নু!
ইনসাফ: নকল পোস্টার ও অগণিত ফর্মুলার ছবি, রেটিং ৫/১০
সিনেমা সমালোচনাইনসাফ: নকল পোস্টার ও অগণিত ফর্মুলার ছবি, রেটিং ৫/১০
শিক্ষাগুরুর মর্যাদার গল্পে প্রশংসিত ‘সম্মান’
শিক্ষাগুরুর মর্যাদার গল্পে প্রশংসিত ‘সম্মান’
‘সন্তানরা পর্দায় আমার কান্না দেখতে পছন্দ করে না’
‘সন্তানরা পর্দায় আমার কান্না দেখতে পছন্দ করে না’