X
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৫ বৈশাখ ১৪৩১

মিয়ানমারের ভেরিফিকেশন কার্ডই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাধা

বিদেশ ডেস্ক
১২ জুলাই ২০১৯, ০৯:২৪আপডেট : ১২ জুলাই ২০১৯, ২৩:০৬

রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে মিয়ানমারের ন্যাশনাল ভেরিফিকেশন কার্ডই সবচেয়ে বড় বাধা বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন বার্মা হিউম্যান রাইটস নেটওয়ার্ক। এক প্রতিবেদনে তারা জানায়, এই কার্ড আদতে রাখাইনের বর্ণবৈষম্যকেই বৃদ্ধি করছে। একে নাগরিকত্বের প্রথম ধাপ বলে রোহিঙ্গাদের তা গ্রহণে চাপ প্রয়োগ করা হলেও বছরের পর বছর এই কার্ডের মাধ্যমে তাদের নিজ দেশে বিদেশিদের মতো করে রাখা হয়েছে।  

মিয়ানমারের ভেরিফিকেশন কার্ডই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাধা

প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে রোহিঙ্গারা রাখাইনে থাকলেও মিয়ানমার তাদের নাগরিক বলে স্বীকার করে না। উগ্র বৌদ্ধবাদকে ব্যবহার করে সেখানকার সেনাবাহিনী ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে স্থাপন করেছে সাম্প্রদায়িক অবিশ্বাসের চিহ্ন। ছড়িয়েছে বিদ্বেষ। ৮২-তে প্রণীত নাগরিকত্ব আইনে পরিচয়হীনতার কাল শুরু হয় রোহিঙ্গাদের। এরপর কখনও মলিন হয়ে যাওয়া কোনও নিবন্ধনপত্র, কখনও নীলচে সবুজ রঙের রসিদ, কখনও ভোটার স্বীকৃতির হোয়াইট কার্ড, কখনও আবার ‘ন্যাশনাল ভেরিফিকেশন কার্ড’ কিংবা এনভিসি নামের রংবেরঙের পরিচয়পত্রে ধাপে ধাপে মলিন হয়েছে তাদের জাতিগত পরিচয়। ক্রমশ তাদের রূপান্তরিত করা হয়েছে রাষ্ট্রহীন বেনাগরিকে।

মিয়ানমার সরকার অনেকদিন ধরেই রোহিঙ্গাদের এই কার্ড গ্রহণের জন্য চাপ দিচ্ছে। তাদের দাবি এতে করে সরকারি সুবিধাগুলো পাবে রোহিঙ্গারা। তবে রোহিঙ্গারা এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেছে এতে করে তাদের দুর্দশাই কেবল বাড়বেভ।  

এনভিসি: অ্যা ব্যারিয়ার টু রোহিঙ্গা রিপ্যাট্রিয়েশন শীর্ষ ওই প্রতিবেদনটি কুইন মেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতক রাষ্ট্রীয় অপরাধ প্রকল্পের সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি করে মানবাধিকার সংস্থাটি। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক কিয়াও উইন বলেন,‘মিয়ানমার সরকার এনভিসিকে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের প্রথম ধাপ দাবি করলেও তা বিতর্কিত।  এই কার্ড দিয়ে বছরের পর বছর রোহিঙ্গাদের আলাদা চিহ্নিত করে বিদেশিদের মতো করে রাখা হয়েছে।  

মিয়ানমার যেন রোহিঙ্গাদের পূর্ণ নাগরিকত্ব নিশ্চিত করে সেই ব্যবস্থা নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান উইন। এক বিবৃততে সংস্থাটি জানায়, তারা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছেন যে তাদের হুমকি দিয়ে এনভিসি কার্ডের ব্যাপারে রাজি করানোর চেষ্টা করা হয়েছিলো।  

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর রাখাইনে পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে নতুন করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রায় সাড়ে ৭ লাখ মানুষ। এদের সঙ্গে রয়েছেন ১৯৮২ সাল থেকে নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচার জন্যে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া আরও প্রায় ৩ লাখ রোহিঙ্গা। সব মিলে বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গার সংখ্যা ১০ লাখের বেশি।

/এমএইচ/
সম্পর্কিত
অস্ত্র ও গুলিসহ ৫ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী আটক
ভারতে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোট শুরু
চীনে আমেরিকার কোম্পানিগুলোর প্রতি ন্যায্য আচরণের আহ্বান ব্লিঙ্কেনের
সর্বশেষ খবর
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
বন ও বনভূমি রক্ষায় কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
বন ও বনভূমি রক্ষায় কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
মোনাকোর হারে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি
মোনাকোর হারে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি
বাজারে এলো বাংলা ভাষার স্মার্টওয়াচ ‘এক্সপার্ট’
বাজারে এলো বাংলা ভাষার স্মার্টওয়াচ ‘এক্সপার্ট’
সর্বাধিক পঠিত
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ