X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

সু চি’র জন্য প্রধানমন্ত্রী সমমর্যাদার পদ!

বিদেশ ডেস্ক
৩১ মার্চ ২০১৬, ১২:৪১আপডেট : ৩১ মার্চ ২০১৬, ১২:৪১
image

অং সান সু চি সাংবিধানিক বাধার কারণে প্রেসিডেন্ট না হতে পারলেও মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি’র জন্য ‘প্রধানমন্ত্রী’ সমমানের পদ সৃষ্টির পরিকল্পনা করছে দেশটির নতুন সরকার। এরইমধ্যে সু চিকে রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টার (অ্যাডভাইজার টু দ্য স্টেট) পদে রেখে এ সংক্রান্ত খসড়া বিল পার্লামেন্টে উপস্থাপন করা হয়েছে।
পদটি গঠন করার পর অং সান সু চি-কে সে পদে আসীন করা হবে বলে বিলে উল্লেখ করা হয়েছে। বিলটি সু চিকে সরকারের সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কাজ করার ক্ষমতা দেবে। তিনি নিজের খুশিমতো যে কারও সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারবেন। বিবিসির প্রতিনিধি জানান, অন্যান্য দেশে প্রধানমন্ত্রীরা যে ধরনের দায়িত্ব পালন করেন, অনেকটা সেরকম করেই ‘রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা’ পদটি তৈরি করা হচ্ছে।
গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে বিজয় লাভ করে সু চি’র দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি)। পার্লামেন্টে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে সু চি’র ক্ষেত্রে সাংবিধানিক বিধিনিষেধ থাকায় তার সহযোগী থিন কিয়াওকে প্রেসিডেন্ট মনোনীত করা হয়। বুধবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন কিয়াও।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের সংবিধান অনুযায়ী কোনও বিদেশিকে বিয়ে করলে বা সন্তানদের কেউ অন্য দেশের নাগরিক হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দেশটির প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। সু চি’র স্বামী মাইকেল অ্যারিস ছিলেন একজন ব্রিটিশ শিক্ষাবিদ। তার দুই সন্তানও ব্রিটিশ নাগরিক।

সাংবিধানিক বাধার কারণে সু চির প্রেসিডেন্ট হওয়ার সুযোগ ছিল না

আর তাই নির্বাচনের আগেই ‘প্রেসিডেন্টের ঊর্ধ্বে’ থেকে সরকার পরিচালনার অঙ্গীকার করেন সু চি। থিন কিয়াওকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করাকে সু চি’র সে শপথের বাস্তবায়ন বলেই মনে করা হচ্ছে। এছাড়া মিয়ানমারের নতুন মন্ত্রিপরিষদে পররাষ্ট্র, জ্বালানি, শিক্ষা ও প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সু চি।

১৯৬২ সাল থেকে মিয়ানমারের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করছে দেশটির সামরিক বাহিনী। এ সময়ের মধ্যে জান্তা সরকারের রোষানলে ১৫ বছর সু চি’কে গৃহবন্দী অবস্থায় কাটাতে হয়েছে। গত ২০ বছর ধরে মিয়ানমারে সু চি’র দলকে সরকারের প্রতিপক্ষ মনে করা হতো। এ সময়ে দলটির বহু নেতাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

তবে ২৫ বছর পর প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচনে সু চি’র দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও দেশটির পার্লামেন্টে সেনাবাহিনীর প্রভাব থাকছে। কারণ তাদের জন্য ১৬৬টি আসন সংরক্ষিত রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ তিনটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকছে সেনাবাহিনী। সূত্র: বিবিসি

/এফইউ/বিএ/

সম্পর্কিত
তাইওয়ান প্রণালিতে আবারও চীনা সামরিক বিমান শনাক্ত
চীনের দক্ষিণাঞ্চলে সড়ক ধসে নিহত ৩৬
লাইয়ের অভিষেক পরবর্তী চীনা সামরিক মহড়া নিয়ে সতর্ক অবস্থানে তাইওয়ান
সর্বশেষ খবর
কষ্টিপাথর কিনে প্রতারিত হয়ে অপহরণ, গ্রেফতার ৭
কষ্টিপাথর কিনে প্রতারিত হয়ে অপহরণ, গ্রেফতার ৭
ফরিদপুরে দুই সহোদর হত্যাকাণ্ডের প্রদিবাদে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ
ফরিদপুরে দুই সহোদর হত্যাকাণ্ডের প্রদিবাদে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ
৩২ কুর্দি সদস্যকে হত্যার দাবি তুরস্কের
৩২ কুর্দি সদস্যকে হত্যার দাবি তুরস্কের
পিকআপ চাপায় র‌্যাব সদস্যের মৃত্যুর ঘটনায় চালক গ্রেফতার
পিকআপ চাপায় র‌্যাব সদস্যের মৃত্যুর ঘটনায় চালক গ্রেফতার
সর্বাধিক পঠিত
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
আরও কমলো সোনার দাম
আরও কমলো সোনার দাম
ব্যর্থতার অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিশ
ব্যর্থতার অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিশ