দুনিয়ার বৃহৎ আর্থিক কেলেঙ্কারি নিয়ে প্যান্ডোরা পেপার্সের নতুন একটি নথি প্রকাশিত হয়েছে। সোমবার রাতে প্রকাশিত এই নথিতে উঠে এসেছে আট বাংলাদেশির নাম। এরা ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জে বিভিন্ন কোম্পানির মালিক।
বিশ্বজুড়ে সম্পদশালীদের নানা অনিয়ম ও গোপন তথ্য ফাঁস করে ওয়াশিংটনভিত্তিক অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়াম ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস (আইসিআইজে)। তারাই এই নথি ফাঁস করে। এতে অন্যদের সঙ্গে উঠে এসেছে আট বাংলাদেশির নাম। অবশ্য তাদের অবৈধ কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি।
এই বাংলাদেশিদের সবারই অন্যান্য দেশের নাগরিকত্ব আছে। এরমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া ও আর্জেন্টিনার মতো দেশ রয়েছে।
বিশ্বের ১১৭টি দেশের ৬০০ সাংবাদিক আইসিআইজে-এর জন্য কাজ করেন। এবারের তালিকায় সাত লক্ষাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকায় থাকা বাংলাদেশিদের একজন নিহাদ কবীর। নথি অনুযায়ী, ঢাকার ইন্দিরা রোডে এই নারী ব্যবসায়ীর একটি বাসা রয়েছে। ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডে ২০০৮ সালের আগস্টে ক্যাপিটাল ফেয়ার হোল্ডিংস লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি তার নামে নিবন্ধিত হয়।
তালিকায় থাকা আরেক বাংলাদেশির নাম ইসলাম মঞ্জুরুল। তিনি ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডে ওরিয়েন্টাল এগ্রিকালচারাল কেমিক্যাল কোম্পানি নামে নিবন্ধিত একটি কোম্পানির স্বত্বাধিকারী। ঢাকার গুলশানে তার ঠিকানা দেওয়া হয়েছে। এছাড়ার তার যুক্তরাজ্যের পরিচয়ও আছে।
প্যান্ডোরা পেপার্সের নতুন নথিতে নাম থাকা বাকি বাংলাদেশিরা হলেন সাইদুল হুদা চৌধুরী, আনিতা রাণী ভৌমিক, সাকিনা মিরালি, মোহাম্মদ ভাই, ওয়ালটার প্রামাদ ও ডেনিয়েল ওরনেস্টো আয়ুবাট্টি।
এদের মধ্যে সাইদুল হুদা চৌধুরী বেবেন ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানির মালিক। আনিতা রাণী ভৌমিক ইন্টারপ্রাইজ হোল্ডিংস লিমিটেডের মালিক। সাকিনা মিরালি মুন রেকার সার্ভিস করপোরেশনের মালিক। মোহাম্মদ ভাই ১৯৩৬ হোল্ডিংস লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী। ওয়ালটার প্রামাদ সিল্ট লিংক লিমিটেডের মালিক। ডেনিয়েল ওরনেস্টো আয়ুবাট্টি কুডেল লিমিডেটের স্বত্বাধিকারী।
সাইদুল হুদা, সাকিনা ও মোহাম্মদ ভাইয়ের ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ঢাকার গুলশান। আনিতা রাণীর ঠিকানা দেখানো হয়েছে পুরান ঢাকার চকবাজার।
