X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১
মামানামা-আউট অব দ্য বক্স

ছবিটা আটকাতে গিয়ে তারা বদনাম কিনলেন: ফারুকী

বিনোদন ডেস্ক
১৫ মার্চ ২০২৩, ০০:০৬আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২৩, ১৩:০২

অনেকটা নীরবে ‘শনিবার বিকেল’ নির্মাণ করে ২০১৯ সালেই সেন্সর বোর্ডে জমা দিয়েছিলেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। বোর্ডের সদস্যরা দেখার পর প্রাথমিকভাবে জানান, ছবিটিকে তারা ছাড়পত্র দিচ্ছেন। কিন্তু আচমকাই বদলে যায় ছবির ভাগ্য। আটকে যায় সেন্সরের অস্পষ্ট বেড়াজালে। এরপর সময় গড়িয়েছে চার বছর। কিন্তু ছাড়পত্র আর মেলেনি।
 
নিজের ছবির জন্য ফারুকীর লড়াই তো জারি ছিলো এবং আছে। পাশাপাশি সংস্কৃতি অঙ্গনের আরও অনেকেই ‘শনিবার বিকেল’র মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। শুধু ব্যক্তি পর্যায়ে নয়, সাংগঠনিকভাবে এমনকি সংবাদ সম্মেলন ও আলোচনা সভা করেও ছবিটির মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন দেশের শিল্পাঙ্গনের গুণীজনেরা।
 
একপ্রকার চাপের মুখে পড়েই ফিল্ম সেন্সর আপিল কমিটি ‘শনিবার বিকেল’ দেখে। এরপর তারাও রায় দেন, এটি মুক্তিতে কোনও বাধা নেই। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তের পরও কেটে গেছে দুই মাস। মুক্তির চূড়ান্ত অনুমতি আর আসেনি।
 
এত কিছুর পরও ঠিক কোন শক্তি এখনও ‘শনিবার বিকেল’কে আটকে রেখেছে? এ প্রশ্ন শুনে ফারুকী একটু আক্ষেপের সুরেই বললেন, ‘আমি জানি না আসলে। যারাই এটা করছেন, তারা আসলে দেশের বদনাম করছেন। তারা যদি সরকারের স্বার্থ রক্ষার কথা বলেন, সরকারেরও বদনাম করছেন। এই ছবিটা নিয়ে ২০২২ সালের ৪ অক্টোবর নিউইয়র্ক টাইমসে ফুলপেজ রিপোর্ট ছাপা হয়েছে। আমি প্রশ্ন করতে চাই, যারা বলেছেন, এই ছবি দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করবে, ভাবমূর্তি কাদের কাছে ক্ষুন্ন করবে? বিদেশিদের কাছে; কিন্তু বিদেশি পত্রিকাগুলো কেউ তো এটা বলেনি যে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। বরং তাদের রিভিউতে রসিকতা করে বলেছে, এই ছবি যদি বাংলাদেশের জন্য কিছু করতে পারে, তা হলো ভাবমূর্তি বাড়াতে পারে; কমানোর কিছু তো আমরা দেখলাম না। অথচ ছবিটা আটকাতে গিয়ে তারা বিদেশ থেকে বদনাম কিনলেন।’

‘শনিবার বিকেল’ ছবির একটি দৃশ্য ফারুকী মনে করেন, সেন্সর বোর্ড নিয়ে সরকারের সিরিয়াসলি ভাবা উচিত। তার দাবি, ‘সেন্সর জিনিসটা একদমই অপ্রয়োজনীয়। এটা আমাদের (নির্মাতা) জন্য তো বটে, দর্শক এমনকি সরকারের জন্যও অপ্রয়োজনীয়। যেকোনও সরকার সেন্সর কেন রাখতে চায়, কারণ সে সেন্সর দ্বারা নিরাপদ অনুভব করে। দেশের জন্য কোনও ক্ষতিকর কাজ হলে এটা ব্যবহার করে সেটা বন্ধ করতে পারবে। প্রশ্ন হলো, এই আইন যখন করেছিলো, তখন হয়ত কার্যকর হতো। এখন এই যুগে এসে এর কোনও কার্যকারিতা আছে কিনা, তা ভাবতে হবে।’

উদাহরণ দিয়ে ফারুকী বলেন, “এখন কেউ যদি সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে চায়, সরকারের গায়ে বা দেশের গায়ে কালিমা মাখতে চায়, তাকে তো এতো কষ্ট করে শিল্প রচনা করতে হবে না। শিল্প বহু কষ্টের কাজ ভাই! জীবনটা বের হয়ে যায়! কেউ দেশের ক্ষতি করতে চাইলে শুধু পাঁচ মিনিটের ভিডিও বানাবে, ইউটিউব বা ফেসবুকে সেটা আপ করে দেবে। ফলে এটা তো ঠেকানো যাচ্ছে না। তাহলে এই আইন রেখে কী লাভ? এর একটাই লাভ, সৃষ্টিশীল মানুষদের যন্ত্রণা দিতে পারে। এবং বিদেশিদের কাছে বার্তা দিতে পারেন যে, বাংলাদেশে ‘ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন’ নাই।”

‘শনিবার বিকেল’ সংশ্লিষ্ট এরকম বিভিন্ন বিষয়ে বাংলা ট্রিবিউনের নিয়মিত আয়োজন ‘মামানামা-আউট অব দ্য বক্স’-এ যুক্ত হয়ে বিস্তর কথা বলেছেন ফারুকী। জনি হকের প্রযোজনায় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন মাহমুদ মানজুর। 

পুরো আলাপচারিতার লিংক:

 

/কেআই/এমএম/
সম্পর্কিত
যুক্তরাজ্যের টিভি চ্যানেলে ফারুকী-তিশার ‘অটোবায়োগ্রাফি’
যুক্তরাজ্যের টিভি চ্যানেলে ফারুকী-তিশার ‘অটোবায়োগ্রাফি’
ওটিটি: দুই উৎসব, দুই সিনেমা, দুই সিরিজ
ওটিটি: দুই উৎসব, দুই সিনেমা, দুই সিরিজ
‘কিছু’ না করেই সিনেমায় জেফার!
‘কিছু’ না করেই সিনেমায় জেফার!
জেফারকে সিনেমায় নিয়েছে ফারুকীকন্যা ইলহাম!
জেফারকে সিনেমায় নিয়েছে ফারুকীকন্যা ইলহাম!
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
এফডিসিতে মারামারি: যৌথ বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হলো
এফডিসিতে মারামারি: যৌথ বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হলো
সেন্সর বোর্ডের সিদ্ধান্ত, রাফীর সিনেমাটি প্রদর্শনের অযোগ্য!
সেন্সর বোর্ডের সিদ্ধান্ত, রাফীর সিনেমাটি প্রদর্শনের অযোগ্য!
সৌন্দর্যের সংজ্ঞা বদলাতে চান ম্রুনাল
সৌন্দর্যের সংজ্ঞা বদলাতে চান ম্রুনাল
‘জংলি’ মিশনে সিয়ামের সঙ্গী বুবলী
‘জংলি’ মিশনে সিয়ামের সঙ্গী বুবলী
পুরনো লাইনআপে ফিরছে ‘ব্ল্যাক’!
পুরনো লাইনআপে ফিরছে ‘ব্ল্যাক’!