X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

নাইজেরিয়ায় এক ইমামের চেষ্টায় প্রাণ বাঁচল খ্রিস্টানদের

বিদেশ ডেস্ক
০১ জুলাই ২০১৮, ১৯:৫০আপডেট : ০১ জুলাই ২০১৮, ১৯:৫৮

নাইজেরিয়ার এক গ্রামে একজন ইমামের চেষ্টায় প্রাণ বাঁচল পাশের গ্রামের খ্রিস্টানদের। মুসলমান লুটেরাদের ভয়ে প্রাণ বাঁচাতে গ্রাম ছেড়ে পালাতে থাকা খ্রিস্টানদের নিজের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে আশ্রয় দিয়েছিলেন ওই ইমাম। পালিয়ে আসা খ্রিস্টান গ্রামবাসীদের ওপর হামলা চালাতে হামলাকারীদের দলটি পাশের ওই মুসলমান অধ্যুষিত গ্রামে গিয়েও উপস্থিত হয়েছিল। সংবাদমাধ্যম বিবিসি লিখেছে, হামলাকারীরা মূলত যাযাবর গোষ্ঠীর সদস্য এবং ইসলাম ধর্মের অনুসারী। অন্যদিকে হামলার শিকার হওয়া ব্যক্তিরা পেশায় কৃষক, তার মূলত খ্রিস্টান। নিরাপত্তার স্বার্থে ইমামের পরিচয় প্রকাশ করেনি বিবিসি

আক্রান্ত খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যরা জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় শনিবার দুপুর ৩টার দিকে তাদের গ্রামে হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা সংখ্যায় প্রায় ৩০০ জন। তাদের সবার কাছে ছিল অস্ত্র। এলোপাতাড়ি গুলির পাশাপাশি ঘরে অগ্নিসংযোগও করে হামলাকারীরা। গুলির মুখে গ্রামবাসীরা পালাতে বাধ্য হন। এমন কি নিরাপত্তা চৌকি পার হয়ে যাওয়ার পরও গুলি বন্ধ হয়নি। হামলার প্রাবল্যে নিরাপত্তারক্ষীরাও চৌকি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।  প্রায় ঘণ্টা খানেকের পথ পাড়ি দিয়ে তারা পৌঁছান ওই ইমামের গ্রামে। আশ্রয়প্রার্থীদের দেখে ইমাম সাহেব ২৬২ জন নারী, পুরুষ ও শিশুকে তার নিজের বাড়ি ও মসজিদে লুকিয়ে রাখেন। তিনি বিবিসি পিজিন ভাষার কার্যক্রমের কাছে জানিয়েছেন, ‘আমি প্রথমে নারীদের আমার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে লুকিয়ে রাখি। তার পর পুরুষদের নিয়ে যাই মসজিদে।’

হামলাকারী ফুলানি সম্প্রদায়ের মুসলমানরা খ্রিস্টান কৃষকদের খোঁজে ইমাম সাহবের গ্রামে উপস্থিত হয় এবং তাকে ওই গ্রামবাসীদের মসজিদ থেকে বের করে দিতে বলে। নাইজেরিয়ার ওই ইমাম মসজিদে লুকিয়ে রাখা খ্রিস্টান কৃষকদের বের করে দিতে অস্বীকৃতি জানালে হামলাকারীরা মসজিদে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। কিন্তু তাতেও আশ্রয়গ্রহণকারীদের বের করে দিতে অস্বীকৃতি জানান ইমাম। তিনি বরং এক পর্যায়ে মসজিদের প্রবেশ মুখে শুয়ে পড়েন এবং হামলাকারীদের চলে যেতে অনুনয় বিনয় করেন। শেষ পর্যন্ত হামলাকারীরা ওই গ্রাম থেকে চলে যায়। যাওয়ার আগে তারা নিকটবর্তী দুইটি গির্জায় আগুন ধরিয়ে দিয়ে যায়।

বিবিসি লিখেছে, ওই গ্রামগুলো যে এলাকায় অবস্থিত সেখানে ধর্মীয় উত্তেজনা নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পশুপালনকারীরা ফুলানি সম্প্রদায়ের মানুষ যাদের বেশিরভাগই মুসলমান। অন্যদিকে কৃষকরা ভেরোম সম্প্রদায়ের সদস্য যাদের বেশিরভাগই খ্রিস্টান।ফুলানিরা প্রায়ই কৃষকদের ওপর হামলা চালায়। নাইজেরিয়ায় শুধু ২০১৮ সালেই শত শত মানুষ মারা গেছে পশু পালনের তৃণভূমির দখল নিশ্চিত করতে ও পশু ছিনিয়ে নিতে গিয়ে।  

/এএমএ/
সম্পর্কিত
কেনিয়ায় বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮১
ক্যানারি দ্বীপে নৌকাডুবি, ৫০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা
বৃষ্টি ও বন্যায় কেনিয়ায় নিহত অন্তত ৪৫
সর্বশেষ খবর
মুক্তির পর থেকেই মামুনুল হককে ঘিরে অনুসারীদের ভিড়
মুক্তির পর থেকেই মামুনুল হককে ঘিরে অনুসারীদের ভিড়
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
গাছশূন্য ২০ কিলোমিটার সড়ক, তাপপ্রবাহে পথচারীদের দুর্ভোগ
গাছশূন্য ২০ কিলোমিটার সড়ক, তাপপ্রবাহে পথচারীদের দুর্ভোগ
প্রথমবার মেজর লিগ সকারের প্লেয়ার অব দ্য মান্থ মেসি
প্রথমবার মেজর লিগ সকারের প্লেয়ার অব দ্য মান্থ মেসি
সর্বাধিক পঠিত
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
আরও কমলো সোনার দাম
আরও কমলো সোনার দাম
ব্যর্থতার অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিশ
ব্যর্থতার অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিশ