X
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
১৫ বৈশাখ ১৪৩১

ক্ষতিপূরণ পেতে জটিলতায় পড়তে হতে পারে হতাহতের স্বজনদের

বিদেশ ডেস্ক
১৬ মার্চ ২০১৮, ১৩:০০আপডেট : ১৬ মার্চ ২০১৮, ১৫:৫১
image

নেপালে বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে হতাহতের স্বজনদের ক্ষতিপূরণ পাওয়ায় প্রক্রিয়াটি জটিল হয়ে পড়তে পারে বলে জানিয়েছে নেপালি সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্ট। তারা জানায়, ১৯৯৯ মন্ট্রিয়াল চুক্তিতে বাংলাদেশ ও নেপালের স্বাক্ষরের বিষয়টি বিলম্বিত হওয়ায় এই জটিলতা তৈরি হয়েছে।

ইউএস বাংলার বিমান বিধ্বস্ত

১৯৯৯ সালের ২৮ মে বাংলাদেশ চুক্তিতে স্বাক্ষর করলেও আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেনি। নেপাল এখনও স্বাক্ষরই করেনি। ২০১০ সালে উদ্যোগ নিলেও শেষ পর্যন্ত সই করেনি তারা। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শুধু ভারত, পাকিস্তান ও মালদ্বীপ এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।

মন্ট্রিয়াল চুক্তির ২১নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নিহত যাত্রীদের প্রত্যেকের জন্য এয়ারলাইন্স ১ লাখ ৪৫ হাজার ৫২৬ ডলার দেবে। সব এয়ারলাইন্সই এই ক্ষতিপূরণের জন্য ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির কাছে বীমা করে থাকে। যাত্রী ও তাদের পরিবারকে এই ইন্স্যুরেন্স সম্পর্কে আগেই জানাতে হয়।

তবে নেপাল ওয়ারস কনভেনশনে স্বাক্ষর করায় এয়ারলাইন্সকে এখন প্রত্যেক যাত্রীর জন্য ২০ হাজার ডলার দিতে হবে। দেশটির বীমা প্রতিষ্ঠান সাগমাথার কর্মকর্তা সুভাষ দিক্ষিত বলেন, এমন দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণের ক্ষেত্রে দু’রকম নীতির মধ্যে পড়তে হবে নেপালকে।

গত সোমবার ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে দুপুর ২টা ২০ মিনিটে কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে পৌঁছায় বিমানটি। অবতরণের সময় বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। এরপর বিমানবন্দরের কাছেই একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয় এটি। দুর্ঘটনায় ৫১ জন নিহত হন। এর মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি। নেপালেরও রয়েছেন বেশ কয়েকজন।

মনট্রিয়াল চুক্তিই এয়ারলাইন্সগুলোর মধ্যে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ও গ্রহণযোগ্য সমঝোতা। ১৯৯৯ সালে ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের সদস্য দেশগুলো এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। এই সমঝোতায় বলা হয়, যেকোনও যাত্রীর হতাহতের জন্য বিমান কর্তৃপক্ষই দায়ী থাকবে।

নেপালের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, এই সমঝোতায় স্বাক্ষর করার বিষয়টিকে কখনোই গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তবে খুব ধীরগতির।

তবে ওই সমঝোতার একটি কপি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ওই কর্মকর্তা বলেন, আইন মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলে এটি মন্ত্রিসভায় যাবে। এরপর আলোচনা হবে পার্লামেন্টে। এই সমঝোতা বাস্তবায়নে নতুন আইন প্রয়োজন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই এটা এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে। দীর্ঘমেয়াদে এটি বিমান কর্তৃপক্ষকে আরও দায়িত্বশীল করে তুলবে।  

নেপালি স্থানীয় এয়ারলাইনগুলোর দাবি, আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচলে এই ক্ষতিপূরণের পরিমাণ যেন সমান না হয়। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা বলেন, আমরা মনে করি যাত্রীরা যেখানেই ভ্রমণ করুক, তারা সবাই সমান। নেপালের ক্ষেত্রে আমরা ১৯২৯ সাল থেকে ওয়ারস সমঝোতা মেনে চলছি। সে অনুযায়ী প্রত্যেক যাত্রীর ৮ হাজার ৩০০ ডলার পাওয়ার কথা। তবে ১৯৫৫ সালের সেপ্টেম্বরে হেগে এটির সংশোধন করা হয়। হেগ প্রটোকল অনুযায়ী সেটা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ডলারে।

আরও পড়ুন

বিমান দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তরা বীমার টাকা পাবেন যেভাবে

 

/এমএইচ/চেক-এমওএফ/
সম্পর্কিত
ইউএস বাংলার সার্ভিসের মান মনিটরিং করতে বলেছে সংসদীয় কমিটি
‘তারা কীভাবে জানলো পাইলট ধূমপান করছিলেন’
নেপালে বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদনের দেরিতে সংসদীয় কমিটির ক্ষোভ
সর্বশেষ খবর
ভারতকে ১৪৫ রানে থামালো বাংলাদেশ
ভারতকে ১৪৫ রানে থামালো বাংলাদেশ
গুলশানে চোর সন্দেহে পেটানোর পর যুবকের মৃত্যু, একজন গ্রেফতার
গুলশানে চোর সন্দেহে পেটানোর পর যুবকের মৃত্যু, একজন গ্রেফতার
সোমবার যুদ্ধবিরতির আলোচনায় মিসর যাচ্ছেন হামাস প্রতিনিধি
সোমবার যুদ্ধবিরতির আলোচনায় মিসর যাচ্ছেন হামাস প্রতিনিধি
যাত্রাবাড়ীতে গরমে মাংস ব্যবসায়ীর মৃত্যু
যাত্রাবাড়ীতে গরমে মাংস ব্যবসায়ীর মৃত্যু
সর্বাধিক পঠিত
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
ইমিগ্রেশনেই খারাপ অভিজ্ঞতা বিদেশি পর্যটকদের
ইমিগ্রেশনেই খারাপ অভিজ্ঞতা বিদেশি পর্যটকদের
বিক্রি না করে মজুত, গুদামে পচে যাচ্ছে আলু
বিক্রি না করে মজুত, গুদামে পচে যাচ্ছে আলু
মিয়ানমারে গিয়ে সেনা ট্রেনিং নিলেন ২ রোহিঙ্গা, বাংলাদেশে ঢুকলেন বুলেট নিয়ে
মিয়ানমারে গিয়ে সেনা ট্রেনিং নিলেন ২ রোহিঙ্গা, বাংলাদেশে ঢুকলেন বুলেট নিয়ে