শেষ পর্যন্ত পারলেন না বলিউড কুইন। হেরে গেলেন ‘ইমারজেন্সি’ মুক্তির প্রাথমিক লড়াইয়ে। ৬ সেপ্টেম্বর ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে না। যা নিয়ে আর কোনও সন্দেহ নেই।
ছবিটি মুক্তির জন্য গত ক’দিনে সেন্সর বোর্ড হয়ে হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ালেন কঙ্গনা রনৌত। ঘাটে ঘাটে বাধা পেলেন নিজের প্রথম পরিচালিত ও অভিনীত ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের ছবিটি নিয়ে। ছবিটিকে শেষ পর্যন্ত মুক্তির জন্য সার্টিফিকেট দেয়নি মুম্বাই হাইকোর্ট।
ইতোমধ্যে ‘ইমারজেন্সি’র বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলোর সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশনকে (সিবিএফসি) আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। অভিযোগ যাচাই বাছাই শেষে প্রতিবেদন পাওয়ার পর ছবিটি মুক্তির বিষয়ে নতুন রায় দেবেন হাইকোর্ট। তার আগে ছবিটি মুক্তি স্থগিত করেছেন বিচারক।
হাইকোর্টের এমন রায়কে ‘ইমারজেন্সি’র ওপর অবিচার বলে মনে করছেন কঙ্গনা। সেই সঙ্গে ছবিটি মুক্তির সার্টিফিকেট না পাওয়ায় দেশের সাধারণ মানুষদের অসচেনতাকেও দায়ী করছেন অভিনেত্রী-নির্মাতা।
হাইকোর্টের রায়ের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ কঙ্গনা লিখেছেন, ‘আমি সবার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছি। এই ঘুমন্ত জাতিকে জাগানোর জন্য এভাবেই চড়া মূল্য দিতে হবে। এই জাতি জানে না, আমি কী বলছি। আমি কেন এত উদ্বিগ্ন, সে সম্পর্কে তাদের কোনও ধারণা নেই। অবৈধভাবে মুক্তির সার্টিফিকেট আটকে রেখে হাইকোর্ট সেন্সর বোর্ডকে আরও উৎসাহিত করছে।’ ‘ইমারজেন্সি’তে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকায় অভিনয় করেছে কঙ্গনা। সিনেমাটির গল্প তৈরি করা হয়েছে ১৯৭০ সালে ভারতের জরুরি অবস্থা নিয়ে। যেটা ছিল দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ সময়।
ছবিটির গল্পে ঐতিহাসিক তথ্য বিকৃত করার পাশাপাশি কিছু নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করার অভিযোগ তুলেছে ভারতের একাধিক সম্প্রদায়। মূলত এই বিতর্কের কারণেই ‘ইমারজেন্সি’কে মুক্তির সার্টিফিকেট দেয়নি সেন্সর বোর্ড ও মুম্বাই হাইকোর্ট।
সূত্র: বলিউড হাঙ্গামা