ভারতের পশ্চিমবঙ্গে কলেজে ডেকে নিয়ে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ওই প্রতিষ্ঠানেরই চারজনের বিরুদ্ধে। ইতোমধ্যে তাদের আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে ওই প্রতিষ্ঠান সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের এক সাবেক নারী শিক্ষার্থী, দুইজন বর্তমান শিক্ষার্থী এবং একজন নিরাপত্তারক্ষী।
ভুক্তভোগীর বয়ান অনুযায়ী, তাকে বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে নিজ ক্যাম্পাসেই ডেকে নিয়ে রাত ১১টা পর্যন্ত আটকে রাখে অভিযুক্তরা। এসময় নিরাপত্তারক্ষীর ভূমিকা ছিল নির্লিপ্ত। বাকি দুজনের প্রহরায় এক অভিযুক্ত তাকে ধর্ষণ করে।
ঘটনার তদন্তে ইতোমধ্যেই নয় সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। দলের নেতৃত্বে রয়েছেন দক্ষিণ শহরতলি বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার প্রদীপকুমার ঘোষাল। তদন্তে সহায়তার জন্য একজন নারী সাব-ইনস্পেক্টরকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
শনিবার রাতে নির্যাতিতাকে কলেজে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। পুলিশ সাত ঘণ্টার সিসিটিভি ফুটেজ হাতে পেয়েছে, যেখানে চার অভিযুক্তের উপস্থিতি ধরা পড়েছে। এমনকি নির্যাতিতার বয়ানের সঙ্গে ফুটেজেরও প্রাথমিক মিল পাওয়া গিয়েছে।
অভিযুক্ত ও ভুক্তভোগীর ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে । এই রিপোর্ট তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে বলে মনে করছে পুলিশ।
রবিবার ঘটনাস্থলে গেছেন ভারতের জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি অর্চনা মজুমদার সহ আরও দুই জন। অপরাধের রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা করা হবে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, আমাদের ভুক্তভোগীর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। কিছু অসুবিধা হতে পারে বলে লুকিয়ে রাখা হল। তবে তার পাশে সব সময় রয়েছে কমিশন।
এদিকে মহিলা কমিশনের উপস্থিতি নিয়ে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, জাতীয় মহিলা কমিশন নিরপেক্ষ সংস্থা। সেটা যেন রাজনীতির জায়গা না হয়ে ওঠে। ওদের বাংলায় আসতে ভালো লাগে আসুক। কাউকে বাধা দেওয়া হয়নি। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী কাউকে বাধা দেন না।