X
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪
২৫ বৈশাখ ১৪৩১

শত্রুদের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ে প্রস্তুত রয়েছে চীন: শি জিনপিং

বিদেশ ডেস্ক
২০ মার্চ ২০১৮, ১২:৩০আপডেট : ২০ মার্চ ২০১৮, ১৬:৩৫
image

চীনকে বিভাজনের প্রচেষ্টাকারীদের পরিণাম ভালো হবে না বলে সতর্ক করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বিশ্বে নিজেদের পরাক্রমশালী স্থান পাকাপোক্ত করতে চীন শত্রুদের সঙ্গে ‘রক্তক্ষয়ী লড়াই’ চালাতেও প্রস্তুত রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। মঙ্গলবার (২০ মার্চ) ন্যাশনাল পিপল’স কংগ্রেসের বার্ষিক অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে শি এসব কথা বলেন বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো। যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তাদের তাইওয়ানে যাওয়ার অনুমতি দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন বিধি জারি করার কয়েক দিনের মাথায় বিভক্তিকরণ নিয়ে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেন শি জিনপিং।  

শি জিনপিং
সম্প্রতি সংবিধান সংশোধনীর মধ্য দিয়ে চীনে নিরঙ্কুশ ক্ষমতার অধিকারী হন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। চীনের পিপলস পার্টির বার্ষিক সম্মেলনে প্রেসিডেন্টের জন্য নির্ধারিত দুই মেয়াদের অবসান ঘটানোর মধ্য দিয়ে তার আজীবন ক্ষমতায় থাকার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এই সংশোধনীর কারণে তিনি একইসঙ্গে আজীবন পার্টি ও সামরিক বাহিনীর প্রধান থাকবেন। মঙ্গলবার ছিল ন্যাশনাল পিপল’স কংগ্রেসের বার্ষিক অধিবেশনের সমাপনী দিন। ‘চীন রাষ্ট্রের পরাক্রমশালী অবস্থান পাকাপোক্ত করার প্রশ্নটি এখন চীনা নাগরিকদের সবচেয়ে বড় স্বপ্নে পরিণত হয়েছে। বিশ্বে স্থান ফিরে পেতে আমরা আমাদের শত্রুর বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী লড়াই চালাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’ তিনি আরও বলেন, 'প্রাচীনকাল থেকে চীনা জনগণ জেনে আসছেন, কোনও কিছু এমনি এমনি পাওয়া যায় না। সুখে থাকতে চাইলে এর জন্য অবশ্যই লড়াই করতে হয়।'

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তাদের তাইওয়ানে যাওয়ার অনুমতি দিয়ে নতুন বিধিতে স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার ন্যাশনাল পিপল’স কংগ্রেসের ভাষণে শি হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘এক চীন নীতি’র সুরক্ষা নিশ্চিত করবে বেইজিং। প্রসঙ্গত, এই ‘এক চীন নীতি’র আওতায় স্ব-শাসিত তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে চীন।

গ্রেট হলে ৩০০০ প্রতিনিধির সামনে দেওয়া ভাষণে শি জিন পিং বলেন, ‘দেশকে বিভক্ত করতে চালানো সব ধরনের কর্মকাণ্ড ও কৌশল ব্যর্থ করা হবে। এ ধরনের প্রচেষ্টা নিয়ে লোকজন নিন্দা করবে। এ ধরনের প্রচেষ্টাকারীদের ঐতিহাসিক সাজা দেওয়া হবে।’

শি জিনপিং ২০১২ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তিনি দেশটির কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর থেকেই শি দেশটির ইতিহাসে ধারাবাহিকভাবে আত্মপ্রত্যয়ী ও নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ববাদী একটি যুগের সূচনা করেন। একই সাথে তার হাত ধরে চীন এক নতুন জাগরণ দেখতে পেয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়। পরাক্রমশালী দেশ হিসেবে বিশ্বের কাছে চীনের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে তিনিই এখন সামনে থেকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দিচ্ছেন। দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে সফলতার পাশাপাশি ভিন্নমতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ধরপাকড়ের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
গত বছর অক্টোবরে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের চিন্তাকে দলীয় গঠনতন্ত্রে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি। আধুনিক চীনের রূপকার হিসেবে স্বীকৃত মাও সে তুংয়ের পর শি জিনপিং হলেন দ্বিতীয় ব্যক্তি, ক্ষমতাসীন থাকা অবস্থায় যার চিন্তা দলীয় গঠনতন্ত্রে মতাদর্শের মর্যাদা পায়। মতাদর্শের মর্যাদা পাওয়ায় মাওয়ের মতবাদ যেমন মাওবাদ হিসেবে বিবেচিত হয়, শি’র চিন্তাধারাও বিবেচিত হচ্ছে শিবাদ হিসেবে। এর বিরুদ্ধে যেকোনও চ্যালেঞ্জ কমিউনিস্ট পার্টির বিরুদ্ধে অবস্থান বলে বিবেচিত হয়। 

/এফইউ/চেক-এমওএফ/
সম্পর্কিত
এই বর্ষায় নির্ধারিত হবে মিয়ানমার জান্তা ও বিদ্রোহীদের পরিণতি?
লাদাখ সীমান্তে বিরোধচীনের সঙ্গে আলোচনায় আশাবাদী রাজনাথ সিং
তাইওয়ান প্রণালিতে আবারও চীনা সামরিক বিমান শনাক্ত
সর্বশেষ খবর
বকেয়া বিল ৫ কোটি টাকা, কেটে দেওয়া হলো পৌর ভবনের বিদ্যুৎসংযোগ
বকেয়া বিল ৫ কোটি টাকা, কেটে দেওয়া হলো পৌর ভবনের বিদ্যুৎসংযোগ
নগদ মেগা ক্যাম্পেইনের উপহার পেলেন ২১ বিজয়ী
নগদ মেগা ক্যাম্পেইনের উপহার পেলেন ২১ বিজয়ী
৬ মাস বন্ধ থাকবে কমলাপুর-টিটি পাড়া সড়ক, বিকল্প ব্যবহারের অনুরোধ
এমআরটি লাইন-৬ নির্মাণ৬ মাস বন্ধ থাকবে কমলাপুর-টিটি পাড়া সড়ক, বিকল্প ব্যবহারের অনুরোধ
দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, বোমা বিস্ফোরণ
দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, বোমা বিস্ফোরণ
সর্বাধিক পঠিত
ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু
ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু
শেখ হাসিনাই হচ্ছেন ভারতে নতুন সরকারের প্রথম বিদেশি অতিথি
শেখ হাসিনাই হচ্ছেন ভারতে নতুন সরকারের প্রথম বিদেশি অতিথি
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি, বিএনপির প্রস্তুতি কী?
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি, বিএনপির প্রস্তুতি কী?
গ্রাম আদালত বিল পাস, জরিমানা বাড়লো চার গুণ
গ্রাম আদালত বিল পাস, জরিমানা বাড়লো চার গুণ
কেমন আছেন মিল্টনের আশ্রমে আশ্রিতরা
কেমন আছেন মিল্টনের আশ্রমে আশ্রিতরা