X
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫
২০ আষাঢ় ১৪৩২

এইডস ২০২০ সম্মেলন: এইচআইভি’র চিকিৎসায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দাবি

বিদেশ ডেস্ক
০৮ জুলাই ২০২০, ২০:১৪আপডেট : ০৮ জুলাই ২০২০, ২০:২৯
image

এইচআইভির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অংশ হিসেবে দুইটি উল্লেখযোগ্য ও আশাবাদের ঘোষণা এসেছে এবারের এইডস সম্মেলনে। মঙ্গলবার (৭ জুলাই) অনুষ্ঠিত এ ভার্চুয়াল সম্মেলনে দুইটি আলাদা গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে এ রোগের চিকিৎসায় অগ্রগতি দাবি করা হয়েছে। এর একটি হলো-এন্টিভাইরাল ড্রাগ গ্রহণের পর এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তির দীর্ঘমেয়াদে উপশমের সম্ভাবনা। আর অপরটি হলো, এইচআইভি বা এইডস প্রতিরোধে ব্যবহৃত একটি ওষুধ মুখে সেবনের চেয়ে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে গ্রহণে বেশি কার্যকারিতা থাকার দাবি। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন-এর প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রতীকী ছবি

১৯৮০ এর দশক থেকে এইচআইভি ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেয়। তখন থেকে এ পর্যন্ত মাত্র দুইজন মানুষ দীর্ঘমেয়াদে এইডস থেকে মুক্তি পেয়েছেন। তবে এর জন্য তাদেরকে স্টেম সেল প্রতিস্থাপন করতে হয়েছিল। বিভিন্ন গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, এইচআইভি আক্রান্ত রোগীদের জন্য স্টেম সেল প্রতিস্থাপনের কাজটি ঝুঁকিপূর্ণ ও জটিল। এটি মানুষের জন্য সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি করে।

মঙ্গলবার ২৩ তম এইডস সম্মেলনে বিজ্ঞানীরা ব্রাজিলের এক এইডস আক্রান্ত রোগীর বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন। তারা জানান, ওই ব্যক্তির শরীরে আট বছর আগে এইডস ধরা পড়ে। শুধু রেজিমেন এন্টিভাইরাল ওষুধ দিয়ে ওই রোগীর চিকিৎসা করা হয়েছে। এরপর তিনি দীর্ঘদিন ধরে এইচআইভি থেকে উপশম পাচ্ছেন। তার শরীরে এইচআইভি ভাইরাসের আর কোনও লক্ষণ নেই। বিজ্ঞানীদের দাবি, তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি কিনা দীর্ঘমেয়াদে এইচআইভি থেকে উপশম পেয়েছেন।গবেষণাটি পরিচালনা ফেডারেল ইউনিভার্সিটি অব সাও পাওলো-এর গবেষকরা।  তবে গবেষণা প্রতিবেদনটি আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থাপন করা হয়নি।

মঙ্গলবার ওই সম্মেলনে উপস্থাতি আরেক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, এইচআইভি’র চিকিৎসায় পরীক্ষামূলক ওষুধ ক্যাভোটেগ্রাভির প্রতিদিন মুখে সেবনের চেয়ে প্রতি আট সপ্তাহ পর পর এর ইঞ্জেকশন নিলে তা বেশি কার্যকরী হবে।

বিশ্বে এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা তিন কোটি ৮০ লাখ। শুধু ২০১৯ সালেই ১৭ লাখ নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।

 

/এফইউ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
করবিন-সুলতানার দল কি ব্রিটিশ রাজনী‌তি‌তে ভূমিকা রাখ‌তে পার‌বে?
করবিন-সুলতানার দল কি ব্রিটিশ রাজনী‌তি‌তে ভূমিকা রাখ‌তে পার‌বে?
ঢাকায় বৃষ্টির পূর্বাভাস
ঢাকায় বৃষ্টির পূর্বাভাস
যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক, এখনও শঙ্কায় পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা
যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক, এখনও শঙ্কায় পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা
দীর্ঘদিন পর খাল উন্মুক্ত, ২০ গ্রামের ৫০ হাজার মানুষ উৎফুল্ল
দীর্ঘদিন পর খাল উন্মুক্ত, ২০ গ্রামের ৫০ হাজার মানুষ উৎফুল্ল
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের দ্বিতীয় সংশোধন উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের দ্বিতীয় সংশোধন উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন
এনবিআর নিয়ে ‘কঠোর’ সরকার, আতঙ্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা
এনবিআর নিয়ে ‘কঠোর’ সরকার, আতঙ্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা
মুরাদনগরে দুই সন্তানসহ মাকে পিটিয়ে হত্যা
মুরাদনগরে দুই সন্তানসহ মাকে পিটিয়ে হত্যা
সচিবালয়ে দখলের দ্বন্দ্ব : আন্দোলনের নেতৃত্বে বিভক্তি
সচিবালয়ে দখলের দ্বন্দ্ব : আন্দোলনের নেতৃত্বে বিভক্তি
প্রশ্নপত্রে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির গল্প, পরীক্ষা বাতিল
প্রশ্নপত্রে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির গল্প, পরীক্ষা বাতিল