২০১৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছিল মালেক আফসারী পরিচালিত ‘অন্তর জ্বালা’ ছবিটি। যেখানে কেন্দ্রীয় চরিত্রে ছিলেন পরীমণি। সিনেমাটি ব্যবসায়িকভাবে সফল না হলেও হয়েছিল প্রশংসিত।
পরীমণির বর্তমান আটক ইস্যুতে এবার মুখ খুলেছেন পরিচালক মালেক আফসারী। অনেকেই ভেবেছিলেন, হয়তো নিজ ছবির নায়িকাকে আগলে রাখবেন তিনি। কিন্তু উল্টো ক্ষোভ উগড়ে দিলেন ‘মাস্টার মেকার’-খ্যাত এই নির্মাতা।
গতকাল (৫ আগস্ট) পরীর বাসায় র্যাবের অভিযানের সময় পরীর আচরণকে ‘নাটক’ বলে আখ্যা দিলেন। তার দাবি, ‘পরী নাটকবাজ’।
ফেসবুক ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘আমি যেটা মনে করি, কারণ ছাড়া কেউ কারও বাসায় অভিযান চালায় না। কারণ যেটাই হোক না কেন, সবাইকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রাখতে হবে। এভাবে বাইরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দাঁড় করিয়ে রাখা ঠিক হয়নি। দরজা না খোলার কারণ, ভয় পাইছে। ভয় পাইছে না নাটক করছে! কে জানে। নাটকবাজ তো।’
ঢাকা বোট ক্লাবের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘এর আগে, ঢাকা বোট ক্লাবের ঘটনায় তোমার (পরী) পক্ষে কথা বলতে গিয়ে মানুষের নানা কথা শুনতে হয়েছে আমাকে। কী আর করবো, নিজেদের পরিবারের সদস্য তো! একটা ছেলেমেয়ে অন্যায় করলে বাপ-মাকেও মাঝে মধ্যে বকা শুনতে হয়। আমিও এটা শুনেছি।’
পুরনো একটি ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘সাত-আট মাস আগে, সে কিছু উল্টাপাল্টা ছবি ফেসবুকে দেয়, আমি আবার তাকে একটু হুঁশিয়ার করেছিলাম। এটা ঠিক না, এটা মুসলিম দেশ। সে জবাব দিয়েছিল ফেসবুকের মাধ্যমে। বলেছিল, ‘আপনি ডিরেক্টর আছেন, ছবি ডিরেকশন দেন। আমাকে ডিরেকশন দিয়েন না।’ আমি আবার মাইন্ড করি নাই, থাক পোলাপাইন! তারপরও বোট ক্লাবের ঘটনায় তার পক্ষ নিয়ে বলেছি। এটাও জনগণ মেনে নিতে পারেনি। তাই এখন আর কারও পক্ষ নিয়ে কথা বলতে চাই না।’’
গতকাল (৪ আগস্ট) বিকাল পৌনে চারটার দিকে র্যাব এই চিত্রনায়িকার বনানীর বাসায় উপস্থিত হয়। এরপর আতঙ্কিত পরী লাইভে এসে তাদের পরিচয় পাননি বলে দাবি করেন। পরে দরজা খুলে দিতে বাধ্য হন। এরপর চলে র্যাবের অভিযান। বিপুল মাদকসহ পরীকে আটক করে তারা।
উল্লেখ্য, গত ১৪ জুন দুপুরে সাভার থানায় নির্যাতন ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ছয় জনের নামে মামলা দায়ের করেন নায়িকা পরীমণি। মামলায় ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদকে প্রধান আসামি করা হয়। এরপর বেশ কিছু সিসিটিভি ফুটেজে পরী বিতর্কিত হয়ে ওঠেন। আসামিরা বর্তমানে জামিনে বাইরে আছেন।