মার্কিন মদদে ইসলামিক রিপাবলিকে ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ইরান। তবে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত ওই অভিযোগকে খারিজ করে দিয়ে বরং পাল্টা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়, পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে সমঝোতা করাই হবে তাদের জন্য এখন বুদ্ধিমানের কাজ।
নিরাপত্তা পরিষদের উদ্দেশ্যে ইরানি স্থায়ী প্রতিনিধি আমির সায়েইদ ইরাভানি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ যারা ইসরায়েলকে সমর্থম করে, তাদের বোঝা উচিত, তারা সবাই (গতকালের হামলায়) সহযোগী। সহায়তা এবং সমর্থনের মাধ্যমে তারা পরিণতিরও সমান ভাগীদার।
শুক্রবার (১৩ জুন) ইসরায়েল বিমান হামলা চালানোর কয়েকঘণ্টা পরই পাল্টা হামলা শুরু করে ইরান। এই পাল্টা হামলার পর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ইসরায়েলি স্থায়ী প্রতিনিধি ড্যানি ড্যানন দাবি করেন, ইরান যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ইসরায়েলের হামলা ছিল জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে গৃহীত একটি পদক্ষেপ।
এদিকে, ইরাভানি পাল্টা অভিযোগ করে বলেছেন, কূটনীতিকে মাটি চাপা দিয়ে সমঝোতার সব প্রচেষ্টাকে ধুলিস্যাত করে দিচ্ছে ইসরায়েল। তারা পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে বৃহত্তর সংঘর্ষের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ইরানকে ৬০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল তাদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছাতে। বৃহস্পতিবার ওই সময় শেষ হয়েছে। রবিবার ওমানে ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ষষ্ঠ দফার আলোচনা হওয়ার কথা থাকলেও তা অনুষ্ঠিত হবে কি না, সেটা এখনও অনিশ্চিত।
ড্যানন বলেন, আমরা কূটনীতির জন্য অপেক্ষা করেছি। আমরা দেখেছি, ইরান বারবার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বা সবচেয়ে মৌলিক শর্তও মানতে অস্বীকার করেছে।
তিনি দাবি করেন, ইরান কয়েক দিনের মধ্যেই বহু পরিমাণে পারমাণবিক বোমার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান তৈরি করতে পারত বলে তাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে।
এক শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তা ম্যাকয় পিট বলেছেন, আমরা এখনও কূটনৈতিক সমাধানের পক্ষে রয়েছি। আমরা চাই, ইরান যেন কখনও পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন না করে এবং মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি না হয়ে ওঠে।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স