X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১
মৃত্যুদিনে স্মরণ

আনোয়ার হোসেন: বিশেষ দুটি অর্জনের একমাত্র অধিপতি

বিনোদন রিপোর্ট
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০৫আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:৪৪

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি পাঁচ শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন। নায়ক চরিত্রে যেমন সফল ছিলেন, তেমনি জ্যেষ্ঠ ভূমিকায় এসেও ছড়িয়েছিলেন অভিনয়ের দ্যুতি। তিনি আনোয়ার হোসেন। যাকে ভালোবেসে দর্শক ও সিনে জগতের মানুষেরা বলেন, ‘মুকুটহীন নবাব’। বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন আনোয়ার হোসেন। সেই সিনেমা দিয়ে জয় করেছিলেন সবার মন। এরপরই সবাই তাকে সিনেমার নবাব হিসেবে আখ্যা দেন।

আজ মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বরেণ্য এই অভিনেতার মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৩ সালের এই দিনে মারা যান তিনি। বিশেষ দিনটিতে চলচ্চিত্র অনুরাগীরা তাকে স্মরণ করছেন নানাভাবে।  

এদিকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে আনোয়ার হোসেনের স্মরণে কোনও আয়োজন থাকছে কিনা, তা জানার জন্য সংগঠনটির সভাপতিকে না পেয়ে কার্যকরী পরিষদের সদস্য চিত্রনায়ক রিয়াজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের প্রতি মাসে একটি স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই মাসে যেসব শিল্পীর জন্মদিন কিংবা মৃত্যুবার্ষিকী থাকে, সেদিন তাদের সবার জন্যই দোয়া করি। তবে আলাদা করে আনোয়ার হোসেনের জন্য কোনও আয়োজন আছে কিনা, সেটা এখনও বলতে পারছি না।’

দর্শকের ভালোবাসা ও পুরস্কার দুটোতেই সমৃদ্ধ আনোয়ার হোসেনের প্রাপ্তির ঝুলি। তার এমন দুটি অর্জন রয়েছে, যা আর কারও নেই; ভবিষ্যতেও কারও পক্ষে পাওয়া সম্ভব হবে না। তিনি দেশের প্রথম অভিনেতা, যিনি একুশে পদকে ভূষিত হয়েছিলেন। ১৯৮৮ সালে তাকে রাষ্ট্রীয় এই সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আরও অনেকেই এই সম্মাননা পেয়েছেন, কিন্তু প্রথম অভিনেতা তিনিই।

দ্বিতীয় অর্জন হলো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। রাষ্ট্রীয় এই পুরস্কারের প্রবর্তন হয় ১৯৭৫ সালে। সে বছরই শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার পান আনোয়ার হোসেন। অর্থাৎ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের ইতিহাসেও প্রথম শ্রেষ্ঠ অভিনেতা তিনি।

আনোয়ার হোসেন/ছবি: ইন্টারনেট আনোয়ার হোসেনের জন্ম ১৯৩১ সালের ৬ নভেম্বর জামালপুরের মুরুলিয়া গ্রামে। প্রাইমারি স্কুলের ছাত্র থাকাকালীন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হয়েছিলেন তিনি। ভালোলাগা থেকেই স্কুলের বিভিন্ন অনুষ্ঠান পরিবেশনায় অংশ নিতেন। সেই ভালোলাগা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়।

কলেজ জীবনে মঞ্চ নাটকে জড়িয়ে পড়েন আনোয়ার হোসেন। এরপর ঢাকায় এসে পুরোদমে নাটকের পেছনে সময় দেন। তার সাবলীল অভিনয় অনেকের নজরেই পড়ে। এর সুবাদে পরিচালক মহিউদ্দিন তাকে ‘তোমার আমার’ সিনেমায় কাজের সুযোগ দেন। ১৯৬১ সালের ওই সিনেমায় অবশ্য আনোয়ার হোসেনের চরিত্র ছিলো ভিলেন।

নায়ক চরিত্রে আনোয়ার হোসেনের অভিষেক হয়েছিলো সালাহউদ্দিন পরিচালিত ‘সুর্যস্নান’ সিনেমার মাধ্যমে। এরপর অল্প সময়েই সিনেমা জগতে পরিচিতি লাভ করেন তিনি। ষাটের দশকের প্রথম পাঁচ বছরে আনোয়ার হোসেন অন্তত দেড় ডজন সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন।

কিন্তু দর্শকের কাছে জনপ্রিয়তা পেতে তাকে আরও কিছুটা অপেক্ষা করতে হয়। ১৯৬৭ সালে ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’ সিনেমায় অভিনয় করেই তিনি দেশজুড়ে খ্যাতি লাভ করেন।

স্মরণীয় এই অভিনেতার উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সিনেমা হলো- ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’, ‘জীবন থেকে নেয়া’, ‘জয় বাংলা’, ‘অরুণোদ্বয়ের অগ্নিসাক্ষী’, ‘লাঠিয়াল’, ‘পালঙ্ক’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘সখিনার যুদ্ধ’, ‘সূর্যগ্রহণ’, ‘সূর্যসংগ্রাম’, ‘দায়ী কে’, ‘সত্য মিথ্যা’, ‘নয়নমণি’, ‘ভাত দে’, ‘চাকর’, ‘অনন্ত ভালোবাসা’ ইত্যাদি।

/কেআই/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
সৌন্দর্যের সংজ্ঞা বদলাতে চান ম্রুনাল
সৌন্দর্যের সংজ্ঞা বদলাতে চান ম্রুনাল
‘জংলি’ মিশনে সিয়ামের সঙ্গী বুবলী
‘জংলি’ মিশনে সিয়ামের সঙ্গী বুবলী
পুরনো লাইনআপে ফিরছে ‘ব্ল্যাক’!
পুরনো লাইনআপে ফিরছে ‘ব্ল্যাক’!
ফটোগ্রাফারদের ওপর খেপলেন নোরা ফাতেহি!
ফটোগ্রাফারদের ওপর খেপলেন নোরা ফাতেহি!
শিল্পকলায় মঞ্চায়িত হলো আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের ‘হি-রোজ’
শিল্পকলায় মঞ্চায়িত হলো আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের ‘হি-রোজ’