ঢাকাই সিনেমার ‘মুভি মোগল’-খ্যাত প্রযোজক এ কে এম জাহাঙ্গীর খান আর নেই। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পৌনে ১২টায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন প্রযোজক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু।
‘নয়নমণি’, ‘শুভদা’, ‘কি যে করি’, ‘সওদাগর’, ‘সূর্যকন্যা’, ‘সীমানা পেরিয়ে’, ‘আলিঙ্গন’, ‘তুফান’, ‘রঙিন রূপবান’, ‘আলী বাবা ৪০ চোর’সহ এমন অনেক ব্যবসাসফল সিনেমার প্রযোজক এ কে এম জাহাঙ্গীর খান।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মূলত বার্ধক্যজনিত নানা অসুখে ভুগছিলেন এ কে এম জাহাঙ্গীর খান। জানা গেছে, আজ (১৫ ফেব্রুয়ারি) এশার নামাজের পর মুগদাপাড়ায় স্থানীয় মসজিদে জানাজা শেষে সেখানকার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। এর আগে মাগরিবের নামাজের পর গুলশানের ভোলা মসজিদে প্রথম জানাজা হবে।
স্বাধীনতার পর যে কজন দাপুটে প্রযোজক বাংলাদেশে চলচ্চিত্রশিল্পকে এগিয়ে নিতে কাজ করেছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম এ কে এম জাহাঙ্গীর খান।
১৯৭৮ সালে ‘চিত্রালী’ সম্পাদক প্রয়াত আহমদ জামান চৌধুরী তাকে ‘মুভি মোগল’ খেতাব দেন তার লেখায়। তখন থেকে তিন যুগেরও বেশি সময় ধরে তিনি ঢাকার চলচ্চিত্রজগতে এ নামেই পরিচিত ছিলেন।
১৯৮৬ সালে তার প্রযোজিত ও চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘শুভদা’ ছবিটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের ১৩টি পদক অর্জন করে অনন্য রেকর্ড গড়ে। ১৯৭৬ সালে প্রথম তিনি প্রযোজনা করেন ‘নয়নমণি’ ছবিটি। এর আগে ১৯৭৩ সালে তার প্রথম পরিবেশিত ছবি ছিল ‘যাহা বলিব সত্য বলিব’। ৪৩টি ছবির প্রযোজক ও পরিবেশক তিনি।
এ মুভি মোগল প্রযোজিত সিনেমা টানা ১০৩ সপ্তাহ পর্যন্ত প্রদর্শিত হয়েছে। সেটি হলো আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘নয়নমণি’। ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ ছবিটি এক কোটি টাকা ব্যবসা করে তখন।
এ কে এম জাহাঙ্গীর খানের সর্বশেষ প্রযোজনা ছিল ১৯৯৮ সালে ‘রঙিন নয়নমণি’ ছবিটি।
১৯৩৯ সালের ২১ এপ্রিল কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম চিওড়া কাজীবাড়ি মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। পুরো নাম আবুল খায়ের মো. জাহাঙ্গীর খান।