X
শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫
১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
এ সপ্তাহের সিনেমা

দেশের পর্দায় লিলো ও স্টিচের গল্প

বিনোদন রিপোর্ট
৩০ মে ২০২৫, ০০:৩৬আপডেট : ৩০ মে ২০২৫, ০০:৩৬

দেশের পর্দায় দেখা যাবে বিশ্বখ্যাত ডিজনির লাইভ-অ্যাকশন সায়েন্স ফিকশন কমেডি সিনেমা ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’। আজ, ৩০ মে স্টার সিনেপ্লেক্সের সবগুলো শাখায় সিনেমাটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে। 

নিশ্চিত করেছেন স্টারের গণমাধ্যম মুখপাত্র মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ। 

২০০২ সালের অ্যানিমেটেড ক্লাসিকের পুনঃনির্মাণ এটি। নতুন এই সংস্করণটি মূল গল্পের আবেগ ও বার্তা বজায় রেখে আরও আধুনিক রূপে উপস্থাপন করা হয়েছে। মার্কিন নির্মাতা ডিন ফ্লেইশার ক্যাম্প ছবিটি পরিচালনা করেছেন। গত ২৩ মে আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। 

মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই ছবিটি যুক্তরাষ্ট্রে ১৮৩ মিলিয়ন এবং বিশ্বব্যাপী ৩৪১ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। তবে, কিছু সমালোচক মূল অ্যানিমেটেড সংস্করণের গভীরতা ও আবেগঘন মুহূর্তগুলোর অভাব অনুভব করেছেন। বিশেষ করে, স্টিচের চরিত্রকে কমিক রিলিফে পরিণত করা এবং মূল গল্পের কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ পরিবর্তন করায় ভক্তদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। 

মূল চলচ্চিত্রের প্রধান ভিলেন ক্যাপ্টেন গ্যান্টুকে এই সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। পরিবর্তে, ড. জুম্বাকে ভিলেন চরিত্রে উপস্থাপন করা হয়েছে, যিনি স্টিচকে পুনরুদ্ধার করতে চান। নতুন চরিত্র হিসেবে টুটু নামের এক বৃদ্ধা প্রতিবেশীকে যুক্ত করা হয়েছে, যিনি লিলো ও নানির জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্র ছয় বছর বয়সী হাওয়াইয়ান মেয়ে লিলো পেলেকাই, যিনি হুলা নৃত্য ও সার্ফিং ভালোবাসেন। গল্পে দেখা যাবে, গ্যালাক্সির এক দূরবর্তী গ্রহে, বিজ্ঞানী ড. জুম্বা জুকিবা অবৈধ জেনেটিক পরীক্ষার মাধ্যমে একটি শক্তিশালী ও ধ্বংসাত্মক প্রাণী এক্সপেরিমেন্ট ৬২৬ (পরবর্তীতে স্টিচ নামে পরিচিত) তৈরি করেন। ৬২৬ পালিয়ে গিয়ে হাওয়াইয়ের কাউআই দ্বীপে অবতরণ করে। সেখানে, একাকী ও বিদ্রোহী স্বভাবের হাওয়াইয়ান মেয়ে লিলো পেলেকাই তাকে একটি কুকুর ভেবে দত্তক নেয় এবং নাম দেয় ‘স্টিচ’। লিলো ও তার বড় বোন নানি তাদের পরিবার হারানোর পর একসাথে বসবাস করে। নানি লিলোর দেখাশোনা করে, তবে সামাজিক কর্মী মিসেস কেকোয়া তাদের পারিবারিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। স্টিচের উপস্থিতি তাদের জীবনে অপ্রত্যাশিত পরিবর্তন আনে। স্টিচের নির্মাতা ড. জুম্বা ও তার সঙ্গী প্লিকলি তাকে পুনরুদ্ধার করতে পৃথিবীতে আসে, যা লিলো ও নানির জীবনে আরও জটিলতা সৃষ্টি করে। ছবির শেষভাগে, স্টিচ নিজের আত্মত্যাগের মাধ্যমে লিলোকে বাঁচায় এবং তার পরিবর্তনের প্রমাণ দেয়। গ্র্যান্ড কাউন্সিলওম্যান স্টিচের এই পরিবর্তন দেখে তাকে পৃথিবীতে থাকার অনুমতি দেয় এবং জুম্বাকে পুনরায় গ্রেফতার করে।

/এমএম/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
এই ঈদে আবার বসছে ‘চাঁদের হাট’!
এই ঈদে আবার বসছে ‘চাঁদের হাট’!
১ মিনিটের ‘টগর’
১ মিনিটের ‘টগর’
১০ মিলিয়নের মাইলফলক!
১০ মিলিয়নের মাইলফলক!
প্রথম ‘এক্সিলেন্স ইন সাকসেস অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন যারা
সংগীত পরিচালক হিসেবে পুতুলের প্রথম
দেশের পর্দায় লিলো ও স্টিচের গল্প
এ সপ্তাহের সিনেমাদেশের পর্দায় লিলো ও স্টিচের গল্প