X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

সোমালিয়ার দুর্ভিক্ষে স্কুল থেকে ঝরে যাচ্ছে এক-তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থী

বিদেশ ডেস্ক
০৫ মার্চ ২০১৭, ১২:২৬আপডেট : ০৫ মার্চ ২০১৭, ১২:৩৩
image

সোমালিয়ার দুর্ভিক্ষে স্কুল থেকে ঝরে যাচ্ছে এক-তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থী জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, সোমালিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে তীব্র খরার কারণে সৃষ্ট দুর্ভিক্ষে প্রায় ৬২ লাখ মানুষ খাদ্য ও পানি সংকটে রয়েছে। এর ফলে দেশটির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থী স্কুল ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে।

খরা আক্রান্ত অঞ্চলে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ অনাহারে রয়েছে। খাদ্য ও পানির সংকটে শিশুদের জন্য স্কুলে যাওয়াটা কষ্টকর হয়ে উঠেছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, প্রায় ৩০ লাখ শিক্ষার্থী স্কুলে যাওয়া বন্ধ করেছে। এর সঙ্গে আরও এক লাখ শিক্ষার্থী যুক্ত হতে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার সোমালিয়ার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আবদুল্লাহি মোহাম্মদ এই অবস্থাকে ‘জাতীয় বিপর্যয়’ বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

সাদিয়া ওমর নামে এক শিক্ষার্থী জানায়, ‘আমি স্কুলে ফিরতে চাই। কিন্তু আমি পরিবারের বড় সন্তান। আর খরার ফলে আমাকে ঘরে কাজ করতে হচ্ছে।’

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদক ফাহমিদা মিলার সোমালিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের ডলো এলাকা থেকে জানান, খরায় ধুমা ধুমা এলাকা ভীষণভাবে প্রভাবিত হয়েছে। গত তিন মাসে ওই এলাকার শিশুরা উল্লেখযোগ্য হারে স্কুল ছেড়েছে।   

ধুমা ধুমা এলাকার স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবদিহাকিম আহমেদ জানান, ‘যদি এভাবেই খরা চলতে থাকে, তাহলে শিক্ষার্থীরাও স্কুল ছাড়তে থাকবে। আর তারা ফিরেও আসবে না। তাদের ভবিষ্যৎ জীবনে এর প্রভাব পড়বে।’

সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করেছে, সোমালিয়া গত ২৫ বছরের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।

এর আগে ২০১১ সালের দুর্ভিক্ষে সোমালিয়ায় অন্তত ২ লাখ ৬০ হাজার মানুষ নিহত হন। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচীর হিসেবে, যাদের মধ্যে অর্ধেকের বেশিই ৫ বছরের কম বয়সী শিশু।

তীব্র খরায় ডায়রিয়া, কলেরা এবং হামের মতো রোগ-জীবাণু ছড়িয়ে পড়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করেছে। পানিবাহিত রোগের ঝুঁকিতে রয়েছেন ৫৫ লাখ মানুষ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, অপুষ্টিতে আক্রান্ত ৩ লাখ ৬৩ হাজার শিশু এবং তীব্র অপুষ্টির শিকার ৭০ জাহার শিশুর জীবন বাঁচাতে এখনই ত্রাণ সহায়তা প্রয়োজন।

এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস জানান, দক্ষিণ সুদান, নাইজেরিয়া, সোমালিয়া এবং ইয়েমেনে প্রায় দুই কোটি মানুষ অনাহারে রয়েছেন।

দক্ষিণ সুদানের উত্তরাঞ্চলে আগেই দুর্ভিক্ষের ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে ঘোষণা না দেওয়া হলেও বহুদিন ধরেই অনাহারে রয়েছেন নাইজেরিয়া, সোমালিয়া এবং ইয়েমেনের বহু মানুষ।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, নাইজেরিয়ার কিছু প্রত্যন্ত অঞ্চল গত বছর থেকেই দুর্ভিক্ষে আক্রান্ত রয়েছে। আর সোমালিয়ায় যা চলছে ২০০০ সাল থেকে।

সোমালিয়ার দুর্ভিক্ষের কারণ খরা। বাকি দেশগুলোতে সংঘাত আর মানব সৃষ্ট কারণে ঘটছে এমন বিপর্যয়।

সূত্র: আল-জাজিরা।

/এসএ/

সম্পর্কিত
কেনিয়ায় বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮১
ক্যানারি দ্বীপে নৌকাডুবি, ৫০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা
বৃষ্টি ও বন্যায় কেনিয়ায় নিহত অন্তত ৪৫
সর্বশেষ খবর
শর্টকাটে বড়লোক হতে গিয়ে
শর্টকাটে বড়লোক হতে গিয়ে
নারী ফুটবল লিগ থেকে চারটি দলের ভোটাধিকার থাকছে!
নারী ফুটবল লিগ থেকে চারটি দলের ভোটাধিকার থাকছে!
থেমে থাকা ট্রাকে পিকআপের ধাক্কা, ২ জন নিহত
থেমে থাকা ট্রাকে পিকআপের ধাক্কা, ২ জন নিহত
প্রতিদিন মা হারাচ্ছে ৩৭ ফিলিস্তিনি শিশু
প্রতিদিন মা হারাচ্ছে ৩৭ ফিলিস্তিনি শিশু
সর্বাধিক পঠিত
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
ব্যর্থতার অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিশ
ব্যর্থতার অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিশ
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?