ইরান দাবি করেছে তারা প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে স্বনির্ভর, তাদের আর অস্ত্র কিনতে হবে না। ইরানের ওপর জাতিসংঘ আরোপিত অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হতে না হতেই রবিবার (১৮ অক্টোবর) এমন দাবি করেছে দেশটি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২০০৭ সালে ইরানের ওপর নিরাপত্তা পরিষদ আরোপিত নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ রবিবার শেষ হতে যাচ্ছে। ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তির আওতায় তেহরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধের বিনিময়ে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা শিথিলের এ আশ্বাস দিয়েছিল শক্তিধর দেশগুলো। এ নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়াতে তৎপরতা চালিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে বিরোধিতা উপেক্ষা করেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আর বাড়ানো হয়নি।
এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে রবিবার ভোরে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছে ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইরানের প্রতিরক্ষা মতাদর্শ দেশটির জনগণ ও দেশীয় সক্ষমতার ওপর নির্ভর করে গড়ে উঠেছে….অপ্রচলিত অস্ত্র, গণবিধ্বংসী অস্ত্র ও প্রচলিত অস্ত্র কেনার তাগিদ ইরানি প্রতিরক্ষা মতাদর্শে নেই।’
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ টুইটারে বলেন, ‘আজ বিশ্বের সঙ্গে ইরানের প্রতিরক্ষামূলক সহযোগিতার যে স্বাভাবিকীকরণ হয়েছে, তা আমাদের এ অঞ্চলের বহুপাক্ষিকতা, শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য একটি বিজয়।’