X
শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪
২৭ বৈশাখ ১৪৩১

সন্তান হারানোর ব্যথায় কাতর সেলিনা

বিনোদন ডেস্ক
২০ জুলাই ২০২৩, ১৩:৪৩আপডেট : ২০ জুলাই ২০২৩, ১৭:৩৯

কথায় আছে, গর্ভে থাকা অবস্থাতেই মা আর সন্তানের মধ্যে গভীর ভালোবাসা তৈরি হয়। সেলিনা জেটলি তার প্রয়াত ছেলে শমসেরের একটি ছবি শেয়ার করে নিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। গর্ভাবস্থার মাত্র ৩২ সপ্তাহে জন্ম হয়ে যায় তার দ্বিতীয় যমজ সন্তান এক ছেলে এক মেয়ের। কিন্তু বাঁচানো যায়নি ছেলেকে। ছেলেকে হারিয়ে লম্বা সময় ব্যথায় কাতর ছিলেন অভিনেত্রী।

বুধবার (১৯ জুলাই) ইনস্টাগ্রামে সেলিনা যে পোস্টটি শেয়ার করেছেন তাতে দেখা যাচ্ছে বুকের কাছে তিনি ধরে আছেন নবজাতক ছেলেকে। পাশে বসে সেলিনাকে জড়িয়ে ধরে আছে স্বামী পিটার হাগ। পরের ছবিটি হাসপাতালে এনআইসিইউ’র। একদম শেষ ছবিটি সেলিনার গোটা পরিবার একসঙ্গে হাসিমুখে ছবির জন্য পোজ দিয়েছে।

ছবিগুলো শেয়ার করে সেলিনা লেখেন, ‘আমাদের জীবনের এই পর্বের সঙ্গে মানিয়ে নিতে আমার ৫ বছর লেগে গেছে। কিন্তু আমি অবশেষে সেই সময়ের কথা বলার মতো সাহস জোগাড় করে ফেলেছি। যেহেতু আমাদের সন্তানের প্রিটার্ম জন্ম এবং শিশু হারানোর আঘাত মোকাবিলা করা সহজ ছিল না। তবে আমরা চাই আমাদের মতো মা-বাবারা জানুক তাদের সঙ্গেও এমনটা হতে পারে। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় আমরা দুজনেই নিশ্চিত করতে পারি যে প্রি-ম্যাচিউড বেবি বিশ্বাস ও প্রার্থনার শক্তি এবং মানুষকে লড়াই করার ক্ষমতা শিখিয়ে দিয়ে যায়। মনে রাখবেন, বেশিরভাগ প্রি-ম্যাচিউড বেবিই কিন্তু বেঁচে যায় এবং সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ও সুস্থ জীবনযাপন করে।’

‘গর্ভাবস্থার ৩৭ সপ্তাহ সম্পূর্ণ হওয়ার আগে জীবিত জন্ম নেওয়া শিশুকে প্রিটার্ম বলে সংজ্ঞায়িত করা হয়। শমসেরের হৃদয় দুর্বল ছিল। পিটার এবং আমার জন্য এটি খুব কঠিন সময় ছিল’, আরও লেখেন সেলিনা।

 
 
 
 
 
View this post on Instagram
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 

A post shared by Celina Jaitly (@celinajaitlyofficial)

এনআইসিইউর অভিজ্ঞতা সম্পর্কে সেলিনা লেখেন, ‘একটি অদ্ভুত এবং কঠিন পরিবেশ। আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে, ভালো দিন এবং খারাপ দিন উভয়ই থাকবে। তা মেনে নিয়েই আপনাকে চ্যালেঞ্জিং দিনগুলোর জন্য মনকে প্রস্তুত রাখতে হবে। সবার জন্য এটা অপশন নাও হতে পারে, তবে আমি আর পিটার শমসেরকে হারানোর পর কয়েক মাসের জন্য দুবাইয়ের সেই হাসপাতালে চলে আসি, যেখানে আর্থার ছিল। হতাশা, তীব্র দুঃখ, চিন্তা, অপরাধবোধ, ক্রোধ, ভালোবাসার অনুভূতিসহ নানা আবেগ সেই সময় আমাদের মনে ঘোরাফেরা করতো। খুব কঠিন ছিল দিনগুলো।’

ফিরোজ খান ও ফারদিন খানের ‘জানশীন’ দিয়ে আত্মপ্রকাশ করার পরে সেলিনা ‘আপনা স্বপ্ন মানি মানি’, ‘গোলমাল রিটার্নস’ এবং ‘নো এন্ট্রি’র মতো ছবিতে কাজ করেছেন।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

/এমএম/এমওএফ/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
পাঁচ ‘বুবলী’ নিয়ে থানায় অপু!
পাঁচ ‘বুবলী’ নিয়ে থানায় অপু!
‘মালা’র জন্য ঢাকার মঞ্চে ‘আবার’ অঞ্জন
‘মালা’র জন্য ঢাকার মঞ্চে ‘আবার’ অঞ্জন
পদ্মর সঙ্গী প্রিয়ম, আনন্দে আটখানা পরী
পদ্মর সঙ্গী প্রিয়ম, আনন্দে আটখানা পরী
ছয় প্রেক্ষাগৃহে ‌‘পটু’
এ সপ্তাহের ছবিছয় প্রেক্ষাগৃহে ‌‘পটু’
প্রথম দিন: বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যায় রবির গান আর দুই কিংবদন্তিকে স্মরণ
জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত উৎসবপ্রথম দিন: বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যায় রবির গান আর দুই কিংবদন্তিকে স্মরণ