X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

চ্যালেঞ্জের মুখে থেরেসা মে'র প্রধানমন্ত্রিত্ব

বিদেশ ডেস্ক
১২ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৪:০৬আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৯:৩৬
image

দলীয় নেতৃত্ব প্রশ্নে আস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় বুধবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে তার নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করে পার্লামেন্টে এ ভোট হবে।  ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে কনজারভেটিভ পার্টির '১৯২২ কমিটি'তে ন্যুনতম ৪৮টি চিঠি জমা হওয়ার পর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন মে। হেরে হেলে তিনি প্রধানমন্ত্রিত্ব হারাবেন।

থেরেসা মে

২০১৬ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বের হয়ে যাওয়ার পক্ষে (ব্রেক্সিট) ব্রিটিশ নাগরিকরা ভোট দেওয়ার পর পরই সেদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন থেরেসা মে। তবে নিজস্ব ব্রেক্সিট পরিকল্পনা নিয়ে তোপের মুখে রয়েছেন তিনি। এমনকি নিজ দলেও সমালোচনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে থেরেসাকে। এমন অবস্থায় পার্লামেন্টে তার বিরুদ্ধে আস্থা ভোটে অংশ নেবেন কনজারভেটিভ পার্টির এমপিরা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত আটটার মধ্যে এ ভোটাভুটি হবে। 

আস্থা ভোটে থেরেসা মে-এর পক্ষে যদি ভোটের সংখ্যা বেশি থাকে তবে তিনি উতরে যাবেন। অন্তত আরও এক বছরের জন্য তার নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না। গেলে গেলে কনজারভেটিভ নেতৃত্ব প্রশ্নে আবারও প্রতিযোগিতা হবে। তবে মে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করেও সবার সমর্থন না পেলে দলীয় প্রধানের পদ থেকে সরে যাওয়া না যাওয়ার বিষয়টি হবে তার ইচ্ছাধীন। চাইলে থাকতে পারবেন, না চাইলে সরেও দাঁড়াতে পারবেন। ব্রিটিশ সংবিধান অনুযায়ী পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন কনজারভেটিভ পার্টির দখলে থাকায় এর শীর্ষ নেতাই থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর পদে।

ব্রিটিশদের মধ্যে ব্রেক্সিট নিয়ে রয়েছে প্রবল ভিন্নমত। জরিপে ব্রেক্সিট গণভোট পরবর্তী সময়ে দেশটির জনগণের মনোভাব পাল্টে যাওয়ার আভাস মিলেছে। ব্রেক্সিটবিরোধীদের অনেকে দাবি তুলেছেন আরেকটি গণভোটের। এরইমধ্যে চুক্তি চূড়ান্ত করা নিয়ে মতবিরোধের জেরে পদত্যাগ করেছেন দুই দুইজন ব্রেক্সিটবিষয়ক মন্ত্রী। অন্য মন্ত্রণালয়েরও কয়েকজন সরে দাঁড়িয়েছেন। এদের মধ্যে সর্বশেষ হচ্ছেন বিজ্ঞান ও বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী।
গত ৬ ডিসেম্বর থেরেসা মে হুঁশিয়ার করেছেন, তিনি যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যে খসড়া চুক্তি করেছেন তা যদি সংসদ সদস্যরা মেনে নিতে না চান, তাহলে তারা ‘নো ডিল ব্রেক্সিটকেই’ ডেকে আনবেন। আর যদি ‘নো ডিল ব্রেক্সিটও’ না চান, তাহলে তারা কার্যত ব্রেক্সিট বাতিলের দিকেই ঠেলে দেবেন যুক্তরাজ্যকে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ব্রেক্সিট বাতিল হয়ে যাওয়াটা মের কাম্য নয়। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, যে গণভোটের মাধ্যমে ব্রেক্সিটের সিদ্ধান্ত হয়েছিল তাকে সম্মান করা উচিত।

/এফইউ/বিএ/
সম্পর্কিত
ক্যানারি দ্বীপে নৌকাডুবি, ৫০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা
ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে অন্তত ৫ অভিবাসী নিহত
ইউরোপে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তাপমাত্রা বাড়ছে
সর্বশেষ খবর
প্রতিদিন মা হারাচ্ছে ৩৭ ফিলিস্তিনি শিশু
প্রতিদিন মা হারাচ্ছে ৩৭ ফিলিস্তিনি শিশু
সেন্ট জোসেফ স্কুলে তিন দিনব্যাপী লিট ফেস্টিভ্যাল শুরু
সেন্ট জোসেফ স্কুলে তিন দিনব্যাপী লিট ফেস্টিভ্যাল শুরু
জাকিরের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে প্রাইম ব্যাংকের বড় জয়
জাকিরের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে প্রাইম ব্যাংকের বড় জয়
অবশেষে মোংলায় ঝরলো কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি
অবশেষে মোংলায় ঝরলো কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি
সর্বাধিক পঠিত
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
ব্যর্থতার অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিশ
ব্যর্থতার অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিশ
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ