X
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৬ বৈশাখ ১৪৩১

সন্দেহভাজনের ছবি ছাড়া জয়নাব হত্যা তদন্তে অগ্রগতি নেই

বিদেশ ডেস্ক
১৫ জানুয়ারি ২০১৮, ১২:০৭আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০১৮, ১২:১৬
image





পাকিস্তানের পাঞ্জাবের কাসুরে ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হওয়া ছয় বছরের শিশু জয়নাবের মামলার তদন্তের পঞ্চম দিনে সামনে এসেছে মূল সন্দেহভাজনের দুটি স্পষ্ট ছবি। এছাড়া এই মামলায় আর কোনও বড় অগ্রগতি নেই বলে জানিয়েছেন পাঞ্জাবের পুলিশ প্রধান আরিফ নওয়াজ খান। দেশটির সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে রবিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি দাবি করেছেন, দ্রুতই অপরাধীকে আটকে সক্ষম হবেন তারা।

জয়নাব হত্যায় সন্দেহভাজন হিসেবে ডানের দুটি ছবি প্রকাশ করেছে পাঞ্জাব পুলিশ।


গত ৪ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) কোরআন ক্লাসে শেষে বাসায় ফেরার পথে পাঞ্জাবের কাসুর শহর থেকে ছয় বছরের শিশু জয়নাবকে অপহরণ করা হয়। ওই সময় বাবা-মা ওমরাহ পালন করতে সৌদি আরবে থাকায় খালার কাছে ছিল সে। পরে ৯ জানুয়ারি এক পুলিশ সদস্য শাহবাজ খান রোডে আবর্জনার স্তূপ থেকে জয়নাবের মরদেহ উদ্ধার করেন। ময়না তদন্তে দেখা গেছে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে তাকে। এক বছরের মধ্যে কাসুরে আরও ১১ টি শিশু ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয়েছে। জয়নাবের ঘটনায় বিক্ষোভে ফেটে পড়ে কাসুর শহরসহ গোটা পাকিস্তান।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, রবিবার জয়নাব হত্যা তদন্তে গঠিত যৌথ তদন্ত দল কাসুরে একই ধরণের ঘটনার শিকার ১১ শিশুর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তবে কাসুর জেলা পুলিশ কর্মকর্তার (ডিপিও) বাসভবনের ওই বৈঠকে জয়নাবের পরিবারের সদস্যরা ছিলেন না।
১১ জানুয়ারি এই ঘটনার প্রথম সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করে পাঞ্জাব পুলিশ। ওই ফুটেজে এক ব্যক্তিকে এক শিশুর হাত ধরে হাঁটতে দেখা যায়। পুলিশ দাবি করে, সেটি ছিল শিশু জয়নাবকে দেখা যাওয়ার শেষ মুহূর্ত। ১১ জানুয়ারি লাহোর হাইকোর্ট সন্দেহভাজন অপরাধীদের ধরতে ১২ তারিখ সকাল আটটা থেকে ৩৬ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয় পাঞ্জাব সরকারকে। পরদিন ১৩ জানুয়ারি ওই ফুটেজের ভিত্তিতে সন্দেহভাজনের স্কেচ প্রকাশ করে পুলিশ।
পাকিস্তানের জিও টিভি পাঞ্জাব পুলিশের মহাপরিদর্শক আরিফ নওয়াজ খানকে উদ্ধৃত করে জানায়, ওই ব্যক্তি আসলে ৮টি হত্যাকাণ্ডে জড়িত। তিনি বলেন, ‘ডিএনএ পরীক্ষায় একটা বিষয় খুবই পরিষ্কার যে, আগের সাতটি ঘটনার পর এটা আট নম্বর ঘটনা যাতে একই অপরাধী এমন ভয়ংকর অপরাধ করেছে।’
রবিবারের জেলা পুলিশ কর্মকর্তার বাসভবনের বৈঠকে উপস্থিত থাকা একটি সূত্র ডনকে জানিয়েছেন, মূল সন্দেহভাজনের একটি স্কেচ ওই ১১ টি শিশুর পরিবারকে দেখিয়ে তাকে চেনেন কিনা তা জানতে জাওয়া হয়েছে। তবে কেউ তাকে চিনতে পারেননি। এছাড়া এই ঘটনায় আরও একটি স্পষ্ট ছবি প্রকাশ করেছে পুলিশ। আগের প্রকাশ করা সিসিটিভি ফুটেজে এই ব্যক্তিকে জয়নাবের সঙ্গে দেখা গিয়েছিলো বলে দাবি তাদের। রবিবারও অপরাধীকে ধরতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।
তবে মামলার অগ্রগতি নিয়ে অসন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন জয়নাবের পরিবার। হত্যার বিচার দাবিতে আন্দোলনের সময় আটক হওয়া ব্যক্তিদের মুক্তি দাবি করেছেন জয়নাবের বাবা আনিস। রবিবারও এই দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে দেশের বিভিন্ন শহরে। লন্ডনে পাকিস্তানের দূতাবাসের সামনেও বিক্ষোভ হয়েছে।
এই ঘটনা তদন্তে কাজ করছে চারটি সংস্থা। তারা হলো কাউন্টার টেরোরিজম, ইন্টিলিজেন্স ব্যুরো, স্পেশাল ব্রাঞ্চ, পাঞ্জাব ফরেনসিক সায়েন্স সোসাইটি। তারা প্রত্যেকেই আলাদাভাবে সন্দেহভাজনদের আটক করেছেন।

/জেজে/এএ/
সম্পর্কিত
ভারতে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোট শুরু
চীনে আমেরিকার কোম্পানিগুলোর প্রতি ন্যায্য আচরণের আহ্বান ব্লিঙ্কেনের
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
সর্বশেষ খবর
টিপু-প্রীতি হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন বিষয়ে আদেশ আজ
টিপু-প্রীতি হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন বিষয়ে আদেশ আজ
যশোরে তীব্র গরমে মরে যাচ্ছে মাছের পোনা, ক্ষতি ‌‘২০ কোটি টাকা’
যশোরে তীব্র গরমে মরে যাচ্ছে মাছের পোনা, ক্ষতি ‌‘২০ কোটি টাকা’
মাড় ফেলে ভাত রান্না হলে ‘১৫ ভাগ অপচয় হয়’
মাড় ফেলে ভাত রান্না হলে ‘১৫ ভাগ অপচয় হয়’
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
সর্বাধিক পঠিত
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
থেমে যেতে পারে ব্যাংকের একীভূত প্রক্রিয়া
থেমে যেতে পারে ব্যাংকের একীভূত প্রক্রিয়া
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ