X
সোমবার, ২০ মে ২০২৪
৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

অপেক্ষা আর অপূর্ণতার গল্প শোনালেন অধরা

কামরুল ইসলাম
০৩ জুন ২০২৩, ১৯:২৪আপডেট : ০৪ জুন ২০২৩, ১৪:০৩

ঢালিউডে তার পথচলা বছর পাঁচেকের। ২০১৮ সালে ‘নায়ক’ ছবি দিয়ে অভিষেক। তখন থেকেই নিজেকে মেলে ধরার চেষ্টা জারি রেখেছেন। মাঝে দু’বছর তাকে প্রেক্ষাগৃহে পাওয়া যায়নি। তবে শুক্রবার (২ জুন) মুক্তি পাওয়া ‘সুলতানপুর’ দিয়ে ফের চর্চায় এলেন। নাম তার অধরা খান। নতুন ছবির সূত্র ধরে তার সঙ্গে কথা বলেছে বাংলা ট্রিবিউন। গল্পের ছলে এতে উঠে এসেছে তার অপেক্ষা ও অপূর্ণতার গল্প।

শুরুটা ‘সুলতানপুর’ থেকেই করা যাক। মুক্তির দ্বিতীয় দিনে এসে জানতে চাওয়া হলো ছবিটি নিয়ে দর্শকের সাড়া প্রসঙ্গে। নায়িকার জবাব, ‘সিনেপ্লেক্স এবং কিছু ভালো হলে রিলিজ হয়েছে। এখনও যতটুকু খবর পেয়েছি, রেসপন্স ভালো। কয়েকটা হলে হাউজফুল ছিল। তবে মাত্র তো দুই দিন চলছে। প্রত্যাশামাফিক সাড়া পাচ্ছি বা পেয়েছি কিনা, সেটা ভাবার জন্য আরও কিছু দিন সময় নিতে চাই।’

গল্পটা আগেই পড়েছেন। এরপর শুটিংয়েও সবকিছু দেখেছেন। তবু দর্শক সারিতে বসে পুরো ছবি দেখার অনুভূতি নিঃসন্দেহে আলাদা। অধরা কি সেই অনুভূতি নিয়েছেন? দেখার পর কোন দিকটা তার বেশি ভালো লেগেছে? অধরা খান বললেন, ‘হ্যাঁ ছবিটা আমি দেখেছি। আমাদের ছবিটার এন্ড ক্লাইম্যাক্স অনেক বেশি টুইস্টে ভরা। একজন দর্শক কিংবা শিল্পী হিসেবে বললেও ছবির সবচেয়ে বড় চমক রয়েছে ক্লাইম্যাক্সে।’

অধরা খান ভালোর সঙ্গে খানিকটা অপূর্ণতার গল্পও শোনা যাক। অধরার ভাষ্যে সেটা এরকম, “অপূর্ণতা আসলে অনেক কিছুতেই থাকে। ছবিটা যখন সেন্সরে গিয়েছিল, তখন নাম পাল্টাতে হয়। অপূর্ণতা তখন থেকেই শুরু। কারণ ছবির গল্পের সঙ্গে মিল রেখে ‘বর্ডার’ নামটা রাখতে চেয়েছিলাম আমরা সবাই। দর্শক কিন্তু তিন বছর ধরে জানে আমরা ‘বর্ডার’ নামের একটি ছবি করছি। অথচ এখন তাদেরকে ‘সুলতানপুর’-এ আসতে বলছি! তো এই নামের ক্ষেত্রে অপূর্ণতাটা রয়ে গেছে।”

অন্য অনেকের মতো অধরা খানও মনে করেন, দেশে বাস্তবসম্মত সিনেমা নির্মাণ করা কঠিন। সেন্সর বোর্ডের নানান বাধার সম্মুখীন হতে হয়। যেটা সৃষ্টিশীল কাজের বড় অন্তরায়। 

দেশের সীমান্ত অঞ্চলের গল্প ‘সুলতানপুর’। এখানে অপরাধ-রাজনীতির সঙ্গে প্রশাসন, সামাজিক ও পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় উঠে এসেছে। সেক্ষেত্রে শুটিংয়েও অনেক শ্রম-ঘাম দিতে হয়েছে সবাইকে। লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের দিনগুলো হাতড়ে অধরা খান বলেন, ‘বেশিরভাগ শুটিং হয়েছে যশোর বেনাপোলে। এছাড়া আরও অনেকগুলো লোকেশনে শুটিং হয়েছিল। সেই দিনগুলো অনেক কঠিন ছিল এই কারণে যে, এটা র ফিল্ম। এখানে ফেইক কিছু করার সুযোগ ছিল না। অন্যান্য ছবিতে যেমন সেট বানিয়ে শুটিং করে ফেলা যায়। ন্যাচারাল আবহের জন্য আমাদের বিভিন্ন জায়গায় শুটিং করতে হয়েছিল। আরেকটা বড় বাধা ছিল করোনাভাইরাস। সেই দুর্বিসহ সময়ে শুটিং করা কতটা কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং ছিল, নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন।’

অধরা খান ‘সুলতানপুর’ ভ্রমণ শেষে অন্য কাজের বিষয়েও কিছু তথ্য দিলেন অধরা খান। জানালেন, সম্প্রতি তিনি ওয়াহিদুজ্জামান ডায়মন্ডের নির্মাণে ‘দখিন দুয়ার’ ছবির কাজ সেরেছেন। শিগগির এর ডাবিংয়ে অংশ নেবেন। এছাড়া অপূর্ব রানার পরিচালনায় কাজ করছেন ‘দ্য রাইট’-এ। ছবিটির ৭০ ভাগ শুটিং সম্পন্ন। বাকিটা কোরবানির ঈদের পর ধারণ করা হবে। 

অধরার ভাবনাজুড়ে সিনেমা। তবে যুগের চাহিদামাফিক ওটিটি প্রজেক্টেও যুক্ত হতে চান। যার জন্য রয়েছে তার ভেতরে অধীর অপেক্ষা। এ নিয়ে তার মন্তব্য, ‘আমার অভিষেক বড় পর্দা দিয়ে হয়েছে। এখনও পর্যন্ত বড় পর্দাতেই আছি। তবে ওটিটিতে কাজের ইচ্ছে আছে। সেক্ষেত্রে আমার চাওয়া হলো, সেখানে অভিষেক যেন ভালো কিছু দিয়ে হয়। এখন দেশের বাইরে সবাই ওটিটিতে কাজ করছেন। সুতরাং এটাকে সিনেমার বাইরে ভাবা যাবে না। মূল বিষয় হলো গল্প, নির্মাতা কিংবা প্ল্যাটফর্ম। তাই সেই সঠিক প্ল্যাটফর্মের জন্য অপেক্ষা করছি।’

অধরা খান শেষটা সিনে ভাবনায়। রূপালি ভুবনে জড়ানো এবং অর্ধ দশক কাটিয়ে দেওয়ার পর সিনেমা নিয়ে তার ভাবনা কেমন? জবাবে অধরা খান বললেন, ‘গত পাঁচ বছরে আমাদের সিনেমার অবস্থা আরও নাজুক হয়েছে। তবে সম্প্রতি, কোভিডের পর আবার উত্তরণ হচ্ছে। এই উত্তরণকে স্বাগত জানাই। ট্রেন্ডে সামিল হয়ে আমরাও চেষ্টা করি ভালো কাজ করার। আর সিনেমার জন্য নিজেকে তৈরি করতে হয়। তাই সিনেমা নিয়ে আপাতত এটাই ভাবনা যে, নিজেকে আরও তৈরি করতে হবে।’

বলা দরকার, ‘সুলতানপুর’ নির্মাণ করেছেন সৈকত নাসির। এতে আরও অভিনয় করেছেন সুমন ফারুক, সাঞ্জ জন, রাশেদ মামুন অপু, আশিষ খন্দকার, মৌমিতা মৌ, এ কে আজাদ সেতু প্রমুখ। এর কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেছেন যৌথভাবে আসাদ জামান ও নির্মাতা সৈকত নাসির। প্রযোজনায় ম্যাক্সিমাম এন্টারটেইনমেন্ট। অধরা খান

/এমএম/
সম্পর্কিত
সুলতানপুর: ফর্মুলায় আক্রান্ত ধারাবাহিকতাহীন ছবি
সিনেমা সমালোচনাসুলতানপুর: ফর্মুলায় আক্রান্ত ধারাবাহিকতাহীন ছবি
বঞ্চিত শিশুদের সঙ্গে অধরার মধুর সন্ধ্যা
বঞ্চিত শিশুদের সঙ্গে অধরার মধুর সন্ধ্যা
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
মাতৃহারা হলেন অভিনেতা জামিল
মাতৃহারা হলেন অভিনেতা জামিল
এ আর রাহমানের মুখে লালন ফকির থেকে শেখ হাসিনা...
কান উৎসব ২০২৪এ আর রাহমানের মুখে লালন ফকির থেকে শেখ হাসিনা...
লালগালিচা থেকে নেমে ফের বিড়ম্বনায় উর্বশি!
কান উৎসব ২০২৪লালগালিচা থেকে নেমে ফের বিড়ম্বনায় উর্বশি!
কোটি ভিউতে ফারহানের সেঞ্চুরি!
কোটি ভিউতে ফারহানের সেঞ্চুরি!
রাইমা নাকি সুচিত্রা!
রাইমা নাকি সুচিত্রা!