প্রেমের পূর্ববর্তী জীবনটা লুকোচুরিময় হলেও বিয়ে পরবর্তী সময়ে প্রতিনিয়ত আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন নির্মাতা আদনান আল রাজীব ও অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী দম্পতি। যেমন সিনেমায় তেমন বাস্তবে।
যার সর্বশেষ রেশ মিলেছে ফ্রান্সের কান হয়ে প্যারিসের আইফেল টাওয়ারে। এবারের ৭৮তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে রাজীব নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘আলী’ পেয়েছে স্পেশাল মেনশন স্বীকৃতি। যা বাংলাদেশের জন্য প্রথম কোনও অর্জন। যদিও ছবিটির মালিকানায় রয়েছে আরও একটি দেশ। তবে নির্মাতা বাংলাদেশেরই। এই সাফল্যের উদযাপনে শেষ হতে না হতেই রাজীবের সঙ্গে স্ত্রী মেহজাবীনকে পাওয়া গেলো ভালোবাসার শহর প্যারিসে।
শুক্রবার (১৩ জুন) মেহজাবীনের ফেসবুকে প্রকাশ হয়েছে প্যারিসে কাটানো তাদের দারুণ সব মুহূর্তের ছবি। শহরটির প্রধান চমক বা স্তম্ভ আইফেল টাওয়ার কেন্দ্র করে দারুণ এক যুগল ফটোশুটে মেতেছিল এই দম্পতি, যা ছবিতে স্পষ্ট।
ছবিগুলো প্রকাশের পর অনুসারীরা যেন মুগ্ধতায় ভেসে যাচ্ছে। তারও আগে মেহজাবীন নিজের অনুভূতি ভাগ করে নিয়েছেন ক্যাপশনে, যেখানে তিনি লিখেছেন, ‘এখনও স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে, যদিও আমরা বাস্তবে আছি। ভালোবাসার শহরে, যেখানে প্রতিটি রাস্তা বলে যায় এক একটি প্রেমকাহিনি। আমি আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ, তিনি আমাদের গল্পটা এভাবে লিখেছেন।’
বলা দরকার, আদনান আল রাজীবের নির্মাণ ক্যারিয়ার প্রায় দুই দশকের। এর মধ্যে তিনি নির্মাণ করেছেন অসংখ্য বিজ্ঞাপন। বানিয়েছেন প্রশংসিত কিছু নাটক। তবে সর্বশেষ ‘আলী’ নির্মাণ করে তিনি যেন চমকে দিলেন। দেশের জন্য বয়ে আনলেন সম্মাননা।
ওদিকে, মেহজাবীন চৌধুরীকে বলা হয় বাংলাদেশের টিভি নাটক ইতিহাসের অন্যতম সফল অভিনেত্রী। শেষের দিকে এসে তিনি মন গলিয়েছেন সিনেমাতেও। এর মধ্যে ‘সাবা’ ও ‘প্রিয় মালতী’ নামের দুই সিনেমা নিয়ে অংশ নিয়েছেন বেশ ক’টি আন্তর্জাতিক উৎসবেও।
চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি তারা ঘটা করে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন। সফল পরিণতি ১৩ বছরের দীর্ঘ লুকোচুরি-প্রেম জীবনের।