X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

লিবিয়ায় পর্যায়ক্রমে সেনা মোতায়েনের ঘোষণা এরদোয়ানের

বিদেশ ডেস্ক
০৬ জানুয়ারি ২০২০, ১৮:১৬আপডেট : ০৬ জানুয়ারি ২০২০, ১৮:৫৫

লিবিয়ায় ইতোমধ্যেই ধাপে ধাপে সেনা মোতায়েন শুরু করেছে তুরস্ক। তবে এখনও পুরো ইউনিট মোতায়েন করা হয়নি। রবিবার সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন তুর্কি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন তথ্য জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান

তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, লিবিয়ার জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারকে সহায়তায় ধাপে ধাপে সেনা মোতায়েন করছে আঙ্কারা। দেশটিতে একটি অপারেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হবে। একজন লেফটেন্যান্ট জেনারেল সেখানকার সামগ্রিক পরিস্থিতি দেখভাল করবেন।

লিবিয়ার গৃহযুদ্ধে দেশটির বিদ্রোহী নেতা জেনারেল হাফতারকে ঠেকাতে জাতিসংঘ সমর্থিত জাতীয় ঐকমত্যের সরকারকে সহায়তা দিয়ে আসছে আঙ্কারা। এক পর্যায়ে লিবিয়া সরকার বিদ্রোহীদের ঠেকাতে দেশটিতে সেনা মোতায়েনের জন্য তুরস্কের প্রতি আহ্বান জানায়। ওই আহ্বানের প্রেক্ষিতে গত ২ জানুয়ারি একটি বিলে অনুমোদন দেয় তুর্কি পার্লামেন্ট। এতে লিবিয়ায় সেনা মোতায়েনের অনুমোদন দেওয়া হয়।

রবিবার এরদোয়ান বলেন, আঙ্কারা নিজেদের কমব্যাট (যুদ্ধে নিয়োজিত) বাহিনী মোতায়েন করছে না। তুরস্কের লক্ষ্য যুদ্ধ করা নয় বরং একটি বৈধ সরকারকে সহায়তা করা এবং মানবিক বিপর্যয় এড়ানো।

জীবনযাপনের মানের দিকে থেকে তেলসমৃদ্ধ লিবিয়া একসময় আফ্রিকার শীর্ষে ছিল। স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা ছিল পুরোপুরি রাষ্ট্রের দায়িত্ব। তবে যে রাজনৈতিক এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা ওই ঐশ্বর্য নিশ্চিত করেছিল, সেটি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায় ২০১১ সালে যখন পশ্চিমা সমর্থিত বিদ্রোহীদের হাতে কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতন হয়। তারপর থেকে লিবিয়ায় চলছে সীমাহীন সংঘাত। গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত ও নিহত হওয়ার পর ত্রিপোলিতে জাতিসংঘ সমর্থিত একটি মনোনীত সরকার রয়েছে। ওই কর্তৃপক্ষকে জাতীয় ঐকমত্যের সরকার বা জিএনএ নামে অভিহিত করা হয়। তবে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর হাতে রয়ে গেছে। পশ্চিমাঞ্চলে জিএনএ-র কর্তৃত্ব থাকলেও পূর্ব ও দক্ষিণের বেশিরভাগ অঞ্চল হাফতার বাহিনী এলএনএ-এর দখলে। ২০১৯ সালের এপ্রিলে এ বাহিনী লিবিয়ার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।

প্রায় পাঁচ বছর ধরে লিবিয়ায় দুটি সরকার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এদের মধ্যে একটি সরকারকে সমর্থন দিয়েছে জাতিসংঘ ও অন্যান্য দেশ। আরেকটি ফিল্ড মার্শাল হাফতারের নেতৃত্বাধীন। ত্রিপোলির আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে জাতিসংঘ। তুরস্ক, ইতালি ও যুক্তরাজ্য এ সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে। আর হাফতার বাহিনীর সমর্থনে রয়েছে রাশিয়া, ফ্রান্স, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরব। যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে (জিএনএ) সমর্থন করে এবং শান্তি আলোচনার আহ্বান জানায়। কিন্তু ২০১৯ সালের এপ্রিলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প খলিফা হাফতারকে ফোন দিয়ে লিবিয়ার ব্যাপারে ‘যৌথ স্বপ্নের’ কথা বলেন।

/জেজে/এমপি/
সম্পর্কিত
চীনের দক্ষিণাঞ্চলে সড়ক ধসে নিহত ৩৬
লাইয়ের অভিষেক পরবর্তী চীনা সামরিক মহড়া নিয়ে সতর্ক অবস্থানে তাইওয়ান
চুক্তি হোক বা না হোক রাফাহতে ইসরায়েলি অভিযান চলবে: নেতানিয়াহু
সর্বশেষ খবর
‘তীব্র গরমে’ মারা যাচ্ছে মুরগি, অর্ধেকে নেমেছে ডিম উৎপাদন
‘তীব্র গরমে’ মারা যাচ্ছে মুরগি, অর্ধেকে নেমেছে ডিম উৎপাদন
ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করলো তুরস্ক
ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করলো তুরস্ক
রোমাকে হারিয়ে ইউরোপা লিগে এক পা লেভারকুসেনের
রোমাকে হারিয়ে ইউরোপা লিগে এক পা লেভারকুসেনের
তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবিতে মারা যাওয়া ৮ যুবকের লাশের অপেক্ষায় স্বজনরা
তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবিতে মারা যাওয়া ৮ যুবকের লাশের অপেক্ষায় স্বজনরা
সর্বাধিক পঠিত
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
আরও কমলো সোনার দাম
আরও কমলো সোনার দাম
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
শিগগিরই শুরু হচ্ছে উন্মুক্ত কারাগার তৈরির কাজ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
শিগগিরই শুরু হচ্ছে উন্মুক্ত কারাগার তৈরির কাজ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী