X
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
১৯ বৈশাখ ১৪৩১

বেঁচে যাওয়ার বর্ণনায় মাই কাদরা শহরের হত্যাযজ্ঞ

বিদেশ ডেস্ক
১৩ ডিসেম্বর ২০২০, ১৩:৫৪আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২০, ১৩:৫৪
image

ইথিওপিয়ার যুদ্ধ কবলিত টাইগ্রে অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিকভাবে যোগাযোগ পুনঃস্থাপন হতে শুরু করেছে। আর এর মধ্য দিয়ে মাই কাদরা শহরের বাসিন্দারা প্রায় এক মাস আগের বেসামরিক মানুষের ওপর ঘটে যাওয়া নির্বিচার হত্যাযজ্ঞের অভিজ্ঞতা প্রকাশের সুযোগ পাচ্ছেন। আর তাতেই জানা যাচ্ছে সরকারি বাহিনী ও বর্তমানে পলাতক থাকা আঞ্চলিক সরকারের বাহিনীর মধ্যকার সপ্তাহব্যাপী লড়াইয়ে সহিংসতার ভয়াবহতা। বেঁচে যাওয়ার বর্ণনায় মাই কাদরা শহরের হত্যাযজ্ঞ

গত ১২ নভেম্বর লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে জানায় তিন দিন আগে যুদ্ধরত টাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট (টিপিএলএফ) মাই কাদরা শহরে নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালকে জানায় তলোয়ার ও ছুরি নিয়ে সশস্ত্র ব্যক্তিরা শহরটির বাসিন্দাদের ওপর হামলা চালিয়ে গলা কেটে হত্যা করতে শুরু করে। মানবাধিকার সংস্থাটি জানায় ওই হামলায় বিপুল সংখ্যক বেসামরিক মানুষ নিহত হয়। সংস্থাটির তরফ থেকে ঘটনাস্থলের ভয়াবহ সব ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করা হয়।

অ্যামনেস্টির ওই প্রতিবেদনের কয়েক দিনের মাথায় ইথিওপিয়ার সরকার নিয়ন্ত্রিত মানবাধিকার পর্যবেক্ষকদের তরফে বলা হয়, ছয়শ’ বেসামরিক মানুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়ে থাকতে পারে। পুলিশ, টাইগ্রে জনগন এবং স্থানীয়দের সহায়তায় তরুণদের একটি গ্রুপ ওই হত্যাকাণ্ড চালায় বলে দাবি করে তারা।

প্রায় ৪৫ হাজার মানুষের শহর মাই কাদরা শহরটি ওই হত্যাকাণ্ডের সময় পর্যন্ত টিপিএলএফ’র নিয়ন্ত্রণে ছিলো। তবে হত্যাকাণ্ডের পর ইথিওপিয়ার সরকারি বাহিনী শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেয়।

গত ২৮ নভেম্বর টাইগ্রে অঞ্চলের রাজধানী মেকেল্লের নিয়ন্ত্রণ ইথিওপিয়ার সরকারি বাহিনী নিয়ে নিলেও টিপিএলএফ এবং দেশটির সেনাবাহিনীর লড়াই এখনও প্রান্তিক এলাকাগুলোতে চলছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মাই কাদরার হত্যাযজ্ঞের ভয়াবহতা বর্ণনা করতে গিয়ে সোলোমন চাকলু নামের এক ব্যক্তি জানান একটি গাড়ি কিনতে তিনি দানশা শহর থেকে তিনি মাই কাদরায় আসেন। টেলিফোনে তিনি বলেন, ‘পুলিশ এবং টিপিএলফ’র তরুণরা সারা শহরে টাইগ্রে নয় এমন মানুষদের হত্যা করতে খুঁজে বেড়াচ্ছিল। আমরা যে বাড়িতে লুকিয়ে ছিলাম সেখানে প্রায় তিনটে নাগাদ পুলিশ ও ওই তরুণরা তলোয়ার নিয়ে চলে আসে।’ তিনি বলেন, ‘তারা আমাকে টেনে বের করে নিয়ে আসে। সেখানে আমি মরে যাওয়া কিংবা পড়ে থাকা ২০ থেকে ৩০টি শরীর দেখতে পাই। আমি ভেবেছিলাম আজ মরেই যাবো।’

সলোমন জানান, তার মাথায় আঘাত করা হলে তিনি জ্ঞান হারান। পরে জ্ঞান ফিরলে জানতে পারেন তার বন্ধু ফ্রেদে লেউকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রায় দুই সপ্তাহ হাসপাতালে থাকার পর ছাড়া পান তিনি। তিনি বলেন, ‘মানুষ সেদিন রক্তপিপাসু প্রাণীতে পরিণত হয়েছিল।’

সূত্র: আল জাজিরা

/জেজে/
সম্পর্কিত
কেনিয়ায় বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮১
ক্যানারি দ্বীপে নৌকাডুবি, ৫০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা
বৃষ্টি ও বন্যায় কেনিয়ায় নিহত অন্তত ৪৫
সর্বশেষ খবর
বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
গাজায় যুদ্ধবিরতি: মিসর ও কাতারের সঙ্গে হামাসের আলোচনা
গাজায় যুদ্ধবিরতি: মিসর ও কাতারের সঙ্গে হামাসের আলোচনা
উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হলেন ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও ভাগনে
উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হলেন ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও ভাগনে
ঈদের পরও চলছে রঙচটা বাস, আবার সময় দিলো বিআরটিএ
ঈদের পরও চলছে রঙচটা বাস, আবার সময় দিলো বিআরটিএ
সর্বাধিক পঠিত
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
তীব্র তাপপ্রবাহ যেখানে আশীর্বাদ
তীব্র তাপপ্রবাহ যেখানে আশীর্বাদ
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক হচ্ছে
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক হচ্ছে
লাউ খেলে মিলবে এই ৮ উপকারিতা
লাউ খেলে মিলবে এই ৮ উপকারিতা