মার্কিন দাবি মেনে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের রাশ টেনে ধরা হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। ফলে দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে দ্বন্দ্ব নিরসনের আপাত সম্ভাবনা নিয়ে আবারও ধোঁয়াশা সৃষ্টি হলো। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
বুধবার (৪ জুন) টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বক্তব্যে খামেনি বলেছেন, আমাদের পারমাণবিক কর্মসূচির প্রধান ভিত্তিই হচ্ছে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ। ইরানের শত্রুরা সেখানেই হাত দিয়েছে। মার্কিন প্রশাসন এমন এক প্রস্তাব নিয়ে হাজির হয়েছে, যা ইরানের স্বনির্ভর হওয়ার বিশ্বাসের পরিপন্থি।
পারমাণবিক ইস্যু নিয়ে সম্প্রতি পরোক্ষ আলোচনায় (যে বৈঠকে মধ্যস্থতাকারী পক্ষ থাকে) বসেছিল ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রস্তাবের সর্বশেষ প্রস্তাবটি শনিবার ইরানের কাছে উত্থাপন করেছে ওমান। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকি এবং মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক মার্কিন প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফ।
তবে পাঁচ দফা বৈঠকের পরও দুদেশের মধ্যে বরফ গলার খুব একটা লক্ষণ দেখা যায়নি। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি অনুযায়ী নিজেদের দেশে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থগিতকরণ এবং ইতোমধ্যে সমৃদ্ধকৃত তেজস্ক্রিয় মৌলের পুরো ভান্ডার অন্য দেশে পাঠিয়ে দিতে নারাজ তেহরান।
মার্কিন প্রস্তাবের বিষোদ্গার করে খামেনি বলেছেন, আমাদের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্ধত এবং অহংকারী নেতারা বারবার আপত্তি জানিয়ে আসছেন। ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করার এখতিয়ার তাদের কে দিয়েছে!
পশ্চিমাদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইরান। অবশ্য তাদের অভিযোগ খারিজ করে তেহরান বরাবরই দাবি করে আসছে, শান্তিপূর্ণ বেসামরিক কাজের জন্য তারা পারমাণবিক কর্মসূচি বহাল রেখেছে।