X
মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
৩ আষাঢ় ১৪৩২

নাট্যোৎসবের মঞ্চে উঠেই পদত্যাগ করলেন সৈয়দ জামিল আহমেদ

বিনোদন রিপোর্ট
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০:২৬আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২:০২

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ। কারণ হিসেবে জানিয়েছেন, মন্ত্রণালয় ও একাডেমির নানাবিধ অসহযোগিতার চাপে কাজ করতে পারছিলেন না তিনি। তাই তিনি পদত্যাগ করছেন।

২৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ‘মুনীর চৌধুরী ১ম জাতীয় নাট্যোৎসব’র সমাপনী আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে শিল্পকলা একাডেমির মঞ্চে ছিলেন ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ। আরও ছিলেন একাডেমির সচিব মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেনসহ অনেকে। সভাপতির বক্তব্য দিতে এসে একাডেমির মহাপরিচালক প্রচণ্ড ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একই সময় লিখে আনা পদত্যাগপত্রটি তার পাশে বসে থাকা সচিবের হাতে তুলে দেন। এরপর জানান তার এই অপারগতার কারণ। 

গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক পদে নিয়োগ পেয়েছেন বিশিষ্ট নাট্যনির্দেশক ও শিক্ষক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ।

ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ ১৯৫৫ সালের ৭ এপ্রিল ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা। ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে এ বিভাগেই শিক্ষকতা করছেন।

১৯৭৮ সালে ভারতের ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামার স্নাতক প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হন সৈয়দ জামিল আহমেদ। একই বছর তিনি ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার টেলিভিশন প্রডিউসারস ট্রেনিংয়েও প্রথম হন। অতুল মেধার স্বাক্ষর রেখে ১৯৮৯ সালে তিনি ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব ওয়ারউইক থেকে থিয়েটার আর্টসে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৭ সালে অর্জন করেন পিএইচডি ডিগ্রি।

তার আলোচিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে- ‘অচিনপাখি ইনফিনিটি’, ‘ইনডিজেনাস থিয়েটার ইন বাংলাদেশ’, ‘ইন প্রেইজ অব নিরঞ্জন’, ‘ইসলাম থিয়েটার’, ‘এন্ড বাংলাদেশ’, ‘রিডিং এগেইন্সট দ্য ওরিয়েন্টালিস্ট গ্রেইন’, ‘পারফরম্যান্স অ্যান্ড পলিটিকস এন্টুইনড উইথ আ বুদ্ধিস্ট স্ট্রেইন’. ‘অ্যাপ্লাইড থিয়েট্রিক্স’, ‘এসেস ইন রিফিউসাল’।

সৈয়দ জামিল আহমেদ একাধারে পণ্ডিত, নাট্যপরিচালক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড মিউজিক বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। তার উল্লেখযোগ্য থিয়েটার প্রযোজনার মধ্যে রয়েছে ‘কমলা রানীর সাগর দীঘি’ (১৯৯৭), ‘এক হাজার আর এক থি রাত’ (১৯৯৮), ‘বেহুলার ভাসান’ (২০০৪), ‘পাহিয়ে’ (২০০৬) এবং ‘সং ভং চং’ (২০০৬)।

আরও: ‘মন্ত্রণালয়ের হাত-পা ধরার কোনও জায়গা আমার নাই’

/এমএম/এমওএফ/
সম্পর্কিত
শিল্পকলা একাডেমিতে ‘আনন্দ উৎসব’
শিল্পকলা একাডেমিতে ‘আনন্দ উৎসব’
শিল্পীদের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি ১০ প্রস্তাবনা
শিল্পীদের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি ১০ প্রস্তাবনা
পদত্যাগপত্র এখনও ঝুলে আছে, সিদ্ধান্ত সরকারের
পদত্যাগপত্র এখনও ঝুলে আছে, সিদ্ধান্ত সরকারের
কুমিল্লার ৮ মাসের বিদ্যুৎ বিল জমা দেয়নি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি
কুমিল্লার ৮ মাসের বিদ্যুৎ বিল জমা দেয়নি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
শিক্ষাগুরুর মর্যাদার গল্পে প্রশংসিত ‘সম্মান’
শিক্ষাগুরুর মর্যাদার গল্পে প্রশংসিত ‘সম্মান’
‘সন্তানরা পর্দায় আমার কান্না দেখতে পছন্দ করে না’
‘সন্তানরা পর্দায় আমার কান্না দেখতে পছন্দ করে না’
গল্পটা আমাকে মানসিকভাবে নাড়িয়ে দিয়েছে: নিহা
গল্পটা আমাকে মানসিকভাবে নাড়িয়ে দিয়েছে: নিহা
ঢাকা টু কলকাতা: মুখোমুখি দাঁড়িয়ে মুচকি হাসছেন জয়া!
ঢাকা টু কলকাতা: মুখোমুখি দাঁড়িয়ে মুচকি হাসছেন জয়া!
আবার মঞ্চে ‘পাইচো চোরের কিচ্ছা’
আবার মঞ্চে ‘পাইচো চোরের কিচ্ছা’