X
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪
২২ বৈশাখ ১৪৩১

পৃথিবীর দিকে ছুটে আসছে জ্বলন্ত মহাকাশ কেন্দ্র

বিদেশ ডেস্ক
০১ এপ্রিল ২০১৮, ২১:৩৫আপডেট : ০১ এপ্রিল ২০১৮, ২১:৪২

অকেজো হয়ে পড়া চীনা মহাকাশ স্টেশনের ধ্বংসাবশেষ ২ এপ্রিল সোমবারের মধ্যেই ভূপৃষ্ঠে আছড়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা। তবে এটি কোথায় পড়বে তা এখনও কেউ ধারণা করতে পারছেন না। টিয়াংগং-১ নামে এই মহাকাশ গবেষণা স্টেশনটি চীনের উচ্চাভিলাষী মহাকাশ কর্মসূচির অন্যতম প্রধান অংশ ছিল।

পৃথিবীর দিকে ছুটে আসছে জ্বলন্ত মহাকাশ কেন্দ্র চীনের লক্ষ্য হচ্ছে ২০২২ সাল নাগাদ তারা মানুষের বসবাসের উপযোগী একটি মহাকাশ কেন্দ্র মহাশূন্যে পাঠাতে চায়। টিয়াংগং-১ ছিল তারই পূর্ব প্রস্তুতি।

২০১১ সালে মহাকাশ কেন্দ্রটি কক্ষপথে প্রবেশ করতে সমর্থ হয়। প্রায় সাত বছর পর এটি এখন ধ্বংস হয়ে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে। চীনা এবং ইউরোপীয় মহাকাশ বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, সোমবার নাগাদ মাহাকাশ কেন্দ্রটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে।

বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে এটিতে আগুন ধরে যাবে। তারপরও কিছু ধ্বংসাবশেষ মাটিতে এসে পড়বে।

চীনের মহাকাশ প্রকৌশল দফতর অবশ্য বিষয়টি নিয়ে তাদের সোশ্যাল মিডিয়া কিছুটা নির্ভয় দিয়েছে। তারা বলছে, ‘কোনও সায়েন্স ফিকশন সিনেমার মতো ঘটনা ঘটবে না। বরং দর্শনীয় কোনও ঘটনা ঘটতে পারে। আকাশে উল্কাবৃষ্টির মত দৃশ্য চোখে পড়তে পারে।’

কোথায় গিয়ে পড়বে এই মহাকাশ স্টেশন?

২০১৬ সালে চীন জানায় টিয়াংগংয়ের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তারা এটিকে আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। ফলে এটি কোথায় গিয়ে পড়বে নিশ্চিতভাবে তা বলা যাচ্ছে না। তবে ইউরোপীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, এটি নিউজিল্যান্ড থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে কোনও এক জায়গায় গিয়ে পড়বে।

কিভাবে এটি বিধ্বস্ত হবে?

অস্ট্রেলিয়ার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের ড. এলিয়াস আবোটানিয়োস বিবিসিকে বলেন, বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের পর এটির পতনের গতি ক্রমেই বাড়তে থাকবে। এক পর্যায়ে এর গতি ঘণ্টায় ২৬ হাজার কিলোমিটারে পৌঁছাতে পারে।

ড. এলিয়াস আবোটানিয়োস বলেন, ভূপৃষ্ঠের ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে পৌঁছানোর পর এটি গরম হতে থাকবে। ফলে এটি পুড়তে শুরু করবে। শেষ পর্যন্ত মাটিতে পড়ার আগে এর কতটুকু অংশ টিকে থাকে তা বলা কঠিন। কারণ এর গঠন নিয়ে চীন কখনও কিছু খুলে বলেনি।

ভয়ের কোনও কারণ রয়েছে?

বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভয়ের কিছু নেই। যদিও এই মহাকাশ স্টেশনটির ওজন ৮ দশমিক ৫ মেট্রিক টন কিন্তু বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে এটি টুকরো টুকরো হয়ে যাবে। তবে তেলের ট্যাংক বা রকেট ইঞ্জিনের মতো যন্ত্রগুলো হয়তো পুরোপুরি ভস্মীভূত না-ও হতে পারে। যদি না হয়, তাহলেও এগুলো কোনও মানুষের ওপর এসে পড়বে; এমন সম্ভাবনা কম।

আবোটানিয়োস বলেন, এসব ক্ষেত্রে ধ্বংসাবশেষের সিংহভাগই গিয়ে পড়ে সাগরে।

টিয়াংগং ১ কেমন মহাকাশ স্টেশন?

যুক্তরাষ্ট্র বা রাশিয়ার তুলনায় মহাকাশে চীনের যাত্রা অল্পদিন আগের ঘটনা। ২০০১ সালে প্রথম চীন মহাকাশে জন্তু পাঠায়। তারপর ২০০৩ সালে প্রথমবার চীনা কোনও নভোচারী মহাকাশে যান। ২০১১ সালে এসে চীন প্রথম মহাকাশ স্টেশন পাঠায়, যার নাম টিয়াংগং ১ বা স্বর্গের প্রাসাদ। এই কেন্দ্রে মানুষ যেতে পারতো, তবে অল্প কদিনের জন্য। ২০১২ সালে একজন নারী নভোচারী টিয়াংগংয়ে গিয়েছিলেন। দুই বছর পর অর্থাৎ ২০১৬ সালের মার্চের পর থেকে এটি আর কাজ করছিল না। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

/এমপি/
সম্পর্কিত
আগামী সপ্তাহে ইউরোপ সফরে যাচ্ছেন শি জিনপিং
চীন সফরের পরিকল্পনা করেছেন পুতিন
তাইওয়ান প্রণালিতে আবারও চীনা সামরিক বিমান শনাক্ত
সর্বশেষ খবর
একদিন পর আবার বাড়লো সোনার দাম
একদিন পর আবার বাড়লো সোনার দাম
ব্যক্তি স্বার্থ রক্ষা করে ভালো আইন তৈরি করা যায় না: আইনমন্ত্রী
ব্যক্তি স্বার্থ রক্ষা করে ভালো আইন তৈরি করা যায় না: আইনমন্ত্রী
কিশোরগঞ্জ ও বান্দরবানের আলীকদমে দুদকের অভিযান
কিশোরগঞ্জ ও বান্দরবানের আলীকদমে দুদকের অভিযান
জামায়াত-শিবিরের সামাজিক আন্দোলনের ফাঁদে দেশ
জামায়াত-শিবিরের সামাজিক আন্দোলনের ফাঁদে দেশ
সর্বাধিক পঠিত
মাঠ প্রশাসনে বিতর্কিত কর্মকর্তাদের লাগাম টানবে সরকার
মাঠ প্রশাসনে বিতর্কিত কর্মকর্তাদের লাগাম টানবে সরকার
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
মিল্টন সমাদ্দারের তিন মামলার বাদীরই মুখে কুলুপ
মিল্টন সমাদ্দারের তিন মামলার বাদীরই মুখে কুলুপ
স্বর্ণের ভরিতে বাড়লো ১ হাজার টাকার বেশি
স্বর্ণের ভরিতে বাড়লো ১ হাজার টাকার বেশি
শোইগুর সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে পুতিনের?
শোইগুর সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে পুতিনের?