X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

ইমনের হাত ধরে ‘ওয়ান ম্যান ব্যান্ড’ দুনিয়ায় বাংলাদেশ

বিনোদন রিপোর্ট
১৮ জুন ২০২০, ২১:৩৭আপডেট : ১৯ জুন ২০২০, ২০:০৭

ভিডিওর একটি দৃশ্য ওয়ান ম্যান ব্যান্ড, মানে এক সদস্যের দল! একটু কেমন কেমন শোনালেও বিশ্বজুড়ে এমন ব্যান্ডের প্রচলন বহুকাল আগে থেকে। সংখ্যায় কম হলেও বিশ্বসংগীতে এর প্রভাব কম নয়।

দুই হাতে গিটার আর কিবোর্ড, মুখে স্যাক্সোফোন, মাইক্রোফোন, মাউথ অর্গান বা কাজু; পিঠে ড্রামস সেট আর পায়ে ঘুঙুর বেঁধে নিয়ে একজন শিল্পীর পরিবেশনার সে এক এলাহি কাণ্ড! এর আগে বাংলাদেশে যার খানিকটা রেশ মিলেছিল শায়ানের মাধ্যমে। যদিও সেটা ওয়ান ম্যান ব্যান্ড বিভাগে পড়ে না। কারণ, ব্যান্ড হতে হলে দরকারি সব ইনস্ট্রুমেন্টস বাজাতে ও গাইতে হবে নিজেকেই।
সে হিসেবে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশেও মিললো ওয়ান ম্যান ব্যান্ড-এর বিস্ময়কর নজির। আর এই অসাধ্য সাধন করলেন দেশের অন্যতম প্রতিভাবান মাল্টি মিউজিশিয়ান ইমন চৌধুরী। যার প্রধান পরিচয় চিরকুট ব্যান্ডের গিটারিস্ট হিসেবে।
ওয়ান ম্যান ব্যান্ড-এর আন্তর্জাতিক নিয়মকে ফলো করে বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) ইমন অন্তর্জালে প্রকাশ করেন তার প্রথম পরিবেশনা। ফেসবুক ও ইউটিউব দুটি মাধ্যমেই এটির ভিডিও উপভোগ করা যাচ্ছে। যেখানে ইমন একাই গিটার, ড্রামস, কিবোর্ড, ঘুঙুর ও কাজু বাজিয়েছেন। ছিলেন কণ্ঠতেও।
ইমন চৌধুরী বলেন, ‘‘সৃষ্টিকর্তাকে অনেক ধন্যবাদ এই স্বপ্নটি পূরণ করার জন্য। এখন আমাদের দেশও ‘ওয়ান ম্যান ব্যান্ড’ দুনিয়ার একটি অংশ। এটা আমার জন্য আনন্দের বিষয়। প্রায় ২ বছর ধরে এই নিরীক্ষামূলক প্রকল্পটি নিয়ে কাজ করছি। অবশেষে সেটি আলোর মুখ দেখলো। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই প্রত্যেকটি মানুষকে, যারা এই কাজটি সফল করার জন্য পাশে ছিলেন।’’
ইমনের এই ভিডিওটি প্রকাশের পরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। এটি নির্মাণ করেছেন খায়ের খন্দকার।
ইমন আরও জানান, এর আগে বাদ্যযন্ত্র নিয়ে বহু কাজ করলেও এবারেরটি সবচেয়ে পরিশ্রমের ছিল। দীর্ঘদিন অধ্যবসায় করার পরই এটি সম্ভব হয়েছে।
কিন্তু বাংলাদেশের প্রথম ‘ওয়ান ম্যান ব্যান্ড’-এর প্রথম আয়োজনটি নামহীন কেন? এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে ইমন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘‘আমি আসলে পৃথিবীকে ফলো করেই কাজটি করেছি। আমি দেখেছি, এসব ব্যান্ডের প্রথম কাজটি হয় ব্যান্ডের নামেই। আর ব্যান্ডটির নামকরণ করা হয় ওই শিল্পীর দেশ অথবা এলাকার নামটি যুক্ত করে। যেমন আমার এই ব্যান্ডের নাম ‘বাংলাদেশি ওয়ান ম্যান ব্যান্ড’। ফলে প্রথম ট্র্যাকটির নামও সেটিই থাকলো। নাম দিতে পারবো পরের প্রজেক্টগুলোতে।’’
যদিও বিষয়টি অনেক সময় ও শ্রমসাপেক্ষ বলে জানান ইমন। বলেন, ‘আবার নতুন প্রজেক্ট তৈরি করতে কতদিন সময় লাগে সেটি বলা মুশকিল। এক বছর তো লাগবেই। আবার করোনা টিকে থাকলে ছয় মাসেও নামিয়ে ফেলতে পারি।’
ভিডিও:

ত্রয়োদশ শতাব্দীতে ওয়ান ম্যান ব্যান্ড প্রথম দেখা যায়। সে সময় সাধারণত বাঁশি ও টাবর নামের বাদ্যযন্ত্র দেখা যেত। ফ্রান্স, ইংল্যান্ড ও স্পেনে এখনও এগুলোর প্রচলন আছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাদ্যযন্ত্রের বদল ও বৃদ্ধি হতে থাকে। মূলত এটি এ ধরনের সংগীতশিল্পীদের জন্য চ্যালেঞ্জও। তাই প্রতিনিয়ত বেশি সংখ্যক ও নিত্যনতুন বাদ্যযন্ত্র শিল্পীরা যোগ করেছেন।
মাইক ওল্ডফিল্ড, সিডনি বেচেট, পল ম্যাককার্টনি, টড রন্ডগ্রেন, জন ফোগার্টির মতো শিল্পীরা সংগীতের এই সাধনা অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।

/এম/এমএম/এমওএফ/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
‘জংলি’ মিশনে সিয়ামের সঙ্গী বুবলী
‘জংলি’ মিশনে সিয়ামের সঙ্গী বুবলী
পুরনো লাইনআপে ফিরছে ‘ব্ল্যাক’!
পুরনো লাইনআপে ফিরছে ‘ব্ল্যাক’!
ফটোগ্রাফারদের ওপর খেপলেন নোরা ফাতেহি!
ফটোগ্রাফারদের ওপর খেপলেন নোরা ফাতেহি!
শিল্পকলায় মঞ্চায়িত হলো আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের ‘হি-রোজ’
শিল্পকলায় মঞ্চায়িত হলো আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের ‘হি-রোজ’
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…