টম ক্রুজ শুধু হলিউডেরই নন, তাকে বলা হয় গ্লোবাল সুপারস্টার! তার পরবর্তী সিনেমা ‘মিশন: ইম্পসিবল’ ফ্র্যাঞ্চাইজির অষ্টম ছবি ‘দ্য ফাইনাল রেকনিং’ মুক্তি পাচ্ছে মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই। এটিকে টম ক্রুজের শেষ ছবি হিসেবে ধরা হচ্ছে। যদিও সেটি এই সিরিজের বিবেচনায়।
১৮ মে কান চলচ্চিত্র উৎসবে সিনেমাটির প্রিমিয়ার হয়েছে। সেখানেই টম জানিয়েছেন, এই ফ্র্যাঞ্চাইজির শেষ ছবি এটি।
তবে কি টম এবার থামছেন! নাকি এভাবেই কাজ করে যাবেন? অনেকেই বলেন, টম ৮০ বছর বয়সী অভিনেতা হ্যারিসন ফোর্ডের ক্যারিয়ার দ্বারা অনুপ্রাণিত এবং ফোর্ডের বয়স না হওয়া পর্যন্ত ‘মিশন: ইম্পসিবল’ সিনেমা চালিয়ে যেতে চান।
তবে না, এই সিনেমা থেকে ইতি টানছেন এবার। কিন্তু তিনি অ্যাকশন চালিয়ে যেতে চান আমৃত্যু।
এ বিষয়ে কানে টমকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি কখনও থামবো না। অ্যাকশন করা বন্ধ করবো না! সিনেমা করা বন্ধ করবো না। এসব নিয়ে আমি খুবই আগ্রহী।’
১৯৯৬ সালে শুরু হওয়া ‘মিশন: ইম্পসিবল’ ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রায় ৩০ বছর পেছনে তাকালে ক্রুজ কী ভাবেন, এমন প্রশ্নে এই অভিনেতা বলেন, ‘আমি যাদের সাথে কাজ করেছি, তাদের অনেকে অনেক পুরস্কারপ্রাপ্ত ছিলেন। অনেক কলাকুশলীর সঙ্গে আমি সময় কাটিয়েছি। গল্প বলা, জীবন, নেতৃত্ব দেওয়া, চরিত্র সম্পর্কে এবং চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রতিটি দিক সম্পর্কে আমি যা শিখেছি এবং শিখছি তা সবকিছুই এখান থেকে। এবং এটি সত্যিই ব্যতিক্রমী ছিল। আমি যে ছবিগুলো করেছি, তা করতে পেরে নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করি।’
প্রতিটি অ্যাকশন সিনেমায় তিনি দারুণ সব স্টান্ট নেন। এ বিষয়ে এই অভিনেতা রসিকতা করে বলেন, ‘অনেক স্টান্ট আমাকে বাঁচিয়ে রাখে! আমি কী করছি এবং আমাকে কতটা প্রস্তুতি নিতে হবে তার ওপর নির্ভর করে বিষয়গুলো। এতে অনেক চিন্তাভাবনা করতে হয়, যা খুব জটিল এবং আকর্ষণীয়।’
‘দ্য ফাইনাল রেকনিং’ নির্মাণ করেছেন ক্রিস্টোফার ম্যাককোয়ারি। এটি তার চতুর্থ ‘মিশন: ইম্পসিবল’ ফ্র্যাঞ্চাইজি।
এতে টম ছাড়াও অভিনয় করেছেন হেইলি অ্যাটওয়েল, ভিং রেইমস, সায়মন পেগ, এসাই মোরালেস, পম ক্লেমেন্টিয়েফ, হেনরি জার্নি, মারিয়েলা গ্যারিগা, অ্যাঞ্জেলা ব্যাসেট প্রমুখ।
‘মিশন: ইম্পসিবল- দ্য ফাইনাল রেকনিং’ ২১ মে মুক্তি পাচ্ছে ফ্রান্সে আর যুক্তরাষ্ট্রে ২৩ মে।
বলা প্রয়োজন, এবার ছিলো টমের তৃতীয় কান সফর। প্রথমবার তিনি গিয়েছিলেন ১৯৯২ সালে, রন হাওয়ার্ডের ছবি ‘ফার অ্যান্ড অ্যাওয়ে’-এর প্রিমিয়ারে। দীর্ঘ বিরতির পর ২০২২ সালে তিনি আবার কানে ফিরেছিলেন ‘টপ গান: ম্যাভরিক’ নিয়ে। সেই সফর ছিলো একেবারে স্মরণীয়—আবেগঘনভাবে তাকে প্রদান করা হয়েছিল গৌরবসূচক পাম দ’র, আর তার মাস্টারক্লাস ছিলো দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া এক অভিজ্ঞতা।
সূত্র: দ্য হলিউড রিপোর্টার