নিজেদের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসিন ফাকরিজাদেহকে হত্যার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। এই হত্যাকাণ্ডের পরও তেহরানের পরমাণু কর্মসূচি থেমে থাকবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। শনিবার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। পাশাপাশি জাতিসংঘ মহাসচিব ও নিরাপত্তা পরিষদে চিঠি দিয়ে এই ঘটনায় ইসরায়েলের জড়িত থাকার কথা জানিয়েছে তেহরান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
গত শুক্রবার ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ওই মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত গবেষণা ও উদ্ভাবনী সংস্থার প্রধান মোহসিন ফাকরিজাদেহকে বহনকারী গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সন্ত্রাসী ও তার দেহরক্ষীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর গুরুতর আহত ফাকরিজাদেহকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’ ওই একই বিবৃতিতে তার মৃত্যুর খবরও নিশ্চিত করা হয়।
শনিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আরও একবার বৈশ্বিক ঔদ্ধত্যের শয়তানি হাতে সম্প্রসারণবাদী জায়নবাদী শাসকদের ভাড়াটেদের রক্তের দাগ লেগেছে।’ তিনি বলেন, ‘শহীদ ফাকরিজাদেহকে খুন করার মাধ্যমে আমাদের শত্রুরা তাদের ঘৃণার ব্যাপকতা আর মরিয়া হয়ে ওঠার প্রতিফলন ঘটিয়েছে... তার আত্মত্যাগ আমাদের অর্জনের গতিকে ধীর করে দেবে না।’
পরে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কাছে মোহসিন ফাকরিজাদেহ হত্যাকাণ্ড নিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে ইরান। ওই চিঠিতে জানানো হয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডে ইসরায়েলের দায় থাকার মারাত্মক ইঙ্গিত রয়েছে। আর নিজেদের রক্ষার অধিকার ইরানের রয়েছে বলেও জানানো হয় ওই চিঠিতে।
ইরানের জাতিসংঘ দূত মাজিদ তাখত ওই চিঠিতে বলেছেন, বর্তমান মার্কিন প্রশাসনের বাকি থাকা সময়ের মধ্যে তার দেশের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল আরও দুঃসাহসী পদক্ষেপ নিতে পারে। সেই বিষয়ে সতর্ক করে দিয়ে চিঠিতে বলা হয়, নিজেদের জনগণ ও স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানের রয়েছে।