X
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৬ বৈশাখ ১৪৩১

অস্ট্রেলিয়ার আদালতে বাংলাদেশি আশ্রয়প্রার্থীর চ্যালেঞ্জ খারিজ

বিদেশ ডেস্ক
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ১২:১৭আপডেট : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ১২:১৮
image

মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়ার আশ্রয়প্রার্থীদের সমর্থনে এক বাংলাদেশি নারীর করা চ্যালেঞ্জ খারিজ করে দিয়েছে দেশটির আদালত। আশ্রয়প্রার্থী আটকের সরকারী নীতিমালাকে অসাংবিধানিক উল্লেখ করে, তা চ্যালেঞ্জ করে আটককৃত ওই বাংলাদেশি নারীর পক্ষে তার আইনজীবীরা মামলা দায়ের করেন। তবে উচ্চ আদালতের রায়ে সেই মামলাটি খারিজ হয়ে যায় এবং রুল জারির মধ্য দিয়ে আশ্রয়প্রার্থী আটকের সরকারী নীতিমালাকে বৈধতা দেওয়া হয়। হাইকোর্টের এই রুলের পর আড়াইশোরও বেশি আশ্রয়প্রার্থীকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র নাউরুর আটক কেন্দ্রে পাঠাতে অস্ট্রেলিয়ার সরকারের জন্য কোনও বাধা থাকছে না। হাইকোর্টের এ রায়কে আশ্রয় প্রার্থীদের প্রতি অস্ট্রেলিয়ার রক্ষণশীল সরকার এবং তাদের কড়া নীতির জয় বলে মনে করা হচ্ছে।

অস্ট্রেলিয়ায় আটক আশ্রয়প্রার্থী

 

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, নাউরুতে আটক ওই বাংলাদেশি নারীকে  চিকিৎসার জন্য অস্ট্রেলিয়ায় নিয়ে যাওয়ার পর সরকারের নীতিকে চ্যালেঞ্জ করে  মামলাটি দায়ের করে তিনি। তবে ওই বাংলাদেশির নাম জানা যায়নি। তার আইনজীবীদের দাবি, তাদের মক্কেলকে আটক রাখা অসাংবিধানিক। তবে আবেদনটি খারিজ করে আশ্রয়প্রার্থী আটকের নীতিকে বৈধতা দিয়ে রুল জারি করেন আদালত।

অস্ট্রেলিয়ায় জন্ম নেওয়া শরণার্থী শিশুদের ক`জন

আদালতের রায়কে ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে উল্লেখ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী টার্নবুল। রুলের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া সরকার সীমান্তকে নিরাপদ রাখবে এবং সাগরে ডুবে যাওয়া মানুষের সংখ্যা কমাবে।’ 

তবে হাইকোর্টের ওই রুলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী শিশুদের সুরক্ষার নৈতিক দায়িত্ব থেকে অস্ট্রেলিয়া পিছু হটছে।’

মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, হাইকোর্টের রুলের কারণে অস্ট্রেলিয়ায় চিকিৎসা নিতে আসা ২শরও বেশি আশ্রয়প্রার্থী এবং অস্ট্রেলিয়ায় জন্ম নেয়া ৩৭ জন শিশুসহ অন্তত ৫০ জন শিশুকে নাউরুতে যেতে বাধ্য করা হবে। নাউরুতে আটক থাকার সময় সম্ভাব্য ধর্ষণের শিকার হওয়া ৫ বছর বয়সী বালককেও এখন নাউরুতে ফেরত যেতে হবে কিনা তা নিয়েও বিতর্ক চলছে। তবে অস্ট্রেলিয়া সরকারের তরফে বলা হয়েছে, ওই বালকের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়া হবে।

দ্বীপ রাষ্ট্র নাউরু

উল্লেখ্য, নৌপথে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমানোর পর যারা আশ্রয় প্রার্থনা করেন তাদেরকে প্রক্রিয়া চলাকালীন নাউরু ও পাপুয়া নিউগিনির মানাস দ্বীপের আটক কেন্দ্রে পাঠানো হয়। আর বিনিময়ে নাউরু আর পাপুয়া নিউগিনি সরকারকে অর্থ প্রদান করে অস্ট্রেলিয়া সরকার। অনেকদিন ধরেই অস্ট্রেলিয়া সরকারের এ ধরনের নীতির বিরোধিতা করে আসছে জাতিসংঘসহ মানবাধিকার সংগঠনগুলো। নাউরুর আটক কেন্দ্রে নানা হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হওয়ার অভিযোগ করে আসছেন আশ্রয়প্রার্থীরা। এমনকি অস্ট্রেলিয়ার সিনেটররাও বলেছেন, নাউরু শিশুদের জন্য নিরাপদ নয়।  সূত্র: বিবিসি, আলজাজিরা

/এফইউ/বিএ/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
১১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পেলো স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড-চ্যানেল আই কৃষি পুরস্কার
১১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পেলো স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড-চ্যানেল আই কৃষি পুরস্কার
ফালুর বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট অনুমোদন
ফালুর বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট অনুমোদন
বিয়ের ১০ মাস পর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে
বিয়ের ১০ মাস পর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে
সিলেটে স্কুল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিগার-মারুফাদের একবেলা
সিলেটে স্কুল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিগার-মারুফাদের একবেলা
সর্বাধিক পঠিত
থেমে যেতে পারে ব্যাংকের একীভূত প্রক্রিয়া
থেমে যেতে পারে ব্যাংকের একীভূত প্রক্রিয়া
‘পুলিশ’ স্টিকার লাগানো গাড়িতে অভিযান চালাবে পুলিশ
‘পুলিশ’ স্টিকার লাগানো গাড়িতে অভিযান চালাবে পুলিশ
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
ভেসে আসা ‘টর্পেডো’ উদ্ধারে কাজ করছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড
ভেসে আসা ‘টর্পেডো’ উদ্ধারে কাজ করছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ