X
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪
২৪ বৈশাখ ১৪৩১

মিত্রদের কাছে আইএসকে পরাজিত করার অঙ্গীকার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

বিদেশ ডেস্ক
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৮:৫৯আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৮:০৬

যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলোর কাছে আইএসকে পরাজিত করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। বুধবার মিত্রদের তিনি বলেন, সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহার মানে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধের পরিসমাপ্তি নয়। এ সময় তিনি ইরাক ও সিরিয়া থেকে আইএসকে চিরতরে নির্মূল করতে বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সাহায্য কামনা করেন।

মিত্রদের কাছে আইএসকে পরাজিত করার অঙ্গীকার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সিরিয়া ও ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করা ৭৯টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে মাইক পম্পেও বলেন, সিরিয়া থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের পরও আইএস ঠেকাতে মিত্রদের পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র।

২০১৮ সালের ১৯ ডিসেম্বর সিরিয়া থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন ট্রাম্প। তবে বুধবার পম্পেও বলেন, সেনা প্রত্যাহার মূলত কৌশলগত পরিবর্তন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের যে মিশন তাতে কোনও পরিবর্তন হয়নি। এটি শুধু পুরনো লড়াইয়ের একটি নতুন ধাপ।

মাইক পম্পেও বলেন, আইএসকে পরাজিত করার ক্ষেত্রে অগ্রগতি সাধিত হলেও দলটি এখনও একটি ভয়াবহ হুমকি।

এর আগে সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহার ইস্যুতে মঙ্গলবার সিনেটের মুখোমুখি হন মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন বাহিনীর প্রধান জেনারেল জোসেপ ভোটেল। এ সময় তিনি জানান, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগে এ সম্পর্কে তাকে কিছু জানানো হয়নি।

তিনি বলেন, জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস এক সময় ৮৮ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ন্ত্রণ করতো। তবে এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকার পরিমাণ ৫২ বর্গকিলোমিটারেরও কম। এক থেকে দেড় হাজার জঙ্গি ইউফ্রেটাস নদীর দক্ষিণে ইরাক সীমান্তবর্তী এলাকাটির দখল ধরে রেখেছে।

চরমপন্থী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত থাকা উচিত বলেও মত দেন এই মার্কিন জেনারেল। তিনি বলেন, জঙ্গিরা শেষ হয়ে যায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানও পরিবর্তন হয়নি।

এদিকে সিরিয়া ও আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহার নিয়ে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান পার্টি নিয়ন্ত্রিত মার্কিন সিনেট। সিনেটের ভোটাভুটিতে সেনা প্রত্যাহারের পক্ষে ভোট দেন ২৬ জন। বিপরীতে সেনা প্রত্যাহারের বিপক্ষে ভোট দেন ৭৬ জন। বেশিরভাগ সিনেটর মনে করছেন, দেশ দুটি থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হলে আদতে তাতে লাভবান হবে ইরান ও রাশিয়া। তবে ট্রাম্পের জন্য এক্ষেত্রে সিনেটের মতামত মেনে নেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা নেই।

অভ্যন্তরীণ বিরোধিতা সত্ত্বেও ইতোমধ্যেই সিরিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ প্রক্রিয়া নিরাপদ করতে দেশটিতে নতুন করে আরও অর্ধসহস্রাধিক সেনাসদস্য পাঠিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানিয়েছে, এসব সেনারা সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় অবস্থিত মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে অবতরণ করেছে। তবে নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের ফলে নিরাপদ সেনা প্রত্যাহার নিশ্চিতে সিরিয়ায় ঠিক কতজন বাড়তি সেনাসদস্য পাঠানো হয়েছে তা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের একজন কর্মকর্তা। সূত্র: আল জাজিরা।

/এমপি/
সম্পর্কিত
ঢাকা আসছেন মার্কিন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু
এই বর্ষায় নির্ধারিত হবে মিয়ানমার জান্তা ও বিদ্রোহীদের পরিণতি?
মধ্যপ্রাচ্যেও চালু হচ্ছে শেনজেন স্টাইলের ভিসা?
সর্বশেষ খবর
পিএসজিকে হারিয়ে ফাইনালে ডর্টমুন্ড
চ্যাম্পিয়নস লিগপিএসজিকে হারিয়ে ফাইনালে ডর্টমুন্ড
রাজস্থানকে হারিয়ে প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো দিল্লি
রাজস্থানকে হারিয়ে প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো দিল্লি
ঢাকা আসছেন মার্কিন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু
ঢাকা আসছেন মার্কিন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন আজ
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন আজ
সর্বাধিক পঠিত
ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু
ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু
ছুড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করলাম: ভাবনা
ছুড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করলাম: ভাবনা
শনিবার স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা
শনিবার স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা
আসছে ব্যয় কমানোর বাজেট
আসছে ব্যয় কমানোর বাজেট
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি, বিএনপির প্রস্তুতি কী?
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি, বিএনপির প্রস্তুতি কী?