X
বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪
৩ বৈশাখ ১৪৩১

সালমান শাহ'র মৃত্যু রহস্য: তদন্ত প্রতিবেদনে সন্তুষ্ট সামিরার বাবা

বিনোদন রিপোর্ট
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৫:০৬আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৯:৩৪

সালমান শাহ সালমান শাহ’র মৃত্যু মামলার তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে মন্তব্য করেছেন নায়কের শ্বশুর, সামিরার বাবা শফিকুল হক হীরা। সাবেক এ ক্রিকেটার দাবি করেন, এর মাধ্যমে দীর্ঘ সময়ের অভিযোগের অবসান হলো।

এ প্রতিবেদনে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে সালমানের মৃত্যুর ক্ষোভ পড়েছে সামিরা ও তার পরিবারের ওপর। পিবিআই’র এ তদন্তের মাধ্যমে সে অভিযোগের অবসান হলো।’
ঢাকাই চলচ্চিত্রে নব্বই দশকের সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহ।
তার মৃত্যুর কারণ নিয়ে আজ (২৪ ফেব্রুয়ারি) প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
যেখানে বলা হয়, পারিবারিক কলহের জের ধরেই সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন। সংস্থাটির ডিআই‌জি বনজ কুমার মজুমদার বলেন, ‘পিবিআইর তদন্তে সালমান শাহকে হত্যার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পারিবারিক কলহ ও মানসিক যন্ত্রণায় তিনি আত্মহত্যা করেছেন।’
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার ইমন ওরফে সালমান শাহ। ওই সময় এ বিষয়ে অপমৃত্যুর মামলা করেন তার বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। ১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় সিআইডি। এতে সালমান শাহ’র মৃত্যুকে ‘আত্মহত্যা’ বলে উল্লেখ করা হয়। সিআইডির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী মহানগর দায়রা জজ আদালতে রিভিশন আবেদন করেন।
পরে ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে মামলাটিকে হত্যা মামলায় রূপান্তরিত করার আবেদন জানান তিনি। অপমৃত্যুর মামলার সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের বিষয়টি একসঙ্গে তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন আদালত।
গত ৩ নভেম্বর ১৯৯৭ সালে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় সিআইডি। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সালমান শাহ’র মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়। ২৫ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে এটি গৃহীত হয়। সিআইডি’র প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে তার বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী রিভিশন মামলা দায়ের করেন।

২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠায় আদালত। এরপর প্রায় ১৫ বছর মামলাটি সেই তদন্তে ছিল।

২০১৪ সালের ৩ আগস্ট ঢাকার সিএমএম আদালতের বিচারক বিকাশ কুমার সাহার কাছে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক। এ প্রতিবেদনে সালমান শাহ’র মৃত্যুকে অপমৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর এ চিত্রনায়কের মা নীলা চৌধুরী ছেলের মৃত্যুতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান এবং ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দেবেন বলে আবেদন করেন।
২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি নীলা চৌধুরী ঢাকা মহানগর হাকিম জাহাঙ্গীর হোসেনের আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে নারাজির আবেদন দাখিল করেন। সে আবেদনে উল্লেখ করা হয়, আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ১১ জন তার ছেলে সালমান শাহ’র হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারেন।

মামলাটি এরপর র‍্যাব তদন্ত করে। তবে তাদের দ্বারা তদন্তের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ গত বছরের ১৯ এপ্রিল মহানগর দায়রা জজ আদালতে একটি রিভিশন মামলা করে। ২০১৬ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ ৬-এর বিচারক ইমরুল কায়েস রাষ্ট্রপক্ষের রিভিশনটি মঞ্জুর করেন এবং র‍্যাবকে মামলাটি আর না তদন্ত করার আদেশ দেন। তখন থেকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্বে আছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এরপরও নানা কারণে দফা দফায় প্রতিবেদন প্রকাশের তারিখ পেছানো হয়। যা সর্বশেষ আজ প্রকাশিত হলো।

/এম/এমওএফ/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
কানে আবার আমন্ত্রিত ঢাকার ঋতি
কানে আবার আমন্ত্রিত ঢাকার ঋতি
উৎসব থমকে যাচ্ছে ‘রূপান্তর’ বিতর্কে, কিন্তু কেন
উৎসব থমকে যাচ্ছে ‘রূপান্তর’ বিতর্কে, কিন্তু কেন
মনে হয়নি দেশের বাইরে আছি: যুক্তরাষ্ট্র থেকে পার্থ 
মনে হয়নি দেশের বাইরে আছি: যুক্তরাষ্ট্র থেকে পার্থ 
কাজলরেখা: ঘোড়া, গরু, হাতিগুলো স্বাস্থ্যবান নয়
সিনেমা সমালোচনাকাজলরেখা: ঘোড়া, গরু, হাতিগুলো স্বাস্থ্যবান নয়
সম্প্রচারের দুই দশকে...
সম্প্রচারের দুই দশকে...