ভারতের সুপ্রিম কোর্টের একটি প্রশ্ন দেশটির অনেক মানুষকে অবাক করেছে। মঙ্গলবার একটি সিগারেটের রঙ্গিন প্যাকেট নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে অনাকর্ষণীয় করার এক আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত। শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জানতে চান, ধূমপানের কারণে যে ক্যান্সার হয়, এর পক্ষে কোনও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ রয়েছে কি না।
প্রধান বিচারপতি টিএস ঠাকুর ও ইউ ইউ ললিত কাউন্সেল ঐশ্বওয়ারিয়া ভাটির কাছে চান, এটা কি সম্ভব যে, ধূমপানের কারণে ক্যান্সার হয়।
ধূমপানে আসক্ত এলাহাবাদের এক অ্যাডভোকেট আদালতে এ আবেদন করেন। বর্তমানে তিনি জিহ্বা ও মুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মুম্বাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চের বিচারপতিরা বলেন, এটা কিভাবে প্রমাণ করবেন? অনেক অধূমপায়ী আছেন যাদের ক্যান্সার হয়েছে। এছাড়া অনেক ধূমপায়ী আছেন যারা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সুস্থভাবে বেঁচেছিলেন।
৬৬ বছরের অ্যাডভোকেট উমেশ নারাইন শর্মা আবেদনে উল্লেখ করেছেন, ধূমপান ও তামাক সেবনের কারণে বিশ্বের প্রতিবছর ১৫ লাখ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। ভারতের শিশু ও তরুণদের মধ্যে ধূমপান ও তামাকজাত পণ্যের সেবন বাড়ছে। একটি পরিসংখ্যানের তথ্য তুলে ধরে আবেদনে বলা হয়, ভারতের ১৫ বা তারচেয়ে বেশি বয়সের প্রায় ৩৫ শতাংশ (প্রায় ২৮ কোটি) মানুষ বিভিন্ন ধরনের তামাক সেবন করছে। প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে তামাক সেবনকারীদের বেশিরভাগই নিরক্ষর বা অর্ধশিক্ষিত।
আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০১১ সালে ভারতে ধূমপান ও তামাক সেবনজনিত রোগের চিকিৎসায় প্রায় ১ লাখ ৪ হাজার ৫০০ কোটি রুপি খরচ হয়েছে। যা ভারতের জিডিপির ১.১৬ শতাংশ। ২০১১-১২ সালে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রের স্বাস্থ্যখাতে বাজেট বরাদ্দের তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি।
তিনি উল্লেখ করেন, সিগারেট ও তামাকপণ্যের প্যাকেট খুব আকর্ষণীয় হওয়ায় তরুণরা বেশি আকৃষ্ট হচ্ছে। ফলে তিনি এসব প্যাকেট রঙ্গিন না করার আদেশ দেওয়ার আবেদন জানান। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।
/এএ/বিএ/