X
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪
৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

আজারবাইজানের পাশে তুরস্ক, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান

বিদেশ ডেস্ক
০১ অক্টোবর ২০২০, ০৯:৪৭আপডেট : ০১ অক্টোবর ২০২০, ১৯:৪৯

আজারবাইজানের পাশে দাঁড়িয়েছে তুরস্ক, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। তিন দেশই মনে করে আজারবাইজানের ভূখণ্ডে আর্মেনীয় দখলদারিত্ব বন্ধ করতে হবে। এমন অবস্থানের জন্য বুধবার দেশগুলোর প্রতি ধন্যবাদ জানিয়েছেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জোরালো সমর্থন দেওয়ায় তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। আজারবাইজানের পাশে তুরস্ক, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান

বুধবার দেওয়া ভাষণে ইব্রাহিম আলিয়েভে বলেন, তুরস্ক, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান আমাদের সমর্থন দিয়েছে। এজন্য তাদের ধন্যবাদ। তবে আমাদের সামরিক বাহিনীর বাইরের সাহায্যের প্রয়োজন নেই।

এর আগে আজারবাইজানের ভূখণ্ডে আর্মেনীয় দখলদারিত্ব বন্ধের আহ্বান জানান এরদোয়ান। একইসঙ্গে সর্বশক্তি নিয়ে আজারবাইজানের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি। অন্যদিকে বিদ্যমান সংঘাত থেকে তুরস্ককে দূরে রাখতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আর্মেনিয়া। সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে তুরস্কের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। আঙ্কারার পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আজারবাইজানের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি তুরস্কের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।

এরদোয়ান বলেন, আর্মেনিয়া কর্তৃক কারাবাখ দখলের মাধ্যমে এ অঞ্চলে যে সংকট শুরু হয়েছিল অবশ্যই তার অবসান ঘটাতে হবে।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, আর্মেনিয়াকে অবশ্যই অবিলম্বে আজারবাইজানের ভূখণ্ড ছাড়তে হবে। এর মাধ্যমেই এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।

টুইটারে এরদোয়ান লিখেছেন, দখল ও নির্মমতার বিরুদ্ধে বিশ্বকে আজারবাইজানের পাশে থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

১৯৮০-এর দশকের শেষদিকে কারাবাখ অঞ্চলে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ১৯৯১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মুহূর্তে সংঘর্ষ চূড়ান্ত আকার ধারণ করে। ১৯৯৪ সালে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত এ সংঘর্ষে ৩০ হাজার মানুষ নিহত হয়। কারাবাখ অঞ্চলটি আজারবাইজানের ভূখণ্ড হলেও ইয়েরেভান সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করছে আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। মূলত এ নিয়েই সংঘাতের সূত্রপাত।

নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে দীর্ঘ বিবাদের জেরে ২০২০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর কার্যত যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে দুই দেশ। এতে এখন পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ উভয় পক্ষের শতাধিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। নিহতদের বেশিরভাগই আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে জানা গেছে। নতুন করে সংঘাতের জন্য পরস্পরকে দায়ী করেছে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া। সূত্র: আল জাজিরা, ইয়েনি সাফাক।

/এমপি/এমওএফ/
সম্পর্কিত
চীন সফর: শি’র মন জয়ের চেষ্টায় ব্যস্ত ছিলেন পুতিন
মালয়েশিয়ায় পুলিশ স্টেশনে হামলা, ২ কর্মকর্তা নিহত
হাইপারসনিক অস্ত্র-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করবে জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র
সর্বশেষ খবর
দ্বিতীয় ধাপে ৭১ শতাংশ প্রার্থী ব্যবসায়ী, আয় বেড়েছে ৫৩৩৬ শতাংশ
টিআইবির বিশ্লেষণদ্বিতীয় ধাপে ৭১ শতাংশ প্রার্থী ব্যবসায়ী, আয় বেড়েছে ৫৩৩৬ শতাংশ
বাবার জন্মশতবর্ষে কন্যার বর্ণিল আয়োজন
স্মরণে কলিম শরাফীবাবার জন্মশতবর্ষে কন্যার বর্ণিল আয়োজন
আবারও শেষ দিনের রোমাঞ্চে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
আবারও শেষ দিনের রোমাঞ্চে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
ভোটকেন্দ্রে আসতে বাধা দিলে ৯৯৯-এ জানালেই নেওয়া হবে ব্যবস্থা
যশোর জেলা প্রশাসনের সংবাদ সম্মেলনভোটকেন্দ্রে আসতে বাধা দিলে ৯৯৯-এ জানালেই নেওয়া হবে ব্যবস্থা
সর্বাধিক পঠিত
মামুনুল হক ডিবিতে
মামুনুল হক ডিবিতে
‘নীরব’ থাকবেন মামুনুল, শাপলা চত্বরের ঘটনা বিশ্লেষণের সিদ্ধান্ত
‘নীরব’ থাকবেন মামুনুল, শাপলা চত্বরের ঘটনা বিশ্লেষণের সিদ্ধান্ত
ভারতীয় পেঁয়াজে রফতানি মূল্য নির্ধারণ, বিপাকে আমদানিকারকরা
ভারতীয় পেঁয়াজে রফতানি মূল্য নির্ধারণ, বিপাকে আমদানিকারকরা
মোবাইল আনতে ডিবি কার্যালয়ে মামুনুল হক
মোবাইল আনতে ডিবি কার্যালয়ে মামুনুল হক
মোদির ভারতে কেমন আছেন মুসলিমরা?
মোদির ভারতে কেমন আছেন মুসলিমরা?