ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ খনিজের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বৈঠক। মস্কোর বিরুদ্ধে টিকে থাকতে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন আদায়ে কিয়েভের জন্য তুরুপের তাস ছিল এই খনিজ সংক্রান্ত আলোচনা। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ভ্যান্সের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে দাবি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জেলেনস্কি লিখেছেন, বাস্তবসম্মত ও নিশ্চিত শান্তির দিকে অগ্রসর হতে আমরা প্রস্তুত। আমাদের প্রতিনিধিরা প্রয়োজনীয় খসড়া তৈরিতে কাজ করছেন।
এর আগে, ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সংশোধিত একটি চুক্তির খসড়া জমা দিয়েছেন। এতে ইউক্রেনের খনিজসম্পদে মার্কিন বিনিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে বুধবার উপস্থাপিত মার্কিন খসড়া নিয়ে কিয়েভের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দেয়।
দুই ইউক্রেনীয় প্রতিনিধি রয়টার্সকে জানিয়েছেন, খসড়ার কিছু খুঁটিনাটি নিয়ে আরও কাজ করতে হবে।
উদ্বেগের নির্দিষ্ট কারণগুলো তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে, শান্তিচুক্তি চূড়ান্ত হলে ভবিষ্যৎ রুশ হামলা থেকে নিরাপত্তার জন্য ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নিশ্চয়তা বরাবর চেয়ে আসছে কিয়েভ।
ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ চিহ্নিত একটি ম্যাপ ও খসড়া প্রস্তাব নিয়ে গত সপ্তাহে রয়টার্সকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, মূল্যবান ভূমি রাশিয়ার কাছে ছেড়ে দেওয়ার বদলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে উভয়েই লাভবান হওয়ার পরিকল্পনা পেশ করেছেন তিনি।
আলোচিত খনিজের মধ্যে রয়েছে টাইটেনিয়াম, ইউরেনিয়াম, লিথিয়ামসহ বিরল একাধিক ভূ-খনিজ পদার্থ।
ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখার বিষয়ে খুব একটা আগ্রহী নন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ওয়াশিংটনের সমর্থনের প্রতিদান দিতে হবে। এজন্য তিনি কিয়েভের কাছে ৫০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার মূল্যমানের বিরল ভূ-খনিজ চেয়েছেন।
বুধবার ইউক্রেন সফরে যুক্তরাষ্ট্রের একটি খসড়া প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেনট। এ বিষয়ে শুক্রবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, মার্কিন অর্থনীতির সঙ্গে ইউক্রেনকে ঘনিষ্ঠভাবে জুড়ে দেওয়ার একটা পরিকল্পনা রয়েছে খসড়া প্রস্তাবে। মার্কিন করদাতাদের প্রেরিত অর্থের প্রতিদান নিশ্চিত করা হবে।