এবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে কথা বলার আরও সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন চীনের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই। এ বিষয়ে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ একই ধরনের পরামর্শ দেওয়ার এক সপ্তাহ পরই এমন আহ্বান জানান তিনি। ল্যাভরভ বলেছিলেন, নিরাপত্তা পরিষদে পশ্চিমা শক্তিগুলোকে অতিরিঞ্জতভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে।
জাতিসংঘে কুয়েত ও অস্ট্রিয়ার রাষ্ট্রদূত, তারেক আলবানাই এবং আলেকজান্ডার মারশিকের সঙ্গে শনিবার (৩০ এপ্রিল) বৈঠক হয় ওয়াং ই'র। তিনি বলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ সংস্কারে ন্যায্যতা ও ন্যায় বিচারের নীতিতে অবিচল থাকা উচিত এবং উন্নয়নশীল দেশসমূহকে মতামত প্রকাশের আরও বেশি অধিকার দেওয়া উচিত। যেন নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়ায় আরও বেশি মাধ্যম ও ছোট দেশ অংশগ্রহণ করতে পারে। বিশেষ করে আফ্রিকার প্রতি ঐতিহাসিক অন্যায়কে সংশোধন করতে হবে।
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, এ বিষয়ে মতৈক্যে পৌঁছানো সম্ভব এবং নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার প্রক্রিয়া ব্যাপকভাবে স্বীকৃতি হবে।
জানুয়ারিতে আফ্রিকা সফরের সময় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং স্পষ্ট করে বলেছিলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে উন্নয়নশীল দেশগুলির প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে চায় আগ্রহী বেইজিং। এতে বৈশ্বিক শাসন ব্যবস্থা আরও ন্যায়সঙ্গত হবে।
গত সোমবার (২৪ এপ্রিল) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাব করেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভ। নিউইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘের সদর দফতরে এক আলোচনায় ল্যাভরভ বলেন, আধুনিক যুগের ভূ-রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের জন্য বর্তমান নিরাপত্তা পরিষদ কার্যকর নয়।
বর্তমানে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাঁচটি স্থায়ী সদস্য রয়েছে। সেখানে যেকোনও প্রস্তাবে ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে – চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের।
সূত্র: আরটি