X
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪
২২ বৈশাখ ১৪৩১

লিবিয়ায় গুলি করে মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করলো রাশিয়া

বিদেশ ডেস্ক
০৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৮:৫৯আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ১২:০০

লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির আকাশ থেকে গত নভেম্বরে নিখোঁজ হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোনটি আসলে গুলি করে ভূপাতিত করেছিল রাশিয়া। এমনটাই মনে করে ওয়াশিংটন। এখন মস্কোর কাছে ওই ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ ফেরত দেওয়ার দাবি জানিয়েছে মার্কিন বাহিনী। ৭ ডিসেম্বর শনিবার ইউএস আফ্রিকা কমান্ডের পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়। লিবিয়ায় গুলি করে মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করলো রাশিয়া
এর আগে গত ২২ নভেম্বর ইউএস আফ্রিকা কমান্ডের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ত্রিপোলির আকাশ থেকে তাদের একটি ড্রোন নিখোঁজ হয়েছে। স্থানীয় নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং উগ্র গোষ্ঠীগুলোর তৎপরতা নজরদারি করতে ড্রোনটি সেখানে পাঠানো হয়েছিল বলে বিবৃতিতে দাবি করা হয়।

ওই বিবৃতিতে ড্রোনটির ভাগ্যে কি ঘটেছে সে সম্পর্কে কোনও উপসংহার না টেনে বলা হয়, এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু হয়েছে।

শনিবার মার্কিন বাহিনীর আফ্রিকা কমান্ডের প্রধান জনোরেল স্টিফেন টাউনসেন্ড বলেন, ত্রিপোলিতে মোতায়েন রুশ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে নিক্ষিপ্ত গুলির আঘাতে ড্রোনটি বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে গুলি করার ময় এটি যে মার্কিন ড্রোন দৃশ্যত রুশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তা বুঝতে পারেনি।

জেনারেল টাউনসেন্ড বলেন, ভূপাতিত হওয়ার পর তারা নিশ্চয়ই জেনেছে ড্রোনটি কাদের ছিল। এর ধ্বংসাবশেষ ফেরত দিতে তিনি রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানান। একইসঙ্গে ত্রিপোলিতে চলমান সহিংসতার জন্যও রাশিয়াকে দায়ী করেন তিনি।

জীবনযাপনের মানের দিকে থেকে তেল-সমৃদ্ধ লিবিয়া এক সময় আফ্রিকার শীর্ষে ছিল। স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা ছিল পুরোপুরি রাষ্ট্রের দায়িত্ব। তবে যে রাজনৈতিক এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা ওই ঐশ্বর্য নিশ্চিত করেছিল, সেটি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায় ২০১১ সালে যখন পশ্চিমা সমর্থিত বিদ্রোহীদের হাতে কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতন হয়। তারপর থেকে লিবিয়ায় চলছে সীমাহীন সংঘাত। গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত ও নিহত হওয়ার পর ত্রিপোলিতে জাতিসংঘ সমর্থিত একটি মনোনীত সরকার ক্ষমতায় আসে। ওই কর্তৃপক্ষকে জাতীয় ঐকমত্যের সরকার বা জিএনএ নামে অভিহিত করা হয়। তবে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর হাতে রয়ে গেছে। পশ্চিমাঞ্চলে জিনএনএ-র কর্তৃত্ব থাকলেও পূর্ব ও দক্ষিণের বেশিরভাগ অঞ্চল হাফতার বাহিনী এলএনএ-র দখলে। গত এপ্রিলে এ বাহিনী লিবিয়ায় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। হাফতার বাহিনী এখনও ত্রিপোলী দখল করতে না পারলেও দুই পক্ষের মধ্যে মাঝেমধ্যেই ব্যাপক সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়।

প্রায় পাঁচ বছর ধরে লিবিয়ায় দুটি সরকার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এদের মধ্যে ত্রিপোলির আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত জিনএনএ সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে জাতিসংঘ, তুরস্ক, কাতার, ইতালি ও যুক্তরাজ্য। অন্যদিকে ফিল্ড মার্শাল হাফতারের নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সমর্থন দিচ্ছে রাশিয়া, ফ্রান্স, সৌদি আরব, মিসর ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। তবে আন্তর্জাতিক সমর্থনের বিষয়টি স্পষ্ট নয়। যেমন যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে (জিএনএ) সমর্থন করে এবং শান্তি আলোচনার আহ্বান জানায়। কিন্তু গত এপ্রিলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প খলিফা হাফতারকে ফোন দিয়ে লিবিয়ার ব্যাপারে ‘যৌথ স্বপ্নের’ কথা বলেন। সূত্র: রয়টার্স, পার্স টুডে, আল জাজিরা।

/এমপি/
সম্পর্কিত
কোন পথে এগোচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ?
লাদাখ সীমান্তে বিরোধচীনের সঙ্গে আলোচনায় আশাবাদী রাজনাথ সিং
মিসরে চলমান যুদ্ধবিরতির আলোচনা, গাজায় বোমা ফেলছে ইসরায়েল
সর্বশেষ খবর
নারায়ণগঞ্জে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ, আহত ৩
নারায়ণগঞ্জে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ, আহত ৩
সুন্দরবনে আগুন ছড়ানো রুখতে দেওয়া হয়েছে বেরিকেট
সুন্দরবনে আগুন ছড়ানো রুখতে দেওয়া হয়েছে বেরিকেট
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন
লখনউকে বড় হারের লজ্জা দিয়ে শীর্ষে কলকাতা
লখনউকে বড় হারের লজ্জা দিয়ে শীর্ষে কলকাতা
সর্বাধিক পঠিত
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন বৃষ্টি হবে
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন বৃষ্টি হবে
সব জেনেও পুলিশকে কিছু জানাননি মিল্টনের স্ত্রী
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ডিবি হারুনসব জেনেও পুলিশকে কিছু জানাননি মিল্টনের স্ত্রী